ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

পাকিস্তানে পিআইএ কর্মী-নিরাপত্তা বাহিনী সংঘর্ষে নিহত ২

প্রকাশিত: ২০:২২, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

পাকিস্তানে পিআইএ কর্মী-নিরাপত্তা বাহিনী সংঘর্ষে নিহত ২

অনলাইন ডেস্ক॥ পাকিস্তানে সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদকারী একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে অন্ততপক্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। জানা গেছে, লোকসানে থাকা পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনকে (পিআইএ) বেসরকারীকরণের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করছিল প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা। মঙ্গলবার করাচির আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে এ ঘটনায় আরো আটজন আহত হয়েছেন বলে হাসপাতাল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। আন্দোলনকারীরা জানান, তারা মিছিল নিয়ে বিমানবন্দরের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সময় নিরাপত্তা বাহিনী বাধা দিলে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষের পর আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যরা গুলিবর্ষণ করে। কিন্তু আধাসামরিক বাহিনী রেঞ্জার্সের একজন মুখপাত্র এবং পুলিশের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা দাবি করেছেন, তাদের কেউ গুলিবর্ষণ করেনি। পিআইএকে ব্যক্তিমালিকানায় ছেড়ে দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রাষ্ট্রীয় এই প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা কয়েকমাস ধরে ধারাবাহিক ধর্মঘট চালিয়ে আসছেন। এরই অংশ হিসেবে ওইদিন জিন্নাহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দিকে মিছিল নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন আন্দোলনকারীরা। বিমানবন্দরের কিছুটা দূরে পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনী মিছিলের গতিরোধ করে। পুলিশ জলকামান ব্যবহার করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করলে সংঘর্ষ শুরু হয়। পিআইএ-র কর্মী ইউনিয়নের জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটির চেয়ারম্যান সুহাইল বালুচ বলেন, “কোনো সতর্কতা না জানিয়েই তারা শক্তি প্রয়োগ করে। নিরস্ত্র লোকজনের ওপর সরাসরি গুলিবর্ষণ অগ্রহণযোগ্য।” করাচির জিন্না হাসপাতালের কর্মকর্তা কলিম শেখ জানান, গুলিবিদ্ধ এক ব্যক্তি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান এবং নিহত অপর একজনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে আসা হয়। নিহত দুজনই ধর্মঘটে যোগ দেওয়া পিআইএর কর্মী ছিলেন। এছাড়া আহত আরো আটজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান তিনি। পুলিশ গুলি করেনি বলে দাবি করেছেন ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা কামরান ফজল। কী ধরনের অস্ত্র থেকে গুলি করা হয়েছে তা নির্ধারণে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ গুলির খোসা সংগ্রহ করেছে বলে জানান তিনি। ঘটনার দ্রুত ও বিশ্বাসযোগ্য তদন্তের দাবি জানিয়েছে পাকিস্তানের মানবাধিকার কমিশন (এইচআরসিপি)।
×