ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বর্জ্য যুদ্ধ!

প্রকাশিত: ০৫:৩৭, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

বর্জ্য যুদ্ধ!

উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যকার বৈরিতার খবর সবার জানা। দেশ দুটির সীমান্তে উত্তেজনা লেগেই থাকে। উত্তর কোরীয় সীমান্ত থেকে দক্ষিণের দিকে হাজার হাজার মাইক লাগিয়ে দক্ষিণ বিরোধী প্রপাগান্ডা চালানো হয় নিয়ত। কিন্তু উত্তর কোরিয়া থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় মানববর্জ্য নিক্ষেপের খবর এই প্রথম। শুধু তাই নয়, দক্ষিণ কোরিয়া উত্তরে আরও পাঠিয়েছে ব্যবহৃত টয়লেট পেপার, হাজার হাজার সিগারেটের পোড়া অংশ ও উত্তর বিরোধী প্রচারপত্র। ডজন ডজন হিলিয়াম বেলুনে ভরে সম্প্রতি এসব পাঠায় উত্তর কোরিয়া। বেলুনগুলো যখন দক্ষিণের দিকে উড়ে আসছিল তখন প্রথমে ভয় পেয়েছিল দেশটির কর্তৃপক্ষ। তাদের আশঙ্কা ছিল, এগুলো ভরে হয়ত জীবাণু ও রাসায়নিক অস্ত্র নিক্ষেপ করেছে পিয়ংইয়ং। এসব থেকে নিজেদের বাঁচাতে প্রাথমিক প্রস্তুতিও সেরে ফেলে সিউলবাসী। কিছু বেলুন আকাশেই ফেটে যায়। এ থেকে বেরিয়ে আসতে থাকে প্রচারপত্র। আর অন্যগুলো সিউলের মাটিতে নামলে এগুলো খুলতে এগিয়ে আসে দক্ষিণ কোরীয় সেনা ও পুলিশ বাহিনীর কিছু সিনিয়র কর্মকর্তা। এগুলো সতর্কতার সঙ্গে খুলতেই বেরিয়ে আসে মূল ঘটনা। দেশটির এক সেনা কর্মকর্তা বলেন, আকাশ থেকে কিছু পড়তে দেখে আমরা ভেবেছিলাম উত্তর কোরিয়া রাসায়নিক কিছু পাঠিয়েছে যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। পরে দেখলাম এগুলোতে কিছু আজেবাজে জিনিসপত্র। আর আছে প্রচারপত্র। বেলুনে ব্যবহৃত টয়লেট পেপার আর অন্যান্য জিনিসের সঙ্গে প্রায় ১০ লাখ প্রচারপত্র পাঠিয়েছে উত্তর কোরিয়া। সেখানে উত্তরবিরোধী মনোস্তাত্ত্বিক প্রচারণা বন্ধ করার আহ্বান জানানো হয়। ‘উত্তরবিরোধী’ শব্দটিই ব্যবহার করা হয়। যেখানে উত্তর বলতে নিজেদের দেশকেই বুঝিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার মানুষ। দক্ষিণ কোরিয়ার এক সামরিক কর্মকতা জানিয়েছেন, ‘অসংখ্য সিগারেটের পোড়া অংশ ছিল, ব্যবহৃত টিসু ছিল আর ছিল ময়লা জিনিসপত্র।’ কিছু প্রচারপত্রে দক্ষিণ কোরীয় প্রেসিডেন্ট পার্ক জিউন হাইকে বলা হয়েছে রাজনৈতিক আঁস্তাকুড়। তবে এ বিষয়ে আপাতত কোন প্রতিক্রিয়া দেখায়নি সিউল। তারা উত্তরের এই কা-কে স্রেফ অপরিপক্কতার শামিল বলে আখ্যা দিয়েছে। -ডেইলি মেইল অবলম্বনে।
×