ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

চাঁপাইয়ে করিম হত্যা মামলায় ১৮ জনের যাবজ্জীবন

প্রকাশিত: ০৫:০১, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৫

চাঁপাইয়ে করিম হত্যা মামলায়  ১৮ জনের যাবজ্জীবন

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের আব্দুল করিম হত্যা মামলায় ১৮ জনের যাবজ্জীবন কারাদ- দিয়েছেন রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল। মঙ্গলবার দুপুরে দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক গোলাম আহম্মেদ খলিলুর রহমান এ আদেশ দেন। দ-প্রাপ্তদের একই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদ- দেয়া হয়েছে। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ২০ জনকে খালাস দেয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। যাবজ্জীবন কারাদ-প্রাপ্তরা হলেন, মৃত উনুর ছেলে মনিরুল ইসলাম ও শান্তিজুল ইসলাম, সামসুদ্দিনের ছেলে বাইরুল, মৃত রুস্তম পালোয়ানরে ছেলে আনছার আলী, মৃত ফজলুর ছেলে আনোয়ার ও সাদেকুল, মৃত মনতাজ আলীর ছেলে লাড্ডু, ইয়াছিনের ছেলে আলাউদ্দিন, মৃত সামসুদ্দিনের ছেলে আতাউর রহমান, মৃত কিনু ম-লের ছেলে বক্তার আলী, জালালের ছেলে মতিন, মহসিন আলীর ছেলে জালাল, আলাউদ্দিনের ছেলে বকুল ডাক্তার, কালুর ছেলে জিয়াউর রহমান ওরফে জিয়া ডাক্তার, চাচুর ছেলে বিশু, ছাইফুরের ছেলে আলম, তমিজউদ্দিনের ছেলে আলম এবং হাবিল উদ্দিনের ছেলে বাইরুল। মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালের ২৯ আগস্ট সকাল ৬টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার চককীর্তি গ্রামের নাইমুল ইসলামের ভোগ দখলে থাকা জমি প্রতিপক্ষের ২০ থেকে ২৫ জন জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করে। এ সময় ওই জমির যোগানদার আব্দুল করিম তাদের বাধা দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আসামি বাইরুল ও মনিরুল লোহার রড় দিয়ে করিমকে আঘাত করে গুরুতর জখম করে এবং তাকে ধরে নিয়ে গিয়ে বাড়িতে আটকে রেখে মারধর করে। প্রায় চার ঘণ্টা পরে প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় আব্দুল করিমকে উদ্ধার করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। রামেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় জমির মালিক নাইমুল হক বাদী হয়ে ৩০ জনের বিপক্ষে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ৩৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এদের মধ্য আসামি নাজমুল মারা যান। পরবর্তীতে ২০১৫ সালের ৭ জুলাই মামলাটি রাজশাহীর দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়। ২৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মঙ্গলবার দুপুরে বিচারক ২০ জনকে বেকসুর খালাস ও ১৮ জনের যাবজ্জীবন কারাদ- দেন। রাজশাহী দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি এন্তাজুল হক বলেন, ভিকটিম উপযুক্ত বিচার পেয়েছে। মামলায় ২০ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য-প্রমাণ না পাওয়ায় আদালত তাদের খালাস দিয়েছেন। তবে ১৮ জনের যাবজ্জীবন কারাদ- দিয়েছেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী অংকুর সেন বলেন, এই রায়ের বিপক্ষে তারা উচ্চআদালতে আপীল করবেন।
×