ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সীতাকুণ্ডে মেয়র প্রার্থীর মাইক ও গাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৪:১১, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৫

সীতাকুণ্ডে মেয়র প্রার্থীর মাইক ও গাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা, সীতাকুণ্ড, চট্টগ্রাম, ২৬ ডিসেম্বর ॥ সীতাকুণ্ডে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীর মাইক ও গাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টায় পৌরসভার পস্থিছিলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় প্রার্থীর প্রচারকর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় উপজেলা রিটার্নিং অফিসারের নিকট একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন মেয়র প্রার্থী নায়েক (অব) শফিউল আলম। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, নৌকা প্রতীক প্রার্থীর সমর্থকরা নারিকেল প্রতীকের প্রচারে নিয়োজিত গাড়ির ওপর হামলা চালিয়েছে। এ সময় মাইক, গাড়ি ভাংচুরসহ আহত করা হয়েছে নারিকেলের সমর্থককে। ঘটনার পরপরই নৌকা প্রতীকের মিছিল নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে সমর্থকরা। তবে ঘটনা অস্বীকার করে সরকারদলীয় নৌকা প্রতীকের মেয়রপ্রার্থী বদিউল আলম বলেন, নারিকেল প্রতীকের ওপর হামলাকারীরা নৌকা প্রতীকের কেউ নয়। স্বতন্ত্র মেয়রপ্রার্থী নায়েক (অব) শফিউল আলম বলেন, ‘সন্ত্রাসী হামলা ও প্রচার কাজে বাধা প্রদানের বিষয়ে উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সীতাকু- থানার ওসি বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। চালনায় প্রার্থীদের মুখে হাসি, হাতে লিফলেট স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা অফিস ॥ চালনা পৌরসভার যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০০৪ সালে। প্রতিষ্ঠার পর ৬ বছর বিভিন্ন সময়ে দায়িত্ব পালন করেছেন নিয়োগকৃত প্রশাসকরা। গত ৫ বছর এ পৌরসভায় নির্বাচিত মেয়র দায়িত্ব পালন করে আসছেন। দীর্ঘ এ সময়ে আইলা-সিডরের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগকবলিত চালনা পৌর এলাকার দৃশ্যমান তেমন কোন উন্নয়ন হয়নি। পৌরবাসীর প্রাপ্তির চেয়ে অপ্রাপ্তির পাল্লাই ভারী থেকে গেছে। এরই মধ্যে আবার ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। প্রচারণায় জমজমাট হয়ে উঠেছে পৌর এলাকা। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটছেন প্রার্থীরা। হাতে লিফলেট মুখে হাসি নিয়ে তারা এলাকার উন্নয়নে দিচ্ছেন নানান প্রতিশ্রুতি। চালনা পৌরসভায় মেয়রপদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনজন প্রার্থী। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষে ‘নৌকা’ প্রতীক নিয়ে সনৎ কুমার বিশ্বাস, বিএনপির পক্ষে ‘ধানের শীষ’ প্রতীকে শেখ আব্দুল মান্নান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ‘জগ’ প্রতীক নিয়ে ভোটযুদ্ধে লড়ছেন বর্তমান মেয়র ড. অচিন্ত্য কুমার ম-ল। ৩ মেয়রপ্রার্থী ছাড়াও এ পৌরসভায় সাধারণ ওয়ার্ড ও সংরক্ষিত আসনে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ৩৯ জন প্রার্থী। এসব প্রার্থী ও দলীয় নেতাদের পদচারণায় সরগরম হয়ে উঠেছে পৌরসভার অলি-গলি। পোস্টারে ছেয়ে গেছে জনবহুল ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো। দোয়া আশীর্বাদ আর ভোট প্রার্থনায় প্রার্থীরা ছুটছেন নির্বাচনী এলাকার একপ্রান্ত থেকে আর একপ্রান্তে। নড়িয়ায় হামলার ভয় মেয়র প্রার্থীর নিজস্ব সংবাদদাতা, শরীয়তপুর, ২৬ ডিসেম্বর ॥ নড়িয়া পৌরসভায় আওয়ামী লীগ মেয়রপ্রার্থী হায়দার আলী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ শহীদুল ইসলাম বাবু রাঢ়ীর মধ্যে জয়-পরাজয়ের ভোটযুদ্ধ হবে হাড্ডাহাড্ডি। তবে নৌকা মার্কার প্রার্থী সন্ত্রাসীদের হামলার ভয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। পাল্টা অভিযোগ করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী শহীদুল ইসলাম বাবু রাঢ়ীও। আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে নড়িয়া পৌরসভায় মেয়র পদে হায়দার আলী নৌকা প্রতীক পাওয়ার পর থেকেই সন্ত্রাসীদের হামলার ভয়ে বেশ কিছুদিন এলাকায় আসতে পারেননি। আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত নড়িয়া পৌরসভায় আওয়ামী লীগ প্রার্থীই নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন। এমতাবস্থায় ঢাকায় অবস্থান করে এমপি-মন্ত্রীদের তদ্বির করে নিরাপত্তা কিছুটা নিশ্চিত জেনে হায়দার আলী পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এলাকায় আসেন ভোট চাইতে। কিন্তু বর্তমানেও তার কর্মী-সমর্থকরা ভোট চাইতে গেলে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন মেয়র প্রার্থী মোঃ হায়দার আলী ও তার পরিবারের সদস্যসহ কর্মী-সমর্থকরা। উল্টো একই অভিযোগ করেছেন, স্বতন্ত্র মেয়রপ্রার্থী শহীদুল ইসলাম বাবু রাঢ়ী। তিনি বলেছেন, তার কর্মী সমর্থকদের হামলা করে আহত করা হয়েছে, তারা হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তিনি সন্ত্রাসীদের হুমকির মুখে রাস্তায় বের হতে পারছেন না। তার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ বানোয়াট ও ভিত্তিহীন দাবি করে বলেন, তার কর্মী সমর্থকরাও নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে।
×