ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

চবির চতুর্থ সমাবর্তন ৩১ জানুয়ারি

প্রকাশিত: ০৫:৪৪, ২৫ জানুয়ারি ২০১৬

চবির চতুর্থ  সমাবর্তন ৩১ জানুয়ারি

চবি সংবাদদাতা ॥ অবশেষে প্রতীক্ষার অবসান ঘটতে চলেছে। স্বপ্নের সমাবর্তন বাস্তবে ধরা দেবে আগামী ৩১ জানুয়ারি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ সমাবর্তনে অংশ নেবেন ৭ হাজার ১৯৪ জন গ্রাজুয়েট। তাদের বরণ করে নিতে চবিতে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। সমাবর্তন সফল ও সুন্দর করতে দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, সমাবর্তন অনুষ্ঠানটি হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মোঃ আবদুল হামিদ। ইতোমধ্যেই সেখানে শুরু হয়ে গেছে স্টেজ ও প্যান্ডেল তৈরির কাজ। সমানতালে চলছে হেলিপ্যাড নির্মাণের কাজও। কেন্দ্রীয় মাঠের হেলিপ্যাডেই রাষ্ট্রপতিকে বহনকারী হেলিকপ্টার অবতরণ করবে বলে জানা গেছে। এদিকে রাষ্ট্রপতির আগমনকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ে নেয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। জানা যায়, সমাবর্তনের দিন রাষ্ট্রপতি অনুষ্ঠান স্থলে প্রবেশের সময় হবে শোভাযাত্রা। জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হবে। এরপর ধর্মীয় গ্রন্থ থেকে পাঠ। তারপরই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষণা করবেন রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মোঃ আবদুল হামিদ। রাষ্ট্রপতি উদ্বোধন ঘোষণার পর শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী। তারপরই বক্তব্য রাখবেন ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর আব্দুল মান্নান। সমাবর্তনে আরও বক্তব্য রাখবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ইমেরিটাস আনিসুজ্জামান। এরপর রাষ্ট্রপতি তিনজনকে ডিগ্রী প্রদান করবেন। তারপর রাষ্ট্রপতি ও উপাচার্য পরস্পর ক্রেস্ট বিনিময় করবেন। ক্রেস্ট বিনিময় শেষে রাষ্ট্রপতি বক্তব্য রাখবেন। পরে জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্তির কথা রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গ্র্যাজুয়েটরা আগামী ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি চবির ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ অডিটরিয়াম থেকে তাদের সমাবর্তন গাউন সংগ্রহ করতে পারবেন। এছাড়াও অনুষ্ঠানের দিন পুরাতন আইন অনুষদের সামনের বুথ থেকেও গাউন সংগ্রহ করতে পারবেন। সমাবর্তনের দিন সকাল ১০টা থেকেই গ্র্যাজুয়েটরা তাদের গাউন এবং একই সঙ্গে তাদের খাবারের প্যাকেট সংগ্রহ করবেন। দেড়টার পর আর কাউকে সমাবেশ স্থলে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না বলেও জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বেলা আড়াইটা থেকে শুরু হবে সমাবর্তন অনুষ্ঠান। ঘণ্টাব্যাপী এ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম বিভাগীয় সকল মন্ত্রী, এমপি, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের বর্তমান ও সাবেক মেয়র, নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি, সরকারের উর্ধতন কর্মকর্তা, চট্টগ্রামের পাবলিক প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের উপাচার্যসহ গণমাণ্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থাকবেন। সমাবর্তনে আগতদের সুবিধার্থে ওই দিন সকাল-বিকেল চার জোড়া বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ আব্দুর রব হলের মাঠ ও এর আশপাশে গাড়ি পার্কিংয়ের মূল স্থান হিসেবে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে চবি প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরী জানান, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ সমাবর্তনকে কেন্দ্র করে আমরা ব্যাপক প্রস্ততি নিয়েছি। অনুষ্ঠান স্থলে মোবাইল ফোন বা কোন ধরনের ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস নিয়ে প্রবেশ করা যাবে না বলেও জানান তিনি। প্রসঙ্গত, ১৯৬৬ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর তিন বার সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৯৪ সালে। এরপর ১৯৯৯ সালে অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় সমাবর্তন। সর্বশেষ সমাবর্তনটি হয় ২০০৮ সালে।
×