অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দিনদিন দেশে আলুর উৎপাদন বেড়েই চলেছে। আলু উৎপাদনে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ বড় ধরনের সফলতাও পেয়েছে। কিন্তু আলু উৎপাদন প্রধান অন্যান্য দেশের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যাবে আলু উৎপাদনে এখনো পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ।
আলু উৎপাদন প্রধান দেশসমূহের মধ্যে বাংলাদেশে
হেক্টর প্রতি প্রায় তিনগুণ কম হারে আলু উৎপাদিত হয়ে থাকে। তবে বর্তমানে উৎপাদিত পরিমাণের চেয়ে ১০ মেট্রিক টন বাড়ানো সম্ভব। এক্ষেত্রে দরকার গুণগত ও মানসম্মত বীজ। শনিবার দুপুরে রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের মিলনায়তনে আলু রফতানি : বর্তমান ও ভবিষ্যত শীর্ষক কর্মশালায় মূল প্রবন্ধে এসব তথ্য জানানো হয়। শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রোমনি বিভাগের প্রফেসর ড. তুহিন শুভ্রা রায় এ প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। আলু রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পটেটো এক্সপোর্টার্স এ্যাসোসিয়েশন (বিপিইএ) ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এগ্রো প্রোডাক্টস বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল (এপিবিপিসি) এ কর্মশালার আয়োজন করে।
তুহিন শুভ্রা রায় বলেন, বাংলাদেশে গড়ে হেক্টরপ্রতি ১৯ দশমিক ৩৭ টন আলু উৎপাদিত হয়। পক্ষান্তরে অন্যান্য আলু উৎপাদন প্রধান দেশে গড়ে হেক্টরপ্রতি গড়ে প্রায় ৬০ টনের মতো উৎপাদিত হয়।
উদাহরণ হিসেবে তিনি জানান, নিউজিল্যান্ডে গড়ে হেক্টর প্রতি ৫৪ টন আলু উৎপাদিত হয়। তবে অন্যান্য দেশে ১৮০ দিনে আলুর ফলন পাওয়া যায়। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশে ৮০ থেকে ৯০ দিনে উৎপাদিত হয়। প্রবন্ধকার বলেন, আমরা যদি গুণগত ও মানসম্মত বীজ সরবরাহ করতে পারি, তাহলে বর্তমানের চেয়ে প্রায় ১০ টন আলু বেশি উৎপাদন করা সম্ভব। আর ফলন বাড়লে রফতানির বাজারও আরও বৃদ্ধি পাবে। এজন্য কন্ট্রাক্ট গ্রোয়ার্সের মাধ্যমে উৎপাদনে যেতে হবে। প্রবন্ধে জানানো হয়, সারাদেশের মধ্য সবচেয়ে বেশি আলু উৎপাদিত হয় মুন্সীগঞ্জে, দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে রংপুর।
যশোর চেম্বার অব কমার্সের নির্বাচন ফের স্থগিত
স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ যশোর চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির দ্বিবার্ষিক নির্বাচন ফের স্থগিত করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার পাঠানো এ বিষয়ক আদেশে পৌর নির্বাচনের পর পুনঃতফসিল ঘোষণার মাধ্যমে এ ভোটগ্রহণের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে চেম্বারের কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে চেম্বারের বর্তমান প্রশাসকের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে আরও ৯০ দিন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব এসএম মাসুদুর রহমান স্বাক্ষরিত এ বিষয়ক পরিপত্রে বলা হয়েছে, চেম্বারের ভোটগ্রহণ নির্বিঘœ করতে চলমান পৌর নির্বাচনের পর যশোর চেম্বারের ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
যশোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও চেম্বার অব কমার্সের প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আদেশপ্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য, আগামী ২৮ ডিসেম্বর যশোর চেম্বার অব কমার্সের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। এ নির্বাচনে ১৯টি পদের বিপরীতে দুটি প্যানেলে ৩৭ প্রার্থী লড়াই করছিলেন।