ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশের জন্য ডব্লিউ‌টিও সম্মেলনের ফলাফল হতাশাজনক ॥ সি‌পি‌ডি

প্রকাশিত: ০০:৫৩, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৫

বাংলাদেশের জন্য ডব্লিউ‌টিও সম্মেলনের ফলাফল হতাশাজনক ॥ সি‌পি‌ডি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বিশ্ব বা‌ণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) মন্ত্রী পর্যায়ের ১০ম সম্মেলনের ফলাফল বাংলাদেশের জন্য হতাশাজনক বলে দা‌বি করেছে বেসরকা‌রি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সি‌পি‌ডি)। বুধবার রাজধানীর ব্র্যাক ইন সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করে সংস্থাটি। প্যারিসে অনুষ্ঠিত ২১তম জলবায়ু সম্মেলন ও নাইরোবিতে অনুষ্ঠিত ডব্লিউটিও‘র ১০ম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন দু’টিতে বাংলাদেশের প্রাপ্তি নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন সিপিডির অনারারি ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, নির্বাহী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান, গবেষণা পরিচালক ফাহমিদা খাতুন, অতিরিক্ত গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, রিসার্চ ফেলো তৌফিক ইসলাম খান প্রমুখ। সিপিডির নির্বাহী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান ডব্লিউটিও সম্মেলন এবং গবেষণা পরিচালক ফাহমিদা খন্দকার জলবায়ু সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রাপ্তি নিয়ে পৃথক দু’টি মূল্যায়ন প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। প্রবন্ধ উপস্থাপনের শুরুতে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, নাইরোবিতে অনুষ্ঠিত ডব্লিউটিও সম্মেলনে বেসরকারিভাবে সিপিডির তিনজন প্রতিনিধি অংশ নেন। বেশ কয়েকটি সেশনে আলোচনায় অংশ নেন সিপিডি প্রতিনিধিরা। ডব্লিউটিও সম্মেলনের সব আলোচনাকে বিচার-বিশ্লেষণ করে এই প্রবন্ধ তৈরি করা হয়েছে। তিনি বলেন, ডব্লিউটিও সম্মেলনে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া নিয়ে বির্তক হতে পারে। এবারের সম্মেলনে অনেক স্বল্পোন্নত দেশ অংশ নিতে পারেনি। ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, এবারের সম্মেলনে ভূ-অর্থনীতি নতুন দিকে মোড় নিয়েছে। উন্নত বিশ্ব নিজেদের মধ্যে আলোচনায় ব্যস্ত ছিল। তার মানে, বিশ্ব বাণিজ্য নতুন ধরনের উৎক্রমের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে। দেশগুলো ডব্লিউটিও’র বাইরে গিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চাইছে। আগামীতে বিশ্ব বাণিজ্যে এর প্রভাব পড়বে। ফলে বাংলাদেশকে নতুন করে বিশ্ব বাণিজ্য অবস্থান নিয়ে ভাবতে হবে। এ সংকট থেকে উত্তরণে স্বচ্ছতা, গবেষণা ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে কৌশল নির্ধারণ করতে হবে। তিনি বলেন, এই নতুন সংকট থেকে উত্তরণে আঞ্চলিক জোটগুলো যেমন সাফটা, বিমসটেকে সক্রিয় করতে হবে। পাশাপাশি দক্ষিণ-দক্ষিণ আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে হবে। ফাহমিদা খাতুন বলেন, আমরা কার্বন নিঃসরণ কমানোর ক্ষেত্রে স্বতঃপ্রণোদিত অঙ্গীকার পেয়েছি। ফান্ড নিয়ে কথা হয়েছে, যে ফান্ডটার কথা বলা হয়েছে তা আমরা লোন হিসাবে নাকি অন্য কোনো হিসাবে পাবো তা পরিষ্কার নয়।
×