ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

শিক্ষক ও ব্যাংকারদের আন্দোলন ‘অযৌক্তিক’-অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০১:৩৬, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৫

শিক্ষক ও ব্যাংকারদের আন্দোলন ‘অযৌক্তিক’-অর্থমন্ত্রী

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ শিক্ষক ও ব্যাংকারদের আন্দোলনকে ‘অযৌক্তিক’ আখ্যায়িত করে অষ্টম বেতন কাঠামোতে কোনো ধরনের পরিবর্তন আনার সম্ভাবনা নাকচ করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। গত ১৫ ডিসেম্বর সরকার নতুন বেতন কাঠামোর গেজেট জারির পর থেকে তা নিয়ে অসন্তোষ জানিয়ে আসছিল আগে থেকে এই বেতন কাঠামোর বিরোধী শিক্ষকরা। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের বিরোধিতার পর সরকারি কলেজের শিক্ষকরা আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারাও আন্দোলনে নেমেছে। আন্দোলনকারীর দাবির বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে মুহিত বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “সোজা কথা, যে যা-ই বলুক, বেতন স্কেল পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই।” বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “তাদের দাবি একেবারেই অজ্ঞতাপ্রসূত। আমি তাদের সঙ্গে বসে আলোচনা করে ঠিক করেছি। “জাতীয় অধ্যাপক বলে কিছু নেই। তাদের কোনো স্কেলও নেই। এটা একটা সম্মান। এজন্য আগেও ৪০ হাজার টাকা সম্মানী দেওয়া হত, এখনও আগের মতোই আছে। এটা আলাদা করার কিছু নেই।” এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, “এমপিওভুক্তি অত্যন্ত বাজে ব্যবস্থা। এটা স্কুলের স্বার্থ দেখে না, এমনকি ছাত্রদের স্বার্থও দেখে না। শুধু শিক্ষকদের স্বার্থ দেখে। “এজন্য একটি কমিটি করে দিয়েছি। কমিটি যে সুপারিশ করবে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদিও এই কমিটি খুব ধীরে কাজ করছে।” নতুন বেতন কাঠামোতে অধ্যাপকদের পদমর্যাদা ও বেতনক্রমের অবনমন করা হয়েছে অভিযোগ বিসিএস শিক্ষা সমিতির। এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বেতন কাঠামোয় বৈষম্যের যে অভিযোগ তুলেছেন, তাকে ‘খামাখা’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী মুহিত। ব্যাংক কর্মীদের জন্য আলাদা বেতন কাঠামো হচ্ছে না বলেও জানিয়েছেন তিনি; যদিও তিনি এর প্রতিশ্রুতি এতদিন ধরে দিয়ে আসছিলেন। কর্মকর্তাদের অবনমন করা হয়েছে বলে বাংলাদেশ ব্যাংক অফিসার্স ওয়েলফেয়ার কাউন্সিল মঙ্গলবার বিক্ষোভ ও সংবাদ সম্মেলন করে। অর্থমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের আন্দোলন একদম খামাখা। তাদের যা দাবি-দাওয়া, তার মধ্যে যৌক্তিক কিছু দেখছি না। অযৌক্তিক দাবিতে তারা এসব করছে। ননসেন্স।” নিজের আগের প্রতিশ্রুতির কথা স্মরণ করেই মুহিত বলেন, “যে বেতন স্কেল দেওয়া হয়েছে, তাতে বাংলাদেশ ব্যাংকর স্বতন্ত্র বেতন স্কেলের প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না।”
×