ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে গণসঙ্গীত শিল্পী ফকির আলমগীর সংবর্ধিত

প্রকাশিত: ০৫:৩৫, ১৩ জানুয়ারি ২০১৬

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে গণসঙ্গীত শিল্পী ফকির আলমগীর সংবর্ধিত

স্টাফ রিপোর্টার ॥ গণসঙ্গীতে অসামান্য অবদানের জন্য সম্প্রতি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকার বিশেষভাবে সম্মানিত করেছেন গণসঙ্গীত শিল্পী ফকির আলমগীরকে। এ সম্মানপ্রাপ্তি উপলক্ষে মঙ্গলবার শিল্পীকে দেয়া হলো সংবর্ধনা। নানা আনুষ্ঠানিকতায় বিকেলে জাতীয় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রাঙ্গণে এ সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। গানের সুরে, কবিতার ছন্দে, নৃত্যের নান্দনিকতায় ও বিশিষ্টজনদের নিবেদিত আলোচনায় জানানো হয় ভালবাসা। সংস্কৃতিকর্মীদের সরব উপস্থিতি ও আড্ডায় অনুষ্ঠানটি হয়ে ওঠে প্রাণবন্ত। আনন্দময় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে গণসঙ্গীতশিল্পী ফকির আলমগীর সংবর্ধনা পর্ষদ। সম্মেলক কণ্ঠের সুরের আশ্রয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। মঞ্চের চারপাশ ঘিরে দাঁড়ানো গণসঙ্গীত সমন্বয় পরিষদের শিল্পীরা গেয়ে শোনান পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে রক্ত লাল রক্ত লাল রক্ত লাল...। গানের সুর থামতেই মুদ্রা ও অভিব্যক্তির প্রকাশে নৃত্য পরিবেশন করে স্পন্দনের শিল্পীরা। এরপর শুরু হয় শিল্পীকে ফুলেল শুভেচ্ছা নিবেদন ও তাঁকে নিবেদিত বিশিষ্টজনদের আলোচনা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। পর্ষদের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার, মামুনুর রশীদ, নাসির উদ্দিন ইউসুফ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফ ও আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আহ্কাম উল্লাহ্্। স্বাগত বক্তব্য দেন পর্ষদের সদস্য সচিব ঝুনা চৌধুরী। সংবর্ধনা পর্ষদের পক্ষ থেকে গোলাম কুদ্দুছ ও প্রধান অতিথিসহ অন্য অতিথিরা ফকির আলমগীরকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এছাড়া সাংগঠনিকভাবে ফুলেল শুভেচ্ছা জানায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ গণসঙ্গীত সমন্বয় পরিষদ, বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ, ঋষিজ শিল্পী গোষ্ঠী, ভোরের পাখি নৃত্যকলা কেন্দ্র, ক্রান্তি শিল্পী গোষ্ঠী, কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসর, ঢাকা রঙ্গপীঠ, দনিয়া সাংস্কৃতিক জোট, সুরতাল, স্র্রোত আবৃত্তি সংসদ, মুক্তিযুদ্ধ একাডেমি, চন্দ্রকলা থিয়েটার, বহ্নিশিখা, উজান, আনন্দন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সঞ্চালনা করেন মানজার চৌধুরী সুইট। ফকির আলমগীরের জীবনী পাঠ করেন ঝর্ণা আলমগীর। রাশেদ খান মেনন বলেন, দেশে ফকির আলমগীরের নানা সম্মাননার পাশাপাশি এবার যুক্ত হয়েছে আন্তর্জাতিক সম্মাননা। এটি রাষ্ট্রেরও সম্মান বৃদ্ধি করেছে। কেবল তিনি নিজে নন, গণসঙ্গীতে যেন তাঁর অনুসারী রেখে যেতে পারেন সেই কামনা করি। রামেন্দু মজুমদার বলেন, কিছু কিছু সম্মাননা আছে যা ব্যক্তিগত পর্যায়ে থাকে না, সবার মাঝে ছড়িয়ে যায়। ফকির আলমগীর তেমনই একটি সম্মাননা পেয়েছেন। আমরা চাইব শিল্পীর কণ্ঠ যেন কখনও স্তব্ধ না হয়, সে কণ্ঠ যেন সারাজীবন মানুষের গান গেয়ে যেতে পারে। মামুনুর রশীদ বলেন, গণসঙ্গীতের আকালের দিনে আজ একটি সুদিন। কারণ, এখন দুই বাংলাতেই অবহেলিত গণসঙ্গীত। একসময় আমরা হেমাঙ্গ বিশ্বাস, সলিল চৌধুরীর মতো বিখ্যাত গণসঙ্গীতশিল্পীদের গান শুনেছি। গত শতকের ত্রিশ ও চল্লিশের দশকে গণসঙ্গীতের একটা বিশেষ আবহ তৈরি হয়েছিল। এখন আর গণসঙ্গীতের সেই জোয়ারটি নেই। তবে এই খরার মাঝেও দীর্ঘদিন ধরে স্বতন্ত্র কণ্ঠস্বর নিয়ে গণসঙ্গীত গাইছেন ফকির আলমগীর। রাজনীতির মাঠে কিংবা আন্দোলনের মাঠে গেয়েছেন গণসঙ্গীত। আশা করি, অনেক অনুসারী সৃষ্টির মাধ্যমে গণসঙ্গীতকে তিনি নিয়ে যাবেন উচ্চ স্থানে। অনুভূতি প্রকাশ করে ফকির আলমগীর বলেন, এ সম্মাননার মাধ্যমে যেন আমায় নয়, সম্মান জানানো হয়েছে গণসঙ্গীতকে। পশ্চিমবঙ্গে এই সম্মাননা দেয়া হয়েছে গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর। আমি তখনই এ সম্মাননাটি শহীদ বুদ্ধিজীবীদের উৎসর্গ করি। আজকে ৫০ বছর ধরে আমি গণসঙ্গীত নিয়ে কাজ করছি। জীবনের ঝুঁকি নিয়েও গান করেছি, গণসঙ্গীতের পাতাকাকে সমুন্নত রেখেছি। নতুন প্রজন্ম গণসঙ্গীতকে আরও সমসাময়িক করে তুলেবে এ প্রত্যাশা করি। আলোচনা শেষে ছিল সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। এ পর্বে একক কণ্ঠে আবৃত্তি করেন মাসকুর এ সাত্তার কল্লোল ও নায়লা তারাননুম কাকলী। দলীয় সঙ্গীত পরিবেশন করে উদীচী, ক্রান্তি, ঋষিজ, বহ্নিশিখা, স্বভূমি, সত্যেন সেন শিল্পী গোষ্ঠী, আনন্দন। শিশু-কিশোর পরিবেশনায় অংশ নেয় খেলাঘরের আসর। মাসব্যাপী লোককারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসব শুরু কাল ॥ বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের আয়োজনে কাল বৃহস্পতিবার থেকে নারায়ণগঞ্জের সোনাগাঁও ফাউন্ডেশন চত্বরে শুরু হচ্ছে মাসব্যাপী লোককারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসব-২০১৬। এদিন সকাল ১১টায় ফাউন্ডেশনের লোকজ মঞ্চে প্রধান অতিথি হিসেবে মেলার উদ্বোধন করবেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি সিমিন হোসেন রিমি। বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউ-েশনের পরিচালক রবীন্দ্র গোপের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থাকবেন নারায়ণগঞ্জের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা, সংস্কৃতি সচিব আক্তারী মমতাজ ও নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোঃ আনিছুর রহমান মিঞা। মঙ্গলবার সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জনান। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি সচিব আক্তারী মমতাজ এবং বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউ-েশনের পরিচালক রবীন্দ্র গোপ। সংস্কৃতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সার্বিক পৃষ্ঠপোষকতায় এবং শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের ঐকান্তিক চেষ্টায় গড়ে ওঠে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন। ঐতিহাসিক সোনারগাঁয়ে বাংলাদেশের লোক ও কারুশিল্প ঐতিহ্যের নিদর্শন সংগ্রহ, সংরক্ষণ, গবেষণা, প্রদর্শন এবং পুনরুজ্জীবনের লক্ষ্যে এ ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করা হয়। আসাদুজ্জামান নূর আরও বলেন, দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, কৃষ্টি ও সংস্কৃতি হাজার বছরের প্রাচীন। অতীত ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় আমাদের নিজস্ব লোকজ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে অকৃত্রিমভাবে উপস্থাপন করা এবং দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের লুপ্তপ্রায় লোকজ ঐতিহ্যের অনন্য উপাদান পুনরুদ্ধার ও নতুন প্রজন্মকে তার সাথে পরিচয় করানোর প্রচেষ্টায় ফাউন্ডেশন প্রতিবছর আয়োজন করছে লোককারুশিল্পমেলা ও লোকজ উৎসব। গ্রাম-বাংলায় ছড়িয়ে থাকা অবহেলিত কারুশিল্পী, লোকসঙ্গীত শিল্পীদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে প্রতিভা বিকাশ ও প্রকাশের সুযোগ করে দেয়াই এ মেলা ও লোকজ উৎসবের অন্যতম উদ্দেশ্য। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বাংলাদেশের পল্লী অঞ্চল থেকে ৪৮ জন কারুশিল্পী এ মেলায় অংশ নিচ্ছে। নওগাঁ ও মাগুরার শোলাশিল্প, রাজশাহীর শখের হাঁড়ি, চট্টগ্রামের তালপাতার হাতপাখা, রংপুরের শতরঞ্জি, সোনারগাঁয়ের হাতি ঘোড়া পুতুল ও কাঠের কারুশিল্প, নকশিকাঁথা, বেত ও বাঁশের কারুশিল্প, মুন্সীগঞ্জের শীতল পাটি, কুমিল্লার তামা-কাঁসা-পিতলের কারুশিল্প, রাঙামাটির ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠীর কারুপণ্য, কিশোরগঞ্জের টেরাকোটাশিল্প এ মেলায় স্থান পাচ্ছে। এ মেলায় মোট স্টলের সংখ্যা ১৭২টি। এবারই প্রথম ‘বাংলাদেশের গৌরবগাথা আমাদের এই নকশিকাঁথা’ শিরোনামে নকশিকাঁথার বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে। দেশের প্রথিতযশা ১২জন কাঁথাশিল্পী এ প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করবেন। মাসব্যাপী এ মেলা ও লোকজ উৎসবের বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালায় নানাবিধ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- বাউল গান, পালা গান, কবি গান, ভাওয়াইয়া ও ভাটিয়ালী গান, জারি গান, সারি গান, হাছন রাজার গান, লালন সংগীত, মাইজভা-ারি গান, মুর্শিদী গান, আলকাপ গান, গাঁয়ে হলুদের গান, বান্দরবান, কমলগঞ্জের-মণিপুরী, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শরিয়তী-মারফতি গান, ছড়া পাঠের আসর, পুঁথি পাঠ, গ্রামীণ খেলা, লাঠি খেলা, ঘুড়ি ওড়ানো, লোকজ জীবন প্রদর্শনী, লোকজ গল্প বলা, পিঠা প্রদর্শনী ইত্যাদি। মাসব্যাপী মেলা ও উৎসবে কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম, বারী সিদ্দিকী, ইন্দ্রমোহন রাজবংশী, দীপ্তি রাজবংশী, ফকির আলমগীর, কিরণ চন্দ্র রায়, মধু, রুবি সরকার, ছোট খালেক দেওয়ান, আইনাল হক বাউলসহ প্রায় একশত শিল্পী সান্ধ্যকালীন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে লোকসঙ্গীত পরিবেশন করবেন। চাষী নজরুল ইসলাম স্মরণ ॥ প্রথম প্রয়াণবার্ষিকীতে স্মরণ করা হলো বরেণ্য চলচ্চিত্র নির্মাতা চাষী নজরুল ইসলামকে। মঙ্গলবার দুপুরে এ স্মরণানুষ্ঠানের আয়োজন করে চাষী নজরুল ফাউন্ডেশন। জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে চাষী নজরুল ইসলামের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি জ্যোৎস্না কাজীর সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন রাজনীতিবিদ কাদের সিদ্দিকী, প্রবীণ চলচ্চিত্র নির্মাতা সাঈদুর রহমান সাঈদ, সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ.ফ.ম ইউসুফ হায়দার বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এ জেড এম জাহিদ হোসেন, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক, কণ্ঠশিল্পী মনির খান, প্রয়াত চিত্রনায়ক মান্নার সহধর্মিণী শেলী মান্না, চাষী নজরুলের কন্যা আন্নী ইসলাম, প্রয়াত রাজনীতিক মশিউর রহমান জাদু মিয়ার কন্যা রিটা রহমান প্রমুখ। এছাড়া চাষী নজরুল ইসলামের ভাই চাষী মফিজুল ইসলাম ও চাষী সিরাজুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, ‘চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে সচেতনভাবে উপস্থাপন করেছেন চাষী নজরুল ইসলাম। চলচ্চিত্র তথা শিল্প ও সংস্কৃতির দায় মেটাতে চাষী নজরুলের মতো একজন মানুষ খুব দরকার। কাদের সিদ্দিকী বলেন, চাষী নজরুল ইসলাম মাটি ও মানুষের সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে কাজ করেছেন। মানুষের যাপিত জীবনের আনন্দ বেদনাকে আত্মস্থ করেছেন এবং সেসব বিষয়কে চলচ্চিত্রে রূপ দান করেছেন। হয়ত সেকারণেই তিনি বেঁচে থাকবেন। স্মরণসভায় চলচ্চিত্রাঙ্গনের ব্যক্তিত্বদের অনুপস্থিতিতে আক্ষেপ প্রকাশ করেন চাষী নজরুল ইসলামের সহধর্মিণী জ্যোৎস্না কাজী। তিনি বলেন, ‘চাষী নজরুল ইসলাম চারবার চলচ্চিত্র সমিতির সভাপতি ছিলেন, নির্মাণ করেছেন অনেক কালজয়ী চলচ্চিত্র। কিন্তু আজ তার স্মরণসভায় কাউকে দেখতে পাচ্ছি না। এটা খুব দুঃখজনক। জš§দিনে সংবর্ধিত তাসমিমা হোসেন ॥ মঙ্গলবার ছিল ইত্তেফাকের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও পাক্ষিক অনন্যা সম্পাদক তাসমিমা হোসেনের ৬৫তম জš§দিন। এ উপলক্ষে জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে সংবর্ধনানুষ্ঠানের আয়োজন করেন তাঁর সুহƒদরা। অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে জীবনসঙ্গী পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, মেয়ে তারিন হোসেনসহ পরিবারের সদস্য আর পথ চলার সঙ্গীদের নিয়ে কেক কাটেন তিনি। সংবর্ধনার জবাবে তাসমিমা হোসেন বলেন, জন্মদিন একটি ব্যক্তিগত বিষয়, যা প্রতিবছর আমি আমার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে করি। এবার আমার সহকর্মী, সুহƒদরা জš§দিনের আয়োজনে করে আমার সত্যিকারের বয়স সবার সামনে তুলে ধরেছেন। তিনি আরও বলেন, ষাটের দশকে যাদের জš§, তাদের জন্য নারীবাদী হয়ে ওঠাটা কঠিন। আমার ক্ষেত্রেও এ পথচলা সহজ ছিল না। আমি আমার অনন্যা পত্রিকাকে একটি নেটওয়ার্ক হিসেবে মনে করি। সেখান থেকেই সবকিছু। আমি শুধু অর্থই দেই, বাকিরা সব কাজ করে। এটা একটা পরিবারের মতো। এর মাধ্যমে সবাইকে চেনা যায়, তাদের সঙ্গে চলা যায়। সাংবাদিক ফারজানা রূপার সঞ্চালনায় তাসমিমা হোসেনকে নিয়ে কথা বলেন ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী, কবি কাজী রোজী, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি, লেখক ঝর্ণা দাশ পুরকায়স্থ, চিত্রশিল্পী কালিদাস কর্মকার প্রমুখ।
×