ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ফিট থাকতে প্রাণীরাও ব্যায়াম করে!

প্রকাশিত: ০৬:৩৫, ২৩ জানুয়ারি ২০১৬

ফিট থাকতে প্রাণীরাও  ব্যায়াম করে!

দেহকে কর্মক্ষম রাখতে শুধু মানুষ নয় কিছু প্রাণীও নিয়মিত ব্যায়াম করে। মেদ ঝড়াতে দৌড়ঝাপ ও শারীরিক কসরত করে। যেমন ইঁদুর কোন চাকা জাতীয় জিনিস পেলে তাতে দৌড়াতে শুরু করে। পা-া যোগাসনের মতো বসে থাকে ও নিয়মিত হাঁটে। মেরু ভল্লুক ও পেঙ্গুইন রীতিমতো উপোস থাকে। মেরু ভল্লুক কখনও কখনও সাপ, ব্যাঙ ও সজারুর মতো শীত নিদ্রায় যায়। আর সে মুরু অঞ্চলের এক জাতীয় রাজহাঁস প্রতিদিন নিয়মিত হাঁটে। পেঙ্গুইনতো শরীরের মেদ না ঝরা পর্যন্ত সাগরে ফিরে যায় না। সম্প্রতি রোহেম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গকেষক এসব তথ্য জানিয়েছে। গবেষণা দলটির প্রধান ড. লুইস হ্যালসে বলেন, মানুষের যেমন জীবদ্দশায় শক্তির প্রয়োজন হয়। প্রাণীর বেলায়ও ঠিক তাই। অন্যপ্রাণীর হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে, খাবারের জন্য শিকার ধরা এবং প্রজননের জন্য শক্তির দরকার হয় এগুলোর। আবার যখন প্রাণীর দেহে কোন কারণে অতিরিক্ত মেদ জমে তখন মানুষের মতো প্রাণীও এই অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে নানা কসরত করে। আমাদের দীর্ঘ গবেষণায় বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। আমরা চমকে উঠেছি যে, অনেক প্রাণী অতিরিক্ত মেদ ঝরিয়ে নিজেকে ফিট রাখতে নিয়মিত ব্যায়াম করে। আবার সঙ্গীনিকে খুশি রাখতে এবং সহজে শিকার ধরতেও অনেক প্রাণী শরীরটাকে হালকা রাখার চেষ্টা করে। তবে এসব প্রাণী প্রয়োজনের তুলনায় কখনও অতিরিক্ত ব্যায়াম করে না। রোহেম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ইকো-ফিজিওলজিস্টরা পরীক্ষাগারে মোটা হয়ে যাওয়া কয়েকটি ইঁদুরের সামনে একটি চাকা রাখতেই এগুলো দৌড়াতে শুরু করে। লুইস হ্যালসে বলেন, আর গানের পাখিগুলো শীতকালের সঙ্গে নিজেকে খাপ খাওয়াতে নিজের ওজন কমায়। এজন্য পাখিগুলো একটু জোরে গান গায়, পাশাপাশি ডানা ঝাপটায়। ডলফিন মোটা হয়ে গেলে শিকার ধরার জন্য দূরবর্তী স্থানকে টার্গেট করে। বড় ও মোটাসোটা পা-াগুলো দৈনিক ২৭ মিটার পর্যন্ত হাঁটে। তিনি আরও বলেন, প্রাণীদের ব্যায়াম নিয়ে গবেষণা বিশ্বে এই প্রথম। এদের এসব কার্যক্রম দীর্ঘ পরীক্ষার পর মনে হয়েছে প্রাণীগুলো নিজেদের ফিট রাখতেই নিয়মিত ব্যায়াম করে থাকে। এর সঙ্গে অন্য কোনও কারণ জড়িত নেই। -ডেইলি মেইল অবলম্বনে।
×