ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ভোটকেন্দ্র স্থাপন অত্যাবশ্যক

প্রকাশিত: ০৩:৪০, ১১ জানুয়ারি ২০১৬

ভোটকেন্দ্র স্থাপন অত্যাবশ্যক

মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর থানার অন্তর্গত বৃহত্তম আড়িয়ল বিলবেষ্টিত ৬নং শ্যামসিদ্ধি ইউনিয়ন ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত। প্রত্যন্ত এলাকার নাম শ্যামসিদ্ধি ইউনিয়ন যার তিন দিকে বিখ্যাত আড়িয়ল বিল, মত্তগ্রাম ও নতুন বাজার। গ্রামটি পরস্পর প্রতিবেশী দুটি গ্রাম নিয়ে একটি ওয়ার্ড। এ ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা অন্য সব ওয়ার্ডের দ্বিগুণ হলেও ভোট কাস্ট হয় সব চাইতে কম। মত্তগ্রাম থেকে নতুন বাজার গ্রামের দূরত্ব এক কিলোমিটার; অথচ মত্তগ্রামে অবস্থিত ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে আসতে হয় ২০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে। কারণ মত্তগ্রাম ও নতুনবাজার গ্রামের মধ্যে আড়িয়ল বিল যোগাযোগের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে আছে। যে কারণে প্রায় ১১/১২ শ’ ভোটারের মধ্য সিকি পরিমাণ পুরুষ ভোটারর বালাশুর, রাঢ়িখাল, তিনদোকান, মাঝপাড়া প্রভৃতি অন্যসব ইউনিয়নের দীর্ঘপথ ৩/৪ ঘণ্টায় হেঁটে মত্তগ্রামের ভোটকেন্দ্রে এসে ভোট দিতে হয়। কোন কোন মহিলা ভোটার দুরবস্থার কথা চিন্তা করে ভোটকেন্দ্রে আসতে অনীহা প্রকাশ করে। ভোটের দিন যানবাহন বন্ধ থাকার কারণে হেঁটে আসাই একমাত্র ভরসা। বিষয়টি জনগুরুত্বপূর্ণ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে নতুনবাজার গ্রামে নতুন একটি ভোটকেন্দ্র ঘোষণা করে ১১-১২শ’ ভোটারের ভোট দেয়ার সুযোগ দেয়া অত্যন্ত জরুরী। নতুনবাজার গ্রামটি ঢাকা-দোহার বিশ্বরোডের কাছাকাছি একটি গ্রাম। যেখানে ব্যাংক, ডাকঘর, স্কুল, মাদরাসা, এনজিওসহ সকল সুযোগ-সুবিধা বিদ্যমান। কাছেই রয়েছে পুলিশ ফাঁড়ি ও র‌্যাব-১১-এর কার্যালয়। গ্রামটির তিনদিকে রয়েছে উন্নতমানের পাকা সড়ক। নিরাপত্তার সকল সুযোগ-সুবিধা বর্তমান। নির্বাচন কমিশন ও সরকারি সংশ্লিষ্ট বিভাগ মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর থানার অন্তর্গত শ্যামসিদ্ধি ইউনিয়নে নতুনবাজার গ্রামে একটি নতুন ভোটকেন্দ্র স্থাপনের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেÑ এটা এলাকাবাসীর দাবি। মেছের আলী শ্রীনগর, মুন্সীগঞ্জ নারীর প্রতি সহিংসতা নয় সংবাদ মাধ্যমে জানতে পারলাম, কোন এক পাষ- স্বামী ছুরি দিয়ে তার স্ত্রীর দু’চোখ খুঁচিয়ে অন্ধ করে দিয়েছে। স্ত্রীর নাম শিউলী আক্তার। প্রথম স্বামীর মৃত্যুর পর বিয়ে করে তার আপন চাচাত ভাইকে। নাম তার জুয়েল হাসান। জুয়েল মাদকাসক্ত ছিল। টঙ্গীতে ইট-বালুর ব্যবসা করত। বিয়ের পর শিউলী জানতে পারেন তার স্বামী মাদকাসক্ত। জুয়েল হাসান ইয়াবাসহ প্রায় সব রকম মাদকেই আসক্ত। নিয়মিত নেশার টাকার জন্য শিউলীকে মারধর করত জুয়েল। সে শিউলীকে চাপ দিতে থাকে আগের স্বামীর আত্মীয়দের কাছ থেকে প্রাপ্য সম্পত্তি বুঝে নিতে। সেই সম্পত্তি বিক্রি করে নেশার টাকা এনে দেয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে শিউলীকে। শিউলী এতে রাজি না হলে জুয়েল এক বিকেলে বাসায় ফিরে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে চাকু ঢুকিয়ে দেয় শিউলীর চোখের ভেতর। খুঁচিয়ে উপড়ে ফেলে তার দু’চোখ। দেশে নারী নির্যাতন এখন প্রায় নিত্যদিনের ঘটনা। প্রতিদিনই নারী ও শিশুরা নানাভাবে নির্যাতিত হচ্ছে। সম্প্রতি নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা বাড়ছে। আসামিরা প্রায়ই ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে। ধরা পড়লেও তাদের বিচার ও বা শাস্তি হচ্ছে না। প্রায়ই আসামিরা বের হয়ে যাচ্ছে জামিন পেয়ে। গত কয়েক বছর নারীর ক্ষমতায়ন বেড়েছে। আর অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নারীর অগ্রগতির চোখে পড়ার মতো। এরপরও নারীরা অবহেলিত, ধর্মীয় ও সামাজিক কুসংস্কার সর্বোপরি একশ্রেণীর পুরুষের মানসিকতায় নারী উন্নয়নে অগ্রগতি আসছে না। নারীর প্রতি সহিংসতার শাস্তি দৃষ্টান্তমূলক হওয়া প্রয়োজন এবং যথাসম্ভব দ্রুত বিচারসহ শাস্তি সুনিশ্চিত করা গেলে সমাজে কেউ অপরাধ করে পার পাবে না। রাষ্ট্র ও আদালতের এ বিষয়ে করণীয় রয়েছে বলে মনে করি। অশোক কুমার সাহা কুমারখালী, কুষ্টিয়া হাতিরঝিলের বেহাল অবস্থা ইতোমধ্যে রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র দৃষ্টিনন্দন হাতিরঝিলে যানজট, অপরিচ্ছন্নতা, নোংরা, টোকাই, হকারদের দৌরাত্ম্য, উল্টো পথে যানবাহন চলাচল, ড্রাইভিং শেখানো এবং সন্ধ্যার পর আজেবাজে লোকজনের অসামাজিক কাজকর্ম দেখে নগরবাসী ক্ষুব্ধতা প্রকাশ করছে। উল্লেখ্য যে, এই হাতিরঝিল প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কাজ খুব কঠিন ছিল। একমাত্র প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক ইচ্ছার কারণেই এই প্রকল্পটি আলোর মুখ দেখতে সক্ষম হয়েছে। এখনও এই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়নি। তবে সেনাবাহিনী কাজটি হাতে নিয়েছিল বলে দেশবাসী আজ হাতিরঝিলকে পরিপূর্ণভাবে দেখার সুযোগ পেয়েছে। সে জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ। আমরা জানি সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য এই হাতিরঝিলের প্রকল্পকে গুলশান-বনানী লেকের সঙ্গে সংযোগ ছাড়াও হাতিরঝিলের পানি পরিশোধনের মাধ্যমে দুর্গন্ধমুক্ত করার কথা রয়েছে। দুর্ঘটনা থেকে শুরু করে ছিনতাই এবং লেকের পানিতে ডুবে মরার মতো বেশকিছু ঘটনা হাতিরঝিলে ঘটেছে। নিরাপত্তা এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি একটু গুরুত্বের সঙ্গে দেখা উচিত হবে। মোটামুটি হাতিরঝিল প্রকল্পটি দেখে দেশবাসী খুশী তবে এর রক্ষণাবেক্ষণে যথেষ্ট উদাসীনতাকে প্রশ্রয় না দেয়ার অনুরোধ জানান। জনগণ যে নিরাপদে ও স্বাচ্ছন্দ্যে হাতিরঝিলে চলাচল ও ঘুরে বেড়াতে পারে সে দিকে দৃষ্টি দেয়ার জন্য গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রতি অনুরোধ জানাই। মাহবুব উদ্দিন চৌধুরী গে-ারিয়া, ঢাকা সিপাহীবাগ বাজারে ব্যাংকের শাখা চাই ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের অন্তর্গত খিলগাঁও থানাধীন সিপাহীবাগ একটি জনবহুল এলাকা। এখানে একটি বাজার আছে। এখানে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা-বাণিজ্য আছে। এখানকার বহু লোক বিদেশে থাকে। মাত্র একটি ব্যাংকের শাখা আছে। যা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। এখানে সরকারী বা বেসরকারী যা-ই হোক আরও ব্যাংকের শাখা প্রয়োজন। তাই সিপাহীবাগ বাজারে ব্যাংকের শাখা খোলার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আবদুল মজিদ সিপাহীবাগ, ঢাকা
×