ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীনে যাচ্ছে বস্ত্র শিল্পখাত

প্রকাশিত: ০৫:৪৮, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

 বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীনে যাচ্ছে বস্ত্র শিল্পখাত

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ স্বাধীনতার পর থেকেই নির্দিষ্ট কোন মন্ত্রণালয়ের অধীনে ছিল না দেশের বস্ত্রশিল্প। যে কারণে নতুন শিল্প কারখানা স্থাপন, উৎপাদন কিংবা রফতানি অনুমোদন পেতে উদ্যোক্তাদের পোহাতে হয়েছে সীমাহীন ভোগান্তি। আর এসব সমস্যা দূর করতেই সম্প্রতি টেক্সটাইল শিল্পখাতকে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীনে আনতে নেয়া হয়েছে সরকারী সিদ্ধান্ত। তবে নির্দিষ্ট মন্ত্রণালয় দিলেই হবে না বরং বস্ত্র খাতকে গতিশীল করতে দক্ষ জনবল আর গ্যাস বিদ্যুত সংযোগ পেতে বিদ্যমান বাধা দূর করার পরামর্শ শিল্প মালিকদের। টেক্সটাইল শিল্পে বাংলাদেশের রয়েছে দীর্ঘ ইতিহাস, স্বাধীনতার আগে থেকেই এদেশে গড়ে ওঠে কয়েকটি কারখানা। কিন্তু পোশাক প্রস্তুতের সঙ্গে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের পদচারণা শুরু হয় ১৯৮১ সালে ০.১ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রফতানির মাধ্যমে। এরপরের গল্পটা শুধুই সাফল্যের, মাত্র ১০ বছরের ব্যবধানে ১৯৯১ সালে রফতানির পরিমাণ দাঁড়ায় ১ হাজার ৪৪৫ মিলিয়ন ডলারে। সবশেষ ২০১৪-১৫ অর্থবছরে এ খাত থেকে রফতানি আয় হয়েছে ২ হাজার ৫৪৯ কোটি মার্কিন ডলার। তবে এত সব সাফল্যের পেছনে বিরাট অবদান থাকলেও সমস্যাগ্রস্তই রয়ে গেছে দেশের টেক্সটাইল শিল্প। নতুন কোন কারখানা স্থাপন কিংবা রফতানির অনুমোদন, আনুষঙ্গিক কাজ সারতে এখনও উদ্যোক্তাদের দ্বারস্থ হতে হচ্ছে ১৪টি মন্ত্রণালয়ের। স্বাভাবিকভাবেই ব্যবসায়ীদের ইঙ্গিত সব কাজ এক দফতরে নিয়ে আসার সরকারী সিদ্ধান্তের প্রয়োজনীয়তার দিকেই। যদিও এ অবস্থা নিরসনে শীঘ্রই বস্ত্র আইন অনুমোদন দেয়ার পাশাপাশি টেক্সটাইল খাত সম্পর্কিত সব ধরনের সেবা বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় থেকেই দেয়া হবে বলে জানান বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম। বিসিএস কাস্টমস এ্যান্ড ভ্যাট এ্যাসোসিয়েশন নতুন কমিটি স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ বিসিএস কাস্টমস এ্যান্ড ভ্যাট এ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনে ২০১৬-২০১৮ কার্য মেয়াদের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য খন্দকার মুহাম্মদ আমিনুর রহমান সভাপতি ও কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট (আপীল) চট্টগ্রামের কমিশনার ড. মোঃ সহিদুল ইসলাম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে এ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক সাধারণ সভা এবং নির্বাচন শেষে ২১ সদস্যবিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মোঃ নজিবুর রহমান। কমিটিতে সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট চট্টগ্রামের কমিশনার সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া, কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট যশোরের কমিশনার মোঃ জামাল হোসেন ও কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট রাজশাহীর কমিশনার ড. আব্দুল মান্নান শিকদার। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে মোহাম্মদ জহিরুল কাইউম ও মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান, কোষাধ্যক্ষ পদে কাজী মুহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে মোঃ মিলন শেখ ও অফিস সেক্রেটারি পদে মোঃ মিনহাজ উদ্দিন পাহলোয়ান নির্বাচিত হয়েছেন। সদস্য পদে নির্বাচিতরা হলেনÑকাজী মোস্তাফিজুর রহমান, বেগম মোবারা খানম, নাহিদা ফরিদী, মোঃ তাসনিমুর রহমান, মোহাম্মদ এহতেশামুল হক, হাসান মুহাম্মদ তারেক রিকাবদার, মুস্তাফিজুর রহমান, নূর উদ্দিন মিলন, মোঃ নাহিদুন্নবী, মোঃ আহসান উল্লাহ এবং মোঃ ইফতেখার আলম ভূঁইয়া।
×