ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ইউরোপে সামরিক ব্যয় বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত: ০৫:০৪, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

ইউরোপে সামরিক  ব্যয় বাড়াচ্ছে  যুক্তরাষ্ট্র

রুশ আগ্রাসন রোধে এক শক্তিশালী ও ভারসাম্য পদক্ষেপের অংশ হিসাবে ইউরোপে সামরিক ব্যয় বাড়িয়ে দিচ্ছে আমেরিকা, বলেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। ইউক্রেনে মস্কোর আগ্রাসনের পর হোয়াইট হাউস এ ব্যয় চারগুণ বৃদ্ধি করতে চাইছে। এ প্রস্তুতির ফলে স্নায়ুযুদ্ধের উত্তেজনা ফিরে আসবে। খবর টেলিগ্রাফ অনলাইনের। প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ্যাশ কার্টার বলেন, সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে যাওয়ার পর যে কোন সময়ের চেয়ে রুশ কর্মকা-ের ব্যাপারে এখন আরও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র। রুশ হস্তক্ষেপ ও হামলার আশঙ্কাগ্রস্ত ইউরোপের পূর্বাঞ্চলীয় দেশগুলোকে পূর্ণ আশ্বাস দেয়ার লক্ষ্যে সামরিক অস্ত্র ও সরঞ্জাম মোতায়েনে ব্যয় বাড়িয়ে দিচ্ছে ওয়াশিংটন। দেশটির ২০১৭ সালের বাজেট প্রস্তাব অনুযায়ী এ ব্যয় ৫৪ কোটি ৭ লাখ পাউন্ড (৭৮ কোটি ৯ লাখ ডলার) থেকে বেড়ে দাঁড়াবে ২শ’ ৪০ কোটি পাউন্ডে (৩শ’ ৪০ কোটি ডলার)। প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ ব্যয় পরিকল্পনা প্রকাশ করে বলেন, ভবিষ্যৎ শত্রুদের অবশ্য চিহ্নিত করতে হবে আমাদের। তারা যুদ্ধ শুরু করলে জয়লাভের সামর্থ্য আমাদের রয়েছে। তিনি ইকোনমিক ক্লাব অব ওয়াশিংটনে এক ভাষণে বলেন, এ ব্যাপারে ২৫ বছর ধরে কোন উদ্বেগ নেই আমাদের। তিনি বলেন, ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্যও বাজেট বৃদ্ধি পাবে এবং তা ৫শ’ ২০ কোটি পাউন্ডে (৭শ’ ৫০ কোটি ডলার) দাঁড়াবে। তিনি বলেন, আমেরিকার জঙ্গী বিমানগুলো ৮ মাস যাবত ইরাক ও সিরিয়ায় জঙ্গী যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে বলে যুদ্ধাস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম হ্রাস পাওয়া শুরু হয়েছে। আমেরিকা তাই আরও সূক্ষ্ম মানসম্পন্ন নতুন বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র তৈরিতে ব্যয় করবে ১শ’ ৩০ কোটি পাউন্ড (১শ’ ৮০ কোটি ডলার)। আমেরিকা কয়েক দশক ধরে ইউরোপে সৈন্য সংখ্যা ও যুদ্ধ সরঞ্জাম হ্রাসের যে নীতি গ্রহণ করেছিল ২০১৪ য়ে রাশিয়ার ক্রিমিয়া সংযুক্তির পর তা থেকে সরে আসে এবং এক প্রতিরোধ গড়া শুরু করে। বাল্টিক অঞ্চলের রাষ্ট্রগুলো ও পোল্যান্ডের মতো ন্যাটো দেশগুলো আশঙ্কা করছে, ক্রেমলিনের পরবর্তী লক্ষ্যবস্তু হবে তারা। আমেরিকা এ দেশগুলোতে মহড়া বাড়িয়ে দিয়েছে এবং ট্যাংক, হাউইট সার, সাঁজোয়া যান মোতায়েন করবে।
×