ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কুড়িগ্রামে যে প্রার্থীর পোস্টারে ছবি নেই

প্রকাশিত: ০৪:২০, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৫

কুড়িগ্রামে যে প্রার্থীর পোস্টারে ছবি নেই

স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম ॥ নির্বাচনে আলোচিত কাউন্সিলর প্রার্থী রোস্তম আলী তোতা। ৯টি ওয়ার্ডে ৬০ কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে এক মাত্র তোতার পোস্টারে প্রার্থীর ছবি নেই। এ নিয়ে মানুষের কৌতূহলের শেষ নেই। কিন্তু তোতার সাফ কথা ছবি নয় নাম ও কাজে পরিচয়। ১৯৮১ সাল থেকে টানা ৬ দফা নির্বাচন করে ৩৪ বছর থেকে ৩নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে রয়েছেন। তবে এটি তার ৮ম নির্বাচন। কারণ ’৭৯ সালে কাউন্সিলর পদে উপ-নির্বাচনে একবার ভোট করে পরাজিত হন। এই পরাজয় যে শিক্ষা দিয়েছে, তারপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। মানুষের হৃদয়ে বিশেষ জায়গা করে নিতে পেরেছেন। আর তাই প্রতিবারেই সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়ে আসছেন। এবারও তিনি আশাবাদী। শিশু সংগঠন মুকুল ফৌজের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সামাজিক কাজের সূচনা। এখন শিশু, নারী, পুরুষ, বৃদ্ধ সবার সঙ্গে হৃদয়ের সম্পর্ক। ভোটারদের দাবি সততা, কর্মনিষ্ঠা, দায়িত্ববোধ এবং দীর্ঘদিনের ধারাবাহিক সম্পর্ক রক্ষা করতে পারাই হলো তোতার বড় শক্তি। এ কারণে তিনি বার বার নির্বাচিত হন। সততার কারণে তিনি ওয়ান ইলাভেনের সময় ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। প্রায় ৫ হাজার ভোটার ৩নং ওয়ার্ডে। কম-বেশি প্রতি বাড়িতে তাঁর অবাধ যাতায়াত এবং সুসম্পর্ক। ভোটারার জানান, আসলে তোতা ভাই পাঁচ বছর তাঁর নির্বাচনী এলাকায় মানুষের সঙ্গে মিশে থাকেন। মানুষের বিপদে-আপদে তাকে পাওয়া যায়। এ কারণে দীর্ঘদিনেও তাঁর জনপ্রিয়তা হ্রাস পায়নি। নতুন মুখ দেখতে চায় কচুয়া পৌরবাসী নিজস্ব সংবাদদাতা, কচুয়া, চাঁদপুর, ২৮ ডিসেম্বর ॥ আসছে পৌরসভা নির্বাচনে পুরনো মিথ্যা প্রতিশ্রুতির বেড়াজাল থেকে বের হয়ে সত্যিকারের উন্নয়ন ও প্রতিহিংসামুক্ত মেয়র দেখতে চায় কচুয়া পৌরবাসী। আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী যুবলীগের সভাপতি ও কৃষক লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্বা শুকুমিয়া কমিশনারের সন্তান নাজমুল আলম স্বপন বিজয়ী হয়ে নতুন মুখ হিসেবে চমক দেখাতে পারেন। সাধারণ ভোটারদের প্রতিক্রিয়া মুক্তিযুদ্ধের প্রতি আস্থাশীল ও পৌরবাসীর কল্যাণে ভূমিকা রাখা, মুক্তবুদ্ধির চেতনার ব্যক্তিত্ব যিনি পৌর মেয়র নির্বাচিত হয়ে, রাজনৈতিক মতাদর্শের উর্ধে উঠে সকলের সমস্যা সমাধানে কাজ করতে পারবেন- এমন মেয়র প্রার্থী নির্বাচিত করবে পৌরবাসী। করইয়া গ্রামের জনৈক ভোটার আবুল কালাম বলেন, বিএনপির প্রার্থী বর্তমান মেয়র মোঃ হুমায়ুন কবির প্রধান দীর্ঘ ১২ বছর ক্ষমতায় থেকেও রাস্থাঘাট, ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও খাবার পানির সরবরাহে কোন উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন করতে ব্যর্থ হওয়ার কারণে পৌরবাসী এবার নতুন মুখ যোগ্য প্রার্থীকে বাছাই করে নেবে। দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হওয়ার কারণে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপি প্রার্থীর। তাছাড়া আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী এখনও মাঠে রয়েছে। আওয়ামী লীগের অন্তর্কলহ শেষ করে সবাই একযোগে নৌকা প্রতীকের বিজয় ছিনিয়ে আনতে কাজ করছে, অপরদিকে বিএনপির মধ্যে দলীয় অন্তর্কলহের কারণে প্রচারে পিছিয়ে রয়েছে বিএনপি।
×