ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আবিষ্কৃত হলো বাংলার অজানা ইতিহাস, জাতি জানবে তার পথচলা

প্রকাশিত: ০৫:০১, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৫

আবিষ্কৃত হলো বাংলার অজানা ইতিহাস, জাতি জানবে তার পথচলা

মোরসালিন মিজান ॥ প্রাচীন বাংলার ইতিহাস চর্চার ক্ষেত্রে বহুকাল ধরে চলা বন্ধ্যত্ব দূর হলো। আবিষ্কৃত হলো বর্তমান বাংলাদেশের মূল ভূখ-ের প্রাচীন ইতিহাস। জাতীয় জাদুঘরে সংরক্ষিত মুদ্রা তাম্রলিপি ইত্যাদির পাঠোদ্ধার ও গবেষণা শেষে বিস্ময়কর এই আবিষ্কার সম্ভব হয়েছে। সম্প্রতি এ কাজ সম্পন্ন করেছেন নিবেদিত প্রাণ তরুণ গবেষক ড. শরিফুল ইসলাম। বিরল এই গবেষণা কর্মের সমষ্টি তাঁর লেখা গ্রন্থ- New light on the History of Ancient South-East Bengal.. এতে প্রাচীন বাংলার ধারাবাহিক ইতিহাসটি স্বগৌরবে সামনে এসেছে। পূর্বের কিছু তথ্য ভুল প্রমাণিত হওয়ার পাশাপাশি, পাওয়া গেছে এই অঞ্চলের পূর্ণাঙ্গ ও সমৃদ্ধ ইতিহাস। প্রাচীন বাংলার ইতিহাস বার বার পঠিত। বহুকাল ধরে স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হচ্ছে। কিন্তু এখানে বর্তমান বাংলাদেশটাই অনুপস্থিত! বাংলাদেশের খুব সামান্য অংশ প্রাচীন বাংলার ইতিহাসে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। উত্তরবঙ্গের কথা বাদ দিলে, বাকিটুকু বর্তমান ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাস। এভাবে দীর্ঘকাল ধরে ইতিহাস শূন্য হয়ে ছিল বাংলাদেশের মূল ভূখ-। জানা যায়, আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গিতে বাংলার প্রাচীন ইতিহাস পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয় বিশ শতকের গোড়ার দিকে। বাংলাদেশের প্রাচীন ইতিহাসের ওপর বর্তমানে তিনটি প্রচলিত ইতিহাস গ্রন্থ রয়েছে। প্রথমটি রমেশচন্দ্র মজুমদার সম্পাদিত ‘হিস্টোরি অব বেঙ্গল, ভলিয়ম ওয়ান’। দ্বিতীয়টি নীহার রঞ্জন রায়ের ‘বাঙালির ইতিহাস, আদিপর্ব।’ তৃতীয় গ্রন্থটি আব্দুল মমিন চৌধুরীর ‘ডাইনেস্টিক হিস্টোরি অব বেঙ্গল।’ কিন্তু সব গ্রন্থেই বাংলাদেশের উত্তর বঙ্গ ও ভারতের পশ্চিম বাংলার ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব বাংলার ইতিহাস লেখা হয়েছে মাত্র সাড়ে তিন থেকে বারো পৃষ্ঠা। ড. হারুন-অর-রশীদ “Early History of South-East Bengal” শিরোনামে একটি গ্রন্থ রচনা করেছিলেন। এটি ছিল তাঁর ক্যামব্র্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি থিসিস। এ গ্রন্থে শুধু ময়নামতির খননে প্রাপ্ত নিদর্শনের বর্ণনা পাওয়া যায়। দক্ষিণ-পূর্ব বাংলার ধারাবাহিক ইতিহাস ছিল যথারীতি অনুপস্থিত। জানা যায়, ইতিহাসের এই শূন্যতা ঘোচাতেই কাজ শুরু করেন শরিফুল ইসলাম। জাতীয় জাদুঘরে অপ্রকাশিত অবস্থায় পড়ে থাকা প্রাচীন মুদ্রা তাম্রলিপির ধুলো পরিষ্কার করে এগুলোর পাঠোদ্ধারে মনোনিবেশ করেন তিনি। সে লক্ষ্যে জাতীয় জাদুঘরের এই কর্মকর্তা সংস্কৃত ও প্রাকৃত ভাষায় দক্ষতা অর্জন করেন। প্রাচীন ব্রাহ্মী, খরোস্ট্রি, নাগরী ও প্রোটো বাংলা লিপি পড়ার সক্ষমতা অর্জন করেন। জাদুঘরে সংরক্ষিত প্রাচীন লিপি ও মুদ্রাগুলোতে এসব ভাষায় খুদাই করা ছিল ঘটনাবহুল অতীত। সেখান থেকে তিনি আবিষ্কার করতে সক্ষম হন প্রাচীন বাংলার বাকি ইতিহাস। ১০ বছরের বেশি সময় ধরে নিভৃতে কাজ করে যান শরিফুল। তাঁর অক্লান্ত পরিশ্রমে একটু একটু করে বেরিয়ে আসতে থাকে ইতিহাস। গবেষণা কর্মের পূর্ণাঙ্গ ফল সম্প্রতি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করেছে এশিয়াটিক সোসাইটি বাংলাদেশ। এবার ৩০০ পৃষ্ঠার বই! পুরোটাজুড়ে বর্তমান বাংলাদেশের মূল ভূখ-। খুলনা, বরিশাল, ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগকে বর্তমান বাংলাদেশের মূল ভূখ- ভাবা হয়ে থাকে। প্রাচীনকালে বঙ্গ সমতট ও হরিকেল নামে পরিচিত এই অংশের ইতিহাস প্রথমবারের মতো তুলে আনতে সক্ষম হন ড. শরিফুল। প্রাচীন বাংলার ইতিহাস বলতে এতদিন গুপ্ত, পাল ও সেন রাজবংশের ইতিহাসকে বোঝাত। এর বাইরে দক্ষিণ-পূর্ব বাংলার যে সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে তা কারও জানা ছিল না। ড. শরিফুল ইসলাম দক্ষিণ-পূর্ব বাংলার সেই অজানা ইতিহাস তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে উপস্থাপন করেছেন। তাঁর গবেষণায় ওঠে এসেছে, প্রাচীনকালে বাংলার এ অঞ্চল একটি স্বতন্ত্র ভৌগোলিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সত্তা হিসেবে বিকশিত হয়েছিল। প্রাচীন গুপ্ত-উত্তর যুগে বাংলায় এই অংশে বিভিন্ন রাজবংশের উদ্ভব হয়েছিল। তাঁদের ছিল নিজস্ব ইতিহাস ও সংস্কৃতি। বিগত দিনের লেখাপড়া বলে, গুপ্তশাসন শুধু উত্তর বাংলায় প্রতিষ্ঠিত ছিল। কিন্তু গ্রন্থের প্রথম অধ্যায়ে গুপ্তযুগের স্বর্ণমুদ্রার পাঠোদ্ধারের ভিত্তিতে ড. শরিফুল ইসলাম প্রমাণ করতে সক্ষম হন, সমুদ্র গুপ্তের সময় বঙ্গ গুপ্ত সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। তাঁর পুত্র দ্বিতীয় চন্দ্র গুপ্তের সময় বঙ্গ সমতট ও হরিকেল অঞ্চলে গুপ্তশাসন প্রতিষ্ঠিত হয়। এ অধ্যায়ে দক্ষিণপূর্ব বাংলায় গুপ্তশাসনের প্রভাব এবং বৈন্যগুপ্তের ইতিহাস সঠিকভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। বৈন্যগুপ্ত যে দ্বাদশাদিত্য নয়, প্রমাণিত হয়েছে সেটিও। এ অধ্যায়ের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হলো সমতট থেকে শশাঙ্কের স্বর্ণমুদ্রা আবিষ্কার। নতুন এ গবেষণায় দেখা যায়, শশাঙ্ক এ অঞ্চলে রাজ্য বিস্তার করেছিলেন। দ্বিতীয় অধ্যায়ের অপ্রকাশিত তাম্রলিপি পাঠোদ্ধারের মাধ্যমে দ্বাদশাদিত্য নামে একজন নতুন রাজার ইতিহাস বর্ণনা করেন লেখক। এর আগে ইতিহাসে এই রাজার কোন অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া সম্ভব হয়নি। এ অংশে আরেকটি মৌলিক সংযোজনÑ গোপচন্দ্রের মুদ্রা আবিষ্কার। ইতিহাসে এই প্রথম গোপচন্দ্রের মুদ্রা আবিষ্কার হলো। মুদ্রার সঠিক ইতিহাসটিও এলো সামনে। একই অধ্যায়ে সুধন্যাদিত্য নামে আরেকজন রাজার ইতিহাস উপস্থাপন করা হয়েছে। জানা যায়, সুধন্যাদিত্যের ৯টি নতুন স্বর্ণমুদ্রা আবিষ্কার হয়েছে। এসব মুদ্রার পাঠোদ্ধারের মাধ্যমেই পাওয়া যায় নতুন ইতিহাস। গ্রন্থের তৃতীয় অধ্যায়ে সমতটের রাত রাজাদের ইতিহাস উপস্থাপন করা হয়েছে। ড. শরিফুল ইসলাম এই রাজবংশের একটি নতুন তাম্রলিপি আবিষ্কার ও পাঠোদ্ধার করেছেন। তা থেকে রাজবংশটির বহু অজানা তথ্য সামনে এসেছে। এ অধ্যায়ের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক, শ্রীধারণ রাত ও জীবধারণ রাতের স্বর্ণমুদ্রা আবিষ্কার। নতুন আবিষ্কৃত লিপি ও মুদ্রার ভিত্তিতে রাজবংশের একটি পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস রচিত হয়েছে। বর্তমান গবেষণায় উঠে এসেছে, রাতগণ সমতট অঞ্চলে একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাজ্য গড়ে তুলেছিলেন। বংশ পরম্পরায় তাঁরা শাসনকার্য পরিচালনা করেছেন। গ্রন্থটির চতুর্থ অধ্যায় পাঠে জানা যায়, প্রাচীন বাংলার ইতিহাসের নতুন এক রাজবংশের বংশাণুক্রমিক ইতিহাস। একইভাবে পঞ্চম অধ্যায়ে উঠে এসেছে দক্ষিণ-পূর্ব বাংলার খড়গ রাজাদের ইতিহাস। খড়গ রাজাদের বিভিন্ন ধরনের স্বর্ণ ও রৌপ্যমুদ্রার আবিষ্কার এ অধ্যায়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক। এসব মুদ্রার ভিত্তিতে আবিষ্কৃত হয়েছে সর্বভট ও পৃথুভট নামে দুজন নতুন রাজার ইতিহাস। খড়গরা এতকাল বাংলার ইতিহাসে বৌদ্ধ রাজা নামে পরিচিত ছিলেন। গ্রন্থের লেখক প্রমাণ করেছেন, তাঁরা ছিলেন ব্রাহ্মণ্য রাজা। খড়গ রাজাদের লিপি ও মুদ্রা বিশ্লেষণ করে অপূর্ব দক্ষতার সঙ্গে এই রাজবংশের বিস্তৃত ইতিহাস লেখা হয়েছে। নতুন গবেষণায় এই বংশের ৭ জন রাজার ধারাবাহিক ও বিস্তৃত ইতিহাস জানা যায়। একইসঙ্গে প্রচলিত ইতিহাসের বহু প্রতিষ্ঠিত ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়। ইতিহাসবিদদের মতে, এ অধ্যায়টি প্রাচীন বাংলার ইতিহাসে মৌলিক অবদান হিসেবে গণ্য হবে। ষষ্ঠ অধ্যায়ে সমতটের আদি দেব রাজাদের বংশাণুক্রমিক ইতিহাস পাওয়া যায়। এ অধ্যায়েও স্বর্ণমুদ্রা ও লিপির ভিত্তিতে আদি দেব রাজবংশের পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস বিধৃত হয়েছে। গ্রন্থটির সপ্তম অধ্যায়ে দক্ষিণ-পূর্ব বাংলার চন্দ্র রাজাদের বিস্তৃত ইতিহাস। গবেষক অপ্রকাশিত দুটি নতুন তাম্রলিপির পাঠোদ্ধার ও বহু তথ্যের আলোকে চন্দ্র রাজাদের ইতিহাস নতুন করে লিখেছেন। চন্দ্র রাজাদের উত্থানের বিস্তৃত বর্ণনা পাওয়া যায় এখানে। চন্দ্র রাজাদের আদি স্থান হরিকেল কোথায় ছিল, তা সঠিকভাবে শনাক্ত করা হয়েছে। প্রমাণ করা হয়েছে, চন্দ্র রাজাগণ প্রথমে হরিকেলের আকর রাজাদের অনুগত সামন্ত ছিলেন। নতুন তথ্য বলছে, তাঁরা আরাকান থেকে আসেননি। তাঁদের আদিনিবাস বাংলায়। চন্দ্রদের শাসনামলে দেবপর্বত (ময়নামতী) থেকে রাজধানী বিক্রমপুরে স্থানান্তরিত হয়। তাঁরা বঙ্গ-সমতট-হরিকেল সমগ্র দক্ষিণ-পূর্ব বাংলা জয় করে বিস্তৃত অভিন্ন রাজ্য গড়ে তোলেন। এ অধ্যায় পাঠে জানা যায়, কিভাবে বৌদ্ধ চন্দ্র রাজাগণ বৌদ্ধ পালরাজাদের দুঃসময়ে সাহায্য করেছিলেন। আবিষ্কৃত নতুন তথ্য মতে, চন্দ্র রাজাগণ দক্ষিণ-পূর্ব বাংলায় শক্তিশালী রাজ্য গড়ে তুলেছিলেন। এ সময় দক্ষিণ-পূর্ব বাংলার খ্যাতি ও সমৃদ্ধি বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছিল। রাজধানী বিক্রমপুরের বিকাশ ঘটেছিল। প্রচলিত ইতিহাস বলে, শেষ দুই চন্দ্র রাজা গোবিন্দ চন্দ্র ও লডহ চন্দ্র বৌদ্ধধর্ম ত্যাগ করে হিন্দুধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু ড. শরিফুল ইসলাম লিপিপাঠ ও নতুন তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন, চন্দ্ররাজাগণ কখনও হিন্দুধর্ম গ্রহণ করেনি। সকল চন্দ্ররাজাই ছিলেন ধর্মপ্রাণ বৌদ্ধ। গ্রন্থের অষ্টম অধ্যায়ে বর্মণ এবং সেন পর্ব। এ অংশে দক্ষিণ-পূর্ব বাংলার ইতিহাস লেখা হয়েছে। বর্মণ রাজাগণ দাক্ষিণাত্য থেকে এসে কিভাবে দক্ষিণ-পূর্ব বাংলার রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছেন, তার একটি বিস্তৃত ইতিহাস এখানে উপস্থাপন করা হয়েছে। জানা যায়, ড. শরিফুল ইসলাম ১৯৬৭ সালে বিক্রমপুর থেকে প্রাপ্ত বর্মণ রাজাদের একটি শিলালিপি পাঠোদ্ধার করেন। নতুন আবিষ্কৃত তথ্যের ভিত্তিতে তিনি বর্মণ রাজাদের ধারাবাহিক পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস রচনা করেন। গ্রন্থটির একই অধ্যায়ে তিনি সেন রাজাদের বিস্তৃত ইতিহাস তুলে ধরেছেন। গ্রন্থের দ্বাদশ অধ্যায়ে দক্ষিণ-পূর্ব বাংলার প্রাচীন নগর, রাজধানী শহর, প্রশাসনিক ও বাণিজ্য কেন্দ্রের ধারাবাহিক ও বিস্তৃত ইতিহাস আলোচনা করা হয়েছে। এ অধ্যায়ে উয়ারি-বটেশ্বর, কোটালিপাড়া, সাভার, দেবপর্বত, বিক্রমপুর প্রভৃতি প্রাচীন প্রশাসনিক ও বাণিজ্য কেন্দ্রের ইতিহাস অপূর্ব দক্ষতায় লেখা হয়েছে। এ অংশে তথ্য দেয়া হয়, কোটালিপাড়া, সাভার ও দেবপর্বত (বর্তমান ময়নামতী) দক্ষিণ-পূর্ব বাংলার গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য কেন্দ্র হিসেবে বিকশিত হয়েছিল। এসব অঞ্চলের সঙ্গে শ্রীংহল, দাক্ষিণাত্য, মধ্যপ্রাচ্য ও পূর্ব এশিয়ার ব্যাপক বাণিজ্য সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। দক্ষিণ-পূর্ব বাংলা সমুদ্র উপকূলবেষ্টিত হওয়ায় এখানে মুদ্রা অর্থনীতি ও বহির্বাণিজ্যের ব্যাপক প্রসার ঘটেছিল। এভাবে প্রাচীন বাংলার পূর্ণাঙ্গ ইতিহাসটির সন্ধান দেয় New light on the History of Ancient South-East Bengal. ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়া ইতিহাস গ্রন্থটি রহস্য উপন্যাসের মতোই পাঠককে আকৃষ্ট করে রাখে। অনন্য সাধারণ কাজটি সম্পর্কে লেখকের অবশ্য সামান্যই বলা। জনকণ্ঠকে ড. শরিফুল ইসলাম বলেন, আমি আমার মেধা যোগ্যতার সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করেছি। এর ফলে যে ইতিহাস উঠে এলো তা গোটা জাতির জন্য গৌরবের। আনন্দের। তবে ইতিহাসটি নিয়ে বহির্বিশ্বে ব্যাপক হইচই হলেও, বাংলাদেশে এতটা দেখা যায়নি। তাতে আক্ষেপ নেই লেখকের। বরং তিনি বলেন, আমি আমার কাজটি করেছি। এটাই তো আসল সার্থকতা। তবে স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্য বইয়ে নতুন ইতিহাসটি দ্রুত অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান তিনি।
×