ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

উবাচ

প্রকাশিত: ০৫:২৭, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

উবাচ

শহীদদের নাম জানি... স্টাফ রিপোর্টার ॥ মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার বক্তব্যের বিষয়ে সারাদেশে সমালোচনার ঝড় বইছে। মীমাংসিত ইতিহাস বাংলাদেশের মানুষের আবেগের, শ্রদ্ধার জায়গা নিয়ে দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর এ ধরনের মন্তব্যকে অনাকাক্সিক্ষত বলে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে.জে (অব.) মাহবুবুর রহমান বক্তব্যটি বেগম জিয়ার বক্তব্যের সংশোধনী দিয়ে বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা ৩০ লাখই। কিন্তু তারপরও সম্ভবত তৈল মর্দনকারীরা খালেদা তুষ্টির জন্যই বক্তব্যটিকে হালাল অথবা জায়েজ করার চেষ্টা করছে। বিএনপিরই আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, শহীদদের নাম আমরা জানি। বাংলাদেশের ইতিহাসে তাদের নাম সোনার অক্ষরে লিখে রাখা হোক। আমি নিশ্চিতভাবে আশা করি, যদি আল্লাহর মেহেরবানিতে আমরা আবার দায়িত্বে আসি, নিশ্চয়ই এই অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করা উচিত হবে আমাদের জন্য। দলীয় প্রধানের বক্তব্যের পক্ষে অবস্থান জানিয়ে বিএনপি নেতা বলেন, তিনি বলেছেন, শহীদদের যে সংখ্যা বলা হচ্ছে এটা নিয়ে নিয়ে বিতর্ক আছে। একশ বার বিতর্ক আছে। এজন্য তৎকালীন সরকারের সময়েই পুলিশের আইজি আবদুর রহীম সাহেবের নেতৃত্বে কমিটি করা হয়েছিল প্রকৃত সংখ্যাটা বের করার জন্য। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে ১৯৭৪ সালে সেই কমিটি বিলুপ্ত করে দেয়া হয়। কেবল তাই নয়, শহীদদের সংখ্যা নিয়ে কত বইতে, কত ব্যক্তির বক্তব্যে কত রকম সংখ্যা আছে। তাজউদ্দীন সাহেব যুদ্ধকালীন প্রবাসী সরকারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। পরবর্তীতে সময়ে তিনি যখন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন, তখন তিনি জাতির উদ্দেশে বক্তৃতা করে বলেছিলেন, প্রায় ১০ লাখ লোক শহীদ হয়েছে। ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকাশনায় একাত্তরে বাংলাদেশে শহীদের সংখ্যা ১০ লাখ বলা হয়েছে বলে দাবি করেন বিএনপির এই নেতা। যখন ওই সংখ্যাটা ৩০ লাখ বলা হয়েছে, তার কয়েকদিন আগে আমরা স্বাধীনতা লাভ করেছি। এটুকু সময়ের মধ্যে কবে কে হিসেব করেছে, কবে কে রিসার্চ করেছে, কবে কোন অনুসন্ধান হয়েছে যে এটা একদমে আমরা বলতে পারলাম ৩০ লক্ষ। ২৯ লক্ষ ৬৮২ না, ৩০ লক্ষ ৩৭৯ না। খেলানো হচ্ছে... স্টাফ রিপোর্টার ॥ সরকারে থাকা-না থাকা নিয়ে জাতীয় পার্টির এরশাদপন্থি ও রওশনপন্থিদের চলমান দ্বন্দ্বকে ‘নাটক’ আখ্যায়িত করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আ স ম হান্নান শাহ বলেছেন, এর পেছনে অন্য কেউ রয়েছে। তাদের খেলানো হচ্ছে। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক স্বৈরশাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের কাছ থেকে বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা এক সময় সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেছেন বলেও দাবি করেন তিনি। ঢাকায় এক আলোচনা সভায় হান্নান শাহ বলেন, বর্তমান সরকারের কর্ণধাররা স্বৈরাচারের সময়ে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেছেন, বিএনপি করে নাই। হান্নান আরও বলেন, যারা বর্তমান সরকারে আছেন ও যারা তাদের সরকারে বসিয়েছেন- এরা কারা? জনগণ জানে নির্বাচন সময়কার ভারতের পররাষ্ট্র সচিব স্পষ্টভাষায় বলে গিয়েছিলেন, তারা আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিয়ে পরবর্তী সরকার বানাবে। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে নাটকীয়তার এক পর্যায়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদ বিএনপির মতোই ভোট বর্জনের ঘোষণা দেয়ার পর দলের একাংশ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেয়। বর্জন করেও এরশাদ আইনের মারপ্যাঁচে ভোটে জিতে যান। জাতীয় পার্টি সংসদের বিরোধী দল হয়, এরশাদের স্ত্রী রওশন এরশাদ হন বিরোধী দলীয় নেতা। বিরোধী দল হলেও সরকারের মন্ত্রিসভায়ও যোগ দেন পার্টির রওশনপন্থি কয়েকজন নেতা। আমাকে কেন নিলে না! স্টাফ রিপোর্টার ॥ বহু নাটকীয়তা এক রকম মুখ দেখাদেখি বন্ধ, কথা বার্তাও বন্ধ। শেষ পর্যন্ত দলের এক নেতার নিমন্ত্রণে তার ছেলের বিয়েতে চট্টগ্রামে বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পৃথক বিমানে চেপে যাওয়া। সেখানে গিয়ে পৃথক হোটেল কক্ষে অবস্থান। এসব নিয়ে সংবাদপত্র টেলিভিশন হঠাতই মুখর হয়ে উঠল। এখনও সেই আলোচনা চলছে তো চলছেই। কিন্তু ভেতরে ভেতরে নাকি ভীষণ মহব্বত যদিও এই বক্তব্যের কোন লেজ-মাথা খুঁজে পাওয়া যায় না। তবে অনেকেই এটা দাবি করে আসছে। তবে খোদ এইচএম এরশাদের কথায় অসমর্থিত সূত্রের দেয়া মহব্বতের খবরের খানিকটা সত্যের আভাস পাওয়া গেল। জাতীয় পার্টির নবনিযুক্ত কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদারের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিম-লীর সদস্য রওশন এরশাদও উপস্থিত থাকতে চেয়েছিলেন বলে দাবি করছেন পার্টি চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। কাদের-হাওলাদারকে নিয়ে যেখানে এত বিরোধ তাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানেই নাকি যেতে চেয়েছিলেন রওশন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্যর শুরুতে এরশাদ বলেন, তার স্ত্রী সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এ অনুষ্ঠানে আসতে আগ্রহী ছিলেন। এইতো একটু আগে রওশন ফোন করেছিলেন। আমাকে বললেন, তুমি কোথায়? আমি বললাম, আমার ভাইয়ের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আছি। তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, আমাকে নিলে না কেন? আমি বললাম, এখানে তো আমারও আসার কথা ছিল না, অনেকটা হঠাৎ করেই এসে পড়েছি। যদিও এই বক্তব্যর পর কেউ কেউ সেখানেই বলছেন এ ধরনের অজুহাততো যারা বউকে ভয় পান তারাই দেখান, তাহলে কি এরশাদও.......?
×