ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নেত্রকোনা সরকারী কলেজ

৬ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য একজন শিক্ষক

প্রকাশিত: ০৭:৪২, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

৬ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য একজন শিক্ষক

নিজস্ব সংবাদদাতা, নেত্রকোনা, ৩ ফেব্রুয়ারি ॥ প্রায় ছয় হাজার শিক্ষার্থীর জন্য ইংরেজী শিক্ষক মাত্র একজন! বাকি শিক্ষকদের পদগুলো শূন্য থাকায় মাঝে মাঝে ক্লাস চালানো হচ্ছে ‘প্রক্সি শিক্ষক’ দিয়ে। এমন অচলাবস্থা চলছে নেত্রকোনা সরকারী কলেজে। জানা গেছে, নেত্রকোনা সরকারী কলেজে ইংরেজীসহ মোট ১৪টি বিষয়ে সম্মান (অনার্স) কোর্স চালু রয়েছে। দশটি বিষয়ে চালু আছে স্নাতকোত্তর কোর্স। এছাড়াও রয়েছে একাদশ, দ্বাদশ ও স্নাতক (বিএ পাস) পর্যায়ের কোর্স। এসব কোর্সের প্রত্যেকটিতেই আবশ্যিকভাবে ইংরেজী বিষয় রয়েছে। সব কোর্স মিলিয়ে কলেজটিতে ৫ হাজার ৯শ’ ৩২ শিক্ষার্থীকে ইংরেজী পড়াতে হয়। এসব শিক্ষার্থীর বিপরীতে ইংরেজী বিভাগে শিক্ষকের পদ আছে মাত্র চারটি। এর মধ্যে বর্তমানে কর্মরত আছেন কেবল একজন সহযোগী অধ্যাপক (বিভাগীয় প্রধান)। বাকি একটি সহকারী অধ্যাপক ও দু’টি প্রভাষকের পদ শূন্য। এ কারণে ওই একজন বিভাগীয় প্রধানকে দিয়েই চলছে এত বড় একটি কলেজের ইংরেজী বিভাগ। শিক্ষক না থাকায় ইংরেজী ক্লাস নিয়মিত হয় না। কখনও কখনও প্রক্সি শিক্ষক (গেস্ট টিচার) দিয়ে কিছু ক্লাস নেয়া হয়। অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ বলেন, শিক্ষক সঙ্কটের বিষয়ে প্রতিমাসে দুই বার করে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতরে (মাউসি) লিখিতভাবে প্রতিবেদন পাঠানো হচ্ছে। শ্রীনগরে মোবাইল প্রতারক চক্র সক্রিয় স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ শ্রীনগরে সক্রিয় হয়ে উঠেছে মোবাইল ফোন প্রতারক চক্র। চক্রটি মোবাইল ফোনে ফাঁদে ফেলে বিকাশের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। গত ২৩ জানুয়ারি ওই চক্রের শিপন নামের এক হোতাকে উপজেলার এম রহমান শপিং কমপ্লেক্সের নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় তার কাছ থেকে প্রতারণায় ব্যবহৃত মোবাইল ফোন সেট ও ডেইলি ট্রানজেকশন রেজিস্টার জব্দ করে পুলিশ। ওই সময় ডিবি পুলিশের কাছ থেকে শিপনকে ছাড়িয়ে নিতে উপজেলা প্রজন্ম লীগের এক নেতা নানা চেষ্টা-তদ্বির চালিয়ে ব্যর্থ হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মনোয়ারা ভূইয়া নামে এক নারীর কাছ থেকে মোবাইল ফোন প্রতারণার মাধ্যমে শিপন বিভিন্ন সময় ছয় লাখ নয় হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। মামলার সূত্র ধরে ডিবি পুলিশ শিপনকে গ্রেফতার করে। শিপনের গ্রেফতারের পর তার পরিবারের কাছ থেকে বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ফরিদপুরের ভাঙ্গা এলাকার হতদরিদ্র শিপন ছয় বছর আগে শ্রীনগর উপজেলার দক্ষিণ পাইকসা গ্রামের মেয়ে সুলতানাকে বিয়ে করে এ এলাকায় আসে। দুই বছর আগে শিপন এম রহমান শপিং কমপ্লেক্সে বিকাশ এজেন্টের দোকান দিয়ে গড়ে তোলে মোবাইল ফোন প্রতারক চক্র। চক্রটি গভীর রাত পর্যন্ত শ্রীনগর সদরে অবস্থান করে মোবাইল ফোনে জিনের বাদশা, রোগ মুক্তির কবিরাজ, বড় আদম বেপারিসহ নানা রকম ধোঁকাবাজির গল্প এঁটে প্রতারণার ফাঁদ তৈরি করে। তাদের পাতানো ফাঁদে পা দিয়ে অনেকেই সর্বস্ব খুইয়েছেন। কয়েকদিন পূর্বে প্রতারণার শিকার গাজীপুরের কালিয়াকৈরের এক নারীকে থানা চত্বরে কান্নাকাটি করতে দেখা গেছে।
×