ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ঝিনাইদহে সংষর্ঘ ৮ দোকান লুট, আহত দশ

প্রকাশিত: ০৪:১২, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৫

ঝিনাইদহে সংষর্ঘ ৮ দোকান লুট, আহত দশ

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝিনাইদহ, ২৮ ডিসেম্বর ॥ কামলা নেয়াকে কেন্দ্র করে শৈলকুপায় দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। সে সময় ৭-৮টি দোকান-পাট ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ শর্টগানের ৭৬ রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে। সোমবার সকালে শৈলকুপা উপজেলার বগুড়া ইউনিয়নের আওধা গ্রামের বাজার ও মাঠে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। শৈলকুপা থানার ওসি জানান, পেঁয়াজের জমিতে কাজ করার জন্য কামলা ঠিক করা নিয়ে আওধা গ্রামে বগুড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম ও ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমানের সমর্থকদের মধ্যে বাক-বিত-া হয়। তার জের ধরে উভয় পক্ষের লোকজন ঢাল, সরকি, রামদা, লাঠিসোঁটা, ইটপাটকেল নিয়ে তুমূল সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়। রূপগঞ্জে হামলা আহত ১৮ নিজস্ব সংবাদদাতা, রূপগঞ্জ থেকে জানান, জমিসংক্রান্ত বিরোধ ও পূর্বশত্রুতার জের ধরে পৃথক স্থানে প্রতিপক্ষের লোকজন হামলা ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলায় নারীসহ আহত হয়েছেন অন্তত ১৮ জন। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার উপজেলার কাঞ্চন কৃষ্ণনগড়, রাতালদিয়া, পূর্বচনপাড়া ও হাটাবো দক্ষিণপাড়া এলাকায় ঘটে এসব ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে ও আহতরা জানান, জমি-জমা ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে প্রতিপক্ষ কবির হোসেন, আনোয়ার সাখাওয়াতসহ তার লোকজন লাঠিসোঁঠা নিয়ে ব্যবসায়ী কমর উদ্দিনের বাড়িঘরে হামলা ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটনায়। প্রতিবাদ করায় কমর উদ্দিনসহ তার স্ত্রী আছমা বেগম, ছেলে সোহাগ, শুভ ও আল-আমিনকে রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। এ সময় প্রতিপক্ষের লোকজন আছমা বেগমকে শ্লীতহানির ঘটনা ঘটায়। বেলা ১১টার দিকে রাতালদিয়া এলাকায় বাড়ির জায়গা নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষ হারুন ভুঁইয়া, নবী হোসেনসহ তাদের লোকজন দেশীয় অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে গৃহকর্মী রুজিনা আক্তার আয়শার বাড়িঘরে হামলা ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। প্রতিবাদ করায় রোজিনা আক্তার, তার স্বামী ফারুক মিয়া, ছেলে সবুজ, সোহান, ভাই রফিকুল ইসলাম ও শফিকুল ইসলামকে লাঠিপেটা ও কুপিয়ে জখম করে। প্রতিপক্ষ মিলন মিয়া, এলাচি মিয়াসহ তাদের লোকজন গৃহকর্মী ফাহিমা বেগমসহ তার পরিবারের ওপর হামলা চালানো হয়। প্রতিবাদ করায় ফাহিমা বেগমসহ বৃদ্ধা মা ফিরোজা বেগম, বোন সেফালি আক্তার, শুক্কুরি আক্তার ও আমেনা আক্তারকে লাটিপেটা করে আহত করা হয়। সকাল ১০টার দিকে হাটাব দক্ষিণপাড়া এলাকায় সাড়ে ২২ শতাংশ জমি নিয়ে নাজমুল হোসেনের সঙ্গে একই এলাকার মনির হোসেনের বিরোধ চলে আসছিলো। প্রতিপক্ষ নাজমুল হোসেনসহ তার লোকজন ওই জমিতে লাগানো আম, কাঁঠাল, নারিকেল, পেয়ারাসহ বিভিন্ন ধরনের গাছ কেটে ফেলে। প্রতিবাদ করায় নাজমুল হোসেনসহ তার ভাই রফিকুলকে পিটিয়ে আহত করা হয়।
×