ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে খাল পুনঃখনন ॥ কৃষকদের মাঝে আনন্দের বন্যা

প্রকাশিত: ০১:২১, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে খাল পুনঃখনন ॥ কৃষকদের মাঝে আনন্দের বন্যা

নিজস্ব সংবাদদাতা, লক্ষ্মীপুর ॥ দীর্ঘদিনের দাবীর পর লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের চরকাদিরা ইউনিয়নে চরবসু দলীর খাল পুনঃ খনন কাজ থেকে শুরু হয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয় অর্থায়নে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন পূর্বাঞ্চলীয় সমন্বিত সেচ ২য় প্রকল্পের আওতায় খাল খনন কাজ প্রাথমিকভাবে এগার লাখ টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়ন করছে। কমলনগর লক্ষ্মীপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মো. আব্দুল্যা আল মামুন বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রধান অতিথি হিসেবে খাল খনন কাজের ফলক উন্মেচন ও ফিতা কেটে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এর মাধ্যমে চরবাসীর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ হচ্ছে। এ উপলক্ষে চরবসু বাজারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আশ্রাফউদ্দিন রাজন রাজুর সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, রামগতি উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুল ওয়াহেদ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. গোলাম মোস্তফা, কমলনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গোলা ফারুক ভূঁইয়া, বিএডিসি’র সহকারী প্রকৌশলী মাহবুব করিম, উপসহকারী কৃষিকর্মাগন, স্থানীয় আওয়ামীলীগ সভাপতি মওলানা নুরুল ইসলামসহ বিপুল সংখ্যক কৃষক কৃষানী। প্রায় ১২ কি.মি. দীর্ঘখালটি খনন হলে চরবাসীর ১৬’শ হেক্টর জমির ফসল জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষা পাবে। এর মধ্যে সাড়ে ৫ কি.মিটার খালের মধ্যে প্রাথমিকভাবে এগার লাখ টাকা ব্যয়ে দুই কি. মি. খাল খনন কাজ শুরু হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে বরাদ্ধ সাপেক্ষে পূরো খাল পুনঃ খনন করা হবে বলে বক্তারা জানান। এতে জলাবদ্ধতা দূরীকরন এবং শুকনো মৌসুমে সেচ সুবিধা পাবে কৃষকরা। এতে কৃষকরা রবি মৌসুমে সেচ সুবিধা পেয়ে বোরো চাষসহ অন্যান্য ডাল জাতীয় শস্য উৎপাদনের সুযোগ পাবে। একই সঙ্গে শাক সবজি চাষ করে পরিবারের চাহিদা মিটানোসহ অতিরিক্ত পাঁচ হাজার মে.টন চাউল উৎপাদন সম্ভব হবে। যার বাজার মূল্য হচ্ছে প্রায় দশ কোটি টাকা। খালটি খননের মাধ্যমে চরবসুর কৃষকদের মাঝে আনন্দের বন্যা বয়ে যায়।
×