ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ফারুক হত্যার অভিযোগ

এমপি রানা ও তার তিন ভাইকে আ’লীগ থেকে বহিষ্কারের দাবি

প্রকাশিত: ০৫:১৯, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

 এমপি রানা ও তার তিন ভাইকে আ’লীগ থেকে বহিষ্কারের দাবি

নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল, ৫ ফেব্রুয়ারি ॥ বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদকারী, আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার চার্জশীট আদালতে জমা দেয়ার পর থেকেই টাঙ্গাইল জেলায় চাপা উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। জেলার সর্বত্র এখন একই প্রশ্ন, টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের এমপি আমানুর রহমান খান রানা ও তার তিনভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পার কি শাস্তি হবে? জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মী এবং আওয়ামী পরিবারের সদস্যরা বলছেন, একজন মুক্তিযোদ্ধা হত্যার অভিযোগে এদের ফাঁসি হওয়া উচিত। ’৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় জামায়াতের কর্মকা-ে যদি তাদের এখন ফাঁসিতে ঝুলতে হয়। তাহলে কেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যার আসামিদের ফাঁসি হবে না। জেলার জনগণ আরও বলছেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়া দলে কোন মুক্তিযোদ্ধা হত্যার আসামিরা থাকতে পারে না। তাদের দ্রুত আওয়ামী লীগ থেকে চিরতরে বহিষ্কার করা হোক। আওয়ামী লীগ থেকে যদি তাদের বহিষ্কার করা না হয়, তাহলে জামায়াতের সঙ্গে এ দলের কোন পার্থক্যই থাকবে না। এমপি রানা ও তার ভাইদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয়ায় নিহতের পরিবার, জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা স্বস্তি এবং সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। টাঙ্গাইল মেডিক্যাল কলেজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে নামকরণে সকালে জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে পূর্ব নির্ধারিত আনন্দ মিছিলের কর্মসূচী ছিল। আনন্দ মিছিল থেকে খান পরিবার বিরোধীরা সেøাগান এবং মুক্তিযোদ্ধা ফারুকের খুনীদের বিচারের দাবিতে মুখরিত হয়ে ওঠে। শেষ পর্যন্ত মিছিলটি ফারুক হত্যাকারীদের ফাঁসি ও আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারের দাবির মিছিলে পরিণত হয়। এদিকে ফারুক আহমেদের পরিবার, নিহতের স্ত্রী ও মামলার বাদী নাহার আহমেদ মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে প্রেরণ এবং এমপি রানাসহ অন্য অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে বলেন, এমপি রানা ও তার ভাই সাবেক মেয়র মুক্তি ঢাকাতেই আছেন বলে জানতে পেরেছি। তাদের ঘোরাফেরা করতেও দেখেছে অনেকে। তারপরও পুলিশ কেন তাদের গ্রেফতার করতে পারছে না, তা বুঝতে পারি না। টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের বলেন, ‘অভিযোগপত্র দাখিল হওয়ায় আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতাকর্মী ও সমর্থকরা খুশি।’ তিনি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে এ হত্যা মামলাটি পাঠানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।
×