ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

পুঁজিবাজারে ৫০৯ কোটি টাকা লেনদেন

প্রকাশিত: ০৭:০৭, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

পুঁজিবাজারে ৫০৯ কোটি টাকা লেনদেন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দীর্ঘ পতনের পরে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো দুই পুঁজিবাজারেই সূচকের উর্ধমুখী ধারায় লেনদেন হয়েছে। শুধু তাই নয়, গত কয়েকদিন ধরে বাজারের লেনদেন যেখানে চার শ’ কোটি টাকার নিচে নেমে গিয়েছিল সেখানে মঙ্গলবারে প্রধান বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৫০৯ কোটি ৭৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন হয়েছে ৩০ কোটি টাকার। যদিও উভয় বাজারেই দরবৃদ্ধির শীর্ষে ছিল স্বল্প মূলধনী কিন্তু দর বেশি এমন কোম্পানির দর বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে। তবুও টানা দুই দিনে সূচক ও লেনদেন বৃদ্ধিকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, গত কিছুদিন ধরে নানা গুজব এবং নেতিবাচক মন্তব্যে বাজারে কিছুটা আস্থার সঙ্কট চলছিল। একইসঙ্গে চলতি মাসে একটি কোম্পানির বিডিং এবং দুই কোম্পানির আইপিও আবেদনের তারিখ থাকায় অনেকেরই নগদ টাকার চাহিদা ছিল। তবুও বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এ্যাসোসিয়েশনের নব নির্বাচিত কমিটি, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড একচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি), ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি), এফবিসিসিআইসহ বাজার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে দীর্ঘ আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন বাজারে স্থিতিশীলতা ফেরাতে। সব মিলে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বাড়ার কারণেই বাজারে কিছুটা হলেও গতি ফিরে এসেছে। বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, মঙ্গলবার ডিএসইতে ৫০৯ কোটি ৭৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৩৯৩ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন। সে হিসেবে শেয়ার লেনদেন বেড়েছে ১১৬ কোটি টাকা বা ২৯ দশমিক ৫৪ শতাংশ বেশি। ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয় ৩২০টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৫৭টির, কমেছে ১২৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৮টির শেয়ার দর। সকালে ইতিবাচক প্রবণতা দিয়ে শুরুর পরে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বা প্রধান মূল্য সূচক ৩০ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৫৯১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ১০ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে এক হাজার ১১১ পয়েন্টে। ডিএস৩০ সূচক ১৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৭৪৬ পয়েন্টে। ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে থাকা দশ কোম্পানি হলো -বেক্সিমকো ফার্মা, স্কয়ার ফার্মা, সিটি ব্যাংক, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন এ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি, অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, আইটিসি, সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল রিফাইনারি, এ্যাপোলো ইস্পাত, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ এবং আরএকে সিরামিকস (বাংলাদেশ)। দর হারানোর সেরা কোম্পানিগুলো হলো : ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টস, ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স, আইসিবি এমপ্লয়ীজ প্রথম মিউচুয়াল ফান্ড, আইটিসি, মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ, তাল্লু স্পিনিং, অলটেক্স, ইমাম বাটন, ডেফোডিল কম্পিউটার ও সিনো বাংলা ইন্ডাস্ট্রিজ। এদিকে ঢাকার বাজারের সূচক ও লেনদেন বৃদ্ধির দিনে অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক একচেঞ্জেও সূচকের দেখা গেছে। তবে সেখানে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ কিছুটা কমেছে। সার্বিকভাবে সিএসই সার্বিক সূচক ১১০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ১৫০ পয়েন্টে। সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২৫৪টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১১৫টির, কমেছে ১০১টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৮টির।
×