ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

‘বিপিও’তে ১ লাখ কর্মসংস্থানের লক্ষ্য-প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত: ২৩:২৯, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৫

‘বিপিও’তে ১ লাখ কর্মসংস্থানের লক্ষ্য-প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী

অনলাইন রিপোর্টার ॥ বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং (বিপিও) খাতে দেশে এক লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যমাত্রার কথা জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। বুধবার সকালে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগে ‘বিপিও সামিট ২০১৫’ পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশে এ খাত দ্রুত এগিয়ে চলেছে। এ ব্যবসার প্রবৃদ্ধি আমাদের দেশে বর্তমানে ১০০ শতাংশ। আমাদের লক্ষ্য ২০২১ সালের মধ্যে এ খাতের আয় এক বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা এবং এক লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়নে বিপিও’র গুরুত্ব, সম্মেলনের সফলতার পাশাপাশি ভবিষ্যত পরিকল্পনার কথা সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরেন তিনি। তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর কর্মসংস্থান মানেই কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার বা প্রোগ্রামার নয় মন্তব্য করে পলক বলেন, আইসিটি নিয়ে যে পরিকল্পনা হয়েছে, তাতে ইনোভেশন এবং স্টার্টআপ প্রোগ্রামকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছি। আমরা লক্ষ্য করে দেখেছি যে সবাই মনে করছে আইসিটি নির্ভর কর্মসংস্থান মানেই তাকে হয়তো কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হতে হবে, কিংবা প্রোগ্রামার হতে হবে। আসলে এটার কোনো প্রয়োজন নাই। বিষয়টি ব্যাখ্যা করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, লন্ডন বা ওয়াশিংটনে বসে যারা ল’ ফার্ম পরিচালনা করছে, তারাও হয়তো বাংলাদেশে একটি কল সেন্টার রাখতে পারে কেবল অ্যাপয়েন্টমেন্ট দেওয়ার জন্য। বিপিও খাতে কর্মসংস্থানের উন্নয়নে ‘লিভারেজিং আইসিটি ফর গ্রোথ, এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড গভর্নেন্স (এলআইসিটি)’ প্রকল্পের কার্যক্রম নিয়েও সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। এলআইসিটি প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা সাত হাজার কর্মসংস্থান নিশ্চিত করেছি সিলিকন ভ্যালিভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে। বিগত ছয়/সাত মাসের মধ্যে আমরা একটা চুক্তি করেছি। তারা সাত হাজার কর্মী নেবে, যাদের আমরা প্রশিক্ষণ দিয়ে দেব। এছাড়া আইসিটি প্রশিক্ষণের কারিকুলাম উন্নয়নের জন্য ‘জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের’ সঙ্গে চুক্তির কথাও জানান প্রতিমন্ত্রী। গত ৯ ও ১০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ‘বিপিও সামিটে’ বিভিন্ন বিষয়ে ১২টি সেমিনার হয়, যাতে দেশি বিদেশি ৭৪ জন বিশেষজ্ঞ বক্তব্য দেন। ১০টি দেশের প্রতিনিধিরা সরাসরি এ সম্মেলনে অংশ নেন এবং ৬০টি দেশের প্রতিনিধিরা অনলাইনে সম্মেলনের খোঁজ খবর নিয়েছেন বলে জানান পলক। যে ১৫টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সামিটের আগে ১৫ হাজার বায়োডাটা সংগ্রহ করা হয়েছিল, সামিটে তাদের মধ্য ২৩৫ জনকে সরাসরি চাকরিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে এবং বাকিদেরও পর্যায়ক্রমে চাকরির ব্যবস্থা করা হবে। এর ধারাবাহিকতায় আগামী বছর ২৮ জুলাই পরবর্তী বিপিও সম্মেলন করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
×