ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পর্যটনের ৬০ বছর পূর্তি

কক্সবাজারে তিন দিনের মেগা বিচ কার্নিভ্যাল শুরু ৩১ ডিসেম্বর

প্রকাশিত: ০৫:৪৪, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৫

কক্সবাজারে তিন দিনের মেগা বিচ কার্নিভ্যাল শুরু ৩১ ডিসেম্বর

এইচএম এরশাদ, কক্সবাজার ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত পর্যটন বর্ষ ২০১৬ সালকে সামনে রেখে কক্সবাজারে সমুদ্র সৈকতে ৩১ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত তিন দিনের মেগা বিচ কার্নিভ্যাল অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এতে পালিত হবে পর্যটনের কক্সবাজার ৬০ বছর পূর্তি। ১৯৫৬ সালে যুক্তফ্রন্ট সরকারের শিল্পমন্ত্রী থাকাকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কক্সবাজারকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে চালু করেছিলেন। পর্যটন মন্ত্রণালয়, কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি যৌথভাবে আয়োজন করছে এই কার্নিভ্যালের। এ লক্ষ্যে বুধবার সকাল ১১টায় ‘মেগা বিচ কার্নিভ্যাল ডেস্টিনেশন-২০১৫ সফলভাবে আয়োজন করার লক্ষ্যে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা প্রশাসক মোঃ আলী হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে কক্সবাজারের উপসচিব আবুল ফয়েজ মোহাম্মদ আলা উদ্দিন খান, ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি একে আহমদ হোসেন, বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য এ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, জেলা জাসদ সভাপতি নঈমুল হক চৌধুরী, রেজাউল করিম, সাংবাদিক জাহেদ সরওয়ার সোহেল, মোহাম্মদ আলী জিন্নাত, লুৎফুন নাহার বাপ্পি, মুক্তিযোদ্ধা জেলা কমান্ডার মোঃ শাহজাহান ও মোঃ কাশেম আলী প্রমুখ। এছাড়া আগামী ১ জানুয়ারি কক্সবাজার পর্যটন কেন্দ্র চালুর পাঁচ যুগ পূর্তি হচ্ছে। ১৯৫৬ সালে যুক্তফ্রন্ট সরকারের শিল্পমন্ত্রী থাকাকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কক্সবাজারকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে চালু করেছিলেন। ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি তার ৬০ বছর পূর্তিতে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার মধ্য দিয়ে ৬০ বছর পূর্তি পালন করবে কক্সবাজার জেলাবাসী। হাতে আঁকা জাতির জনকের একটি বিশাল প্রতিকৃতি বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতে স্থান পাবে বলে জানা গেছে। সাংবাদিক জাহেদ সরওয়ার সোহেল জানান, এটি অঙ্কন করার কথা রয়েছে চারুশিল্পী রামুর তানভীর সরওয়ার রানা। ৩১ ডিসেম্বর-২০১৫ এবং ১ ও ২ জানুয়ারি-২০১৬ তিনদিনব্যাপী ‘মেগা বিচ কার্নিভ্যাল ডেস্টিনেশন-২০১৫ সফল করার লক্ষ্যে সভায় একটি উপকমিটিও গঠন করা হয়েছে। সভায় জানানো হয়, বিচ কার্নিভ্যালকে সফল করার লক্ষ্যে কক্সবাজারকে সাজানো হবে অপরূপ সাজে। শহরের রাস্তার পাশের ভবন ও দেয়ালগুলো রাঙানো হবে একই রঙে। সে সঙ্গে থাকবে ব্যানার, ফেস্টুন ও তোরণ। পুরো শহরকে করা হবে আলোকসজ্জা, থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ৬৯টি ইভেন্ট। চলবে ব্যাপক প্রচার। এই বিচ কার্নিভ্যাল আয়োজনের মধ্য দিয়ে কক্সবাজারের কথা বিশ্ববাসীকে জানান দেয়া হবে। এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের আকাশ আলোকিত করে আতশবাজি আর কাউন্ট ডাউন ঘড়ি উন্মোচনের মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত হয়েছে মেগা বিচ কার্নিভ্যালের ক্ষণ গণনা অনুষ্ঠান। সমুদ্র সৈকতের লাবনী পয়েন্টে ক্ষণ গণনা অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে কক্সবাজারের উপসচিব আবুল ফয়েজ মোহাম্মদ আলা উদ্দিন খান। এদিনই কক্সবাজার তিন স্থানে ক্ষণ গণনা ঘড়ি স্থাপন করা হয়েছে। এদিকে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ২ দিনের সফরে আগামী ৩০ ডিসেম্বর কক্সবাজার আসছেন। ৩০ ডিসেম্বর সকাল ১১টায় হেলিকপ্টারযোগে কক্সবাজার পৌঁছে মাতারবাড়ি তাপ বিদ্যুত কেন্দ্র পরিদর্শন এবং ৩১ ডিসেম্বর ১১টায় ৩ দিনব্যাপী মেগা বিচ কার্নিভ্যাল কক্সবাজারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান শেষে ১ জানুয়ারি কক্সবাজার ত্যাগ করবেন। অর্থমন্ত্রীর একান্ত সচিব এসএম জাকারিয়া হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
×