ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে ইংল্যান্ডের জয়

প্রকাশিত: ০৭:২৪, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে ইংল্যান্ডের জয়

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দুই সেঞ্চুরিই দারুণ মনোমুগ্ধকর ছিল। প্রথমে ইংল্যান্ডের হয়ে ঝড়ো এক সেঞ্চুরি হাঁকালেন জস বাটলার। তিনি ছাড়া বাকিরাও বিধ্বংসী মনোভাব নিয়েই ব্যাটিং করেছেন। তাই প্রথম ব্যাট করে ওয়ানডেতে নিজেদের দ্বিতীয় সর্বাধিক ৩৯৯ রান তোলে ইংল্যান্ড ৯ উইকেটে। জবাবটা দারুণ দিচ্ছিল স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা। দাপুটে ব্যাটিং করে ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলে অপরাজিত্ ছিলেন ওপেনার কুইন্টন ডি কক। বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত ৫ উইকেটে ২৫০ রান করেছিল প্রোটিয়ারা ৩৩.৩ ওভারে। তাই ককের এই ঝড়ো ইনিংসেও শেষ পর্যন্ত জিততে পারেনি প্রোটিয়ারা। বুধবার রাতে ব্লুমফন্টেইনের ম্যাঙ্গং ওভালে ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে ৩৯ রানে জিতে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে সফরকারী ইংল্যান্ড। শনিবার পোর্ট এলিজাবেথে ৫ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। টস জিতেই ব্যাটিং স্বর্গে আর ভুল করেনি ইংল্যান্ড। ব্যাট হাতে নেমে শুরু থেকেই ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা চড়াও হয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের ওপর। অধিনায়ক ইয়ন মরগানের সিদ্ধান্তটাকে ফলপ্রসূ করেছেন ওপেনাররা দ্রুতবেগে ৬৮ রানের জুটি গড়ে। জেসন রয় ৪৮ রানে ফিরে যান মাত্র ৩০ বলে ৮ চার ও ১ ছক্কায়। এ্যালেক্স হেলসও ছিলেন দারুণ আক্রমণাত্মক। তিনি ৬ চার ২ ছক্কায় ৫৭ রান করার পর যখন সাজঘরে ফিরেছেন ততক্ষণে আরেকটি ৬২ রানের জুটি হয়েছে। মাত্র ১৭.৪ ওভারেই ১৩০ রান তোলায় বিশাল সংগ্রহের ভিতটা পেয়ে যায় ইংলিশরা। তবে জো রুটও বেশি বড় করতে পারেননি ইনিংস। ৫৮ বলে ৫২ রান করে ফিরেছেন ৪ চার ১ ছক্কায়। কিন্তু তৃতীয় উইকেটে বাটলারের সঙ্গে ৯৭ রানের জুটি গড়েছেন। এর মধ্যেই বাটলার নেমে ঝড় তোলেন। তাকে বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি অধিনায়ক মরগান (২৩)। কিন্তু পঞ্চম উইকেটে তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে ৬১ রানের জুটি গড়েছেন বেন স্টোকস। বাটলার ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে সাজঘরে ফেরেন। তিনি মাত্র ৭৬ বলে ১১ চার ও ৫ ছক্কায় ১০৫ রান করেন তিনি। শতক হাঁকাতে ৭৩ বল খেলেছেন যা তার ক্যারিয়ারের ধীরতম সেঞ্চুরি। এর আগের তিন শতক করেছিলেন- নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৬৬ বলে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৬১ বলে এবং পাকিস্তানের বিপক্ষে ৪৬ বলে! শেষদিকে প্রোটিয়া বোলাররা কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। তাই দ্রুতগতিতে উইকেট খুঁইয়ে চার শ’ পেরোতে পারেনি ইংল্যান্ড। স্টোকস ৩৮ বলে ৪ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৭ রান করেন। ৯ উইকেটে ৩৯৯ রানে শেষ হয় ইংল্যান্ডের ইনিংস। এটি ব্লুমফন্টেইনের এ ভেন্যুতে সর্বোচ্চ ওয়ানডে রান। আর ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় সর্বাধিক। এর আগে এজবাস্টনে গত বছর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৯ উইকেটে ৪০৮ রান তুলেছিল ইংল্যান্ড। ক্রিস মরিস ৩ এবং মার্চেন্ট ডি ল্যাঙ্গ ও ইমরান তাহির দুটি করে উইকেট নেন। জবাব দিতে নেমে শুরুতেই হাশিম আমলার উইকেট হারিয়ে ফেলে দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু দ্বিতীয় উইকেটে ইংলিশ বোলারদের উইকেটের চারপাশেই পিটিয়েছেন ওপেনার কক ও ফাফ ডু প্লেসিস। দ্বিতীয় উইকেটে ১১০ রানের জুটি গড়েন তারা মাত্র ৮১ বলেই। ফলে কক্ষপথেই ছিল প্রোটিয়ারা। প্লেসিস ৪৪ বলে ৭ চার ১ ছক্কায় ৫৫ রান করে আউট হয়ে যান। কিন্তু এরপর দ্রুতবেগে কয়েকটা উইকেট হারিয়েছে প্রোটিয়া শিবির। এর পেছনে মঈন আলীর স্পিনটাই ভয়ঙ্কর হয়ে আবির্ভূত হওয়াটাই মূল কারণ। কিন্তু একপ্রান্তে কক তা-ব চালিয়ে গেছেন। তিনি ক্যারিয়ারের নবম সেঞ্চুরি করেন। দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন অভীষ্ট্য লক্ষ্যের দিকে। কিন্তু ৩৩.৩ ওভারে ২৫০ রান তোলার পর বৃষ্টি শুরু হয়। সেটা আর থামেনি। ফলে বৃষ্টি আইনে প্রোটিয়াদের ৩৯ রানে পরাজিত ঘোষণা করা হয়। কক ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন ৯৬ বলে ১২ চার ৬ ছক্কায় ১৩৮ রান করে। ৪৩ রানে ৩ উইকেট নেন মঈন।
×