ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

নেশার রাজ্য ভৈরব

মাদকসেবীরা ঝুঁকে পড়েছে ঘুমের ট্যাবলেটে

প্রকাশিত: ০৭:১১, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

মাদকসেবীরা ঝুঁকে পড়েছে ঘুমের ট্যাবলেটে

নিজস্ব সংবাদদাতা, ভৈরব, ২ ফেব্রুয়ারি ॥ ইয়াবা, হিরোইন, ফেনসিডিল, গাঁজা, মদের পর এবার নেশার রাজ্যে যুক্ত হয়েছে ঘুমের ট্যাবলেট। বিভিন্ন ধরনের মাদকের পাশাপাশি ঘুমের ট্যাবলেট ভৈরবের মাদকসেবীদের কাছে প্রিয় হয়ে উঠছে। নেশা সামগ্রীর অতিরিক্ত দামের কারণে এবং পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতার ফলে মাদকসেবীরা ঝুঁকে পড়েছে ঘুমের ট্যাবলেটের দিকে। হাত বাড়ালেই যে কোন ওষুধের ফার্মেসি থেকে অনায়াসে মিলছে এসব ঘুমের ট্যাবলেট। প্রতিটি এলাকায় লাইসেন্সবিহীন এবং লাইসেন্সধারী ফার্মেসিতে বিক্রি হচ্ছে দেদার। মুদি দোকানেও পাওয়া যাচ্ছে এসব ট্যাবলেট। সরকারী নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে নামী-দামী ও নামসর্বস্ব ওষুধ কোম্পানির ঘুমের ট্যাবলেট ভৈরবের বিভিন্ন এলাকায় দেদার বিক্রি হচ্ছে। হাটবাজার মার্কেটসহ অলিগলিতে গড়ে ওঠা খুচরা ও ওষুধের দোকানগুলোতে প্রায়দিনই অন্যান্য ওষুধের চেয়ে ঘুমের ট্যাবলেট বিক্রি হচ্ছে বেশি। প্রতিদিন গড়ে এক থেকে দেড় লাখ পিস ঘুমের ট্যাবলেট বিক্রি হয়। এমন অনেক ফার্মেসি আছে যেখানে প্রতিদিন প্রায় ১০ থেকে ১৫ প্যাকেট ঘুমের ট্যাবলেট বিক্রি দেখা গেছে। ভৈরবের নেশাগ্রস্ত তরুণ-তরুণীরা ঘুমের ট্যাবলেট সেবন করলেও আস্তে আস্তে বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রীর সঙ্গে মিশিয়ে নেশা করছে। ফার্মেসি থেকে অনায়াসে পাওয়ার কারণে অনেক তরুণ-তরুণী এসব ট্যাবলেট সেবন করে নেশায় আসক্ত হচ্ছে বলে জানা গেছে। ঘুমের ট্যাবলেটের মধ্যে রয়েছে স্কয়ার কোম্পানির লাইজন এএমজি, সেডিল ৫এমজি, ট্রিপটিন ১০/২৫এমপি, ডরমিটল ৭.৫/১৫ এমজি, রেডিএন্ট কোম্পানির ল্যাগজুটেনিল ৩এমজি, ওরিয়ন কোম্পানির গোফাম ৩ এমজি, সেনডোজ কোম্পানির এক্সিউনিল ৩এমজি, অপসোনিন কোম্পানির ইজিয়াম ৫এমজি, পেইস ২ এমজি, ইনসেপটা কোম্পানির হাইফনোফাস্ট ১৫ এমজি, ডিসোপান ২ এমজি, ক্লোসান ২এমজি, এসকেএফ কোম্পানির মিলাম ১৫এমজি ভৈরবের বিভিন্ন ফার্মেসিতে দেদার বিক্রি হচ্ছে। শহীদকে যুদ্ধাপরাধী বানানোর প্রতিবাদ স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ মোরেলগঞ্জে ’৭১ সালের শহীদসহ আওয়ামী লীগের তিন সদস্যকে পিস কমিটির সদস্য বানানোর চেষ্টার প্রতিবাদে মঙ্গলবার কাকড়াতলী বাজারে প্রতিবাদ সভা করেছে জিউধরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ। মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল হোসেন মৃধার সভাপতিত্বে সভায় বক্তৃতা করেন আ’লীগ নেতা ডাঃ তরুণ কান্তি মিন্ত্রী, জাহাঙ্গীর আলম বাদশা, মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ, মাস্টার নজরুল ইসলাম, আফজাল হোসেন মাসুম, মান্নান হাওলাদার, আশা রানী ম-ল, শিমুল কান্তি মিস্ত্রি, রনজিত ঘরামি, ছাত্রলীগ নেত্রী আদুরী আক্তার পূর্ণিমা প্রমুখ। সভায় বক্তারা বলেন, আকুবালী শাহ্ ১৯৭১ সালে বাগেরহাটের রজ্জব আলী বাহিনীর হাতে শ্রীধাম লক্ষ্মীখালীতে প্রাণ হারান। সত্যজিৎ রায় মজুমদারের লেখা ‘শ্রীধাম লক্ষ্মীখালী গণহত্যা’ শিরোনামের বইটির শহীদ তালিকায় তার নাম রয়েছে। সম্প্রতি শহীদ আকুবালী শাহ্ তার ভাই মৃত আকবর আলী শাহ্ ও সোমাদ্দারখালী গ্রামের খান বেলায়েত হোসেনকে পিচ কমিটির সদস্য উল্লেখ কতিপয় ব্যক্তি অপপ্রচার চালাচ্ছে। অথচ ’৭১ সালে হিন্দুদের জানমাল রক্ষা করতে গিয়ে আকুবালী শাহ শহীদ হন বলে বক্তারা উল্লেখ করেন। আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জনৈক হাবিবুর রহমান ও তার লোকজন এসব অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন বক্তারা।
×