ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পুজিবাজারে লেনদেন ৫শ কোটি টাকা ছাড়াল

প্রকাশিত: ০০:১৭, ২২ ডিসেম্বর ২০১৫

পুজিবাজারে লেনদেন ৫শ কোটি টাকা ছাড়াল

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার উর্ধ্বমুখী ধারায় শেষ হয়েছে লেনদেন। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন হয়েছে মিশ্র ধারায়। এদিন ডিএসইতে ৫শ কোটির টাকার ওপরে লেনদেন হয়েছে। ১০ কার্যদিবস পরে সেখানে লেনদন ৫শ কোটি টাকা ছাড়াল। এর আগে গত ৬ ডিসেম্বর সেখানে ৫৫৭ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছিল। অপর বাজার সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২৫ কোটি টাকার শেয়ার। তবে সোমবারের তুলনায় দুই বাজারেই বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। বাজার সংশ্লিষ্টরা জানান, ব্যাংকের সাবসিডিয়ারি কোম্পানির মূলধনকে শেয়ারবাজার এক্সপোজার হিসেবে গন্য না করার বিষয়ে রবিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা প্রজ্ঞাপনের কারণে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অংশ গ্রহণ বেড়েছে। এ কারণে বাজারে লেনদেনের পরিমাণ বাড়ছে। ঢাকা স্টক একচেঞ্জের সাবেক সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান খান বলেন, দেরিতে হলেও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পদক্ষেপ বাজারে কিছুটা আস্থা বাড়াবে। কিন্তু বাজারকে এখনও স্থিতিশীল বলা যাবে না। কারণ বাজারে এখনও অনেক কোম্পানিরই প্রায় ৯০ শতাংশ দর কমেছে। এটি থেকে উত্তরণে বড় বিনিয়োগকারী বা ২০১০ সালের দিকে মার্জিণে ঋণে আটকে পড়া বিনিয়োগকারীদের শেয়ার লেনদেনযোগ্য করে তুলতে হবে। আর এটির বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড একচেঞ্জ কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের আরও উদ্যোগী হতে হবে। বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৫২৬ কোটি টাকার। যা আগের দিনের তুলনায় ৩৭ কোটি টাকা বা ৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ বেশি লেনদেন। আগের দিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৪৮৮ কোটি ৮৭ লাখ টাকার শেয়ার। এদিন ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয় ৩২১টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৫৯টির, কমেছে ১১৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৫টির শেয়ার দর। সকালে ইতিবাচক প্রবণতা দিয়ে শুরুর পরে ডিএসইএক্স বা প্রধান মূল্য সূচক ১৪ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৫৯৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ৪ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে এক হাজার ১০৪ পয়েন্টে। ডিএস৩০ সূচক ১০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৭৪৪ পয়েন্টে। ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে থাকা দশ কোম্পানি হলো - বেক্সিমকো, বেক্সিমকো ফার্মা, কেডিএস এক্সেসরিজ, আফতাব অটোমোবাইলস, কাশেম ড্রাইসেলস, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, তিতাস গ্যাস, স্কয়ার ফার্মা, এমারেল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ এবং বিএসআরএম স্টিলস। ডিএসইর দরবৃদ্ধির সেরা কোম্পানিগুলো হলো : প্রগতি ইন্স্যুরেন্স, গ্রীন ডেল্টা, এশিয়া প্যাসিফিক ইন্স্যুরেন্স, বে´িমকো, সিমটেক্স, এ্যাপোলো ইস্পাত, সেন্ট্রাল ফার্মা, সুহৃদ ইন্ড্রাস্টিজ, এসিআই ফর্মূলেশন ও ফাস্ট ফাইনান্স। দর হারানোর সেরা কোম্পানিগুলো হলো : রহিমা ফুড, ইসলামিক ইন্স্যুরেন্স, এ্যাপেক্স স্পিনিং, পদ্মা ওয়েল, রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স, এ্যাপেক্স ফুডস, বিচ হ্যাচারী, সিনো বাংলা ইন্ড্রাস্টিজ, রূপালী লাইফ ও মিরাকল ইন্ড্রাস্টিজ। এদিকে ঢাকার বাজারের মতো অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক একচেঞ্জেও বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বেড়েছে। সকালে দরবৃদ্ধি দিয়ে লেনদেন শুরুর পরে সিএসই সার্বিক সূচক ২৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৫ পয়েন্টে। সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২৩৭টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১১৭টির, কমেছে ৯০টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩০টির। সিএসইর লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলো : বে´িমকো, রিজেন্ট টেক্সটাইল, আফতাব অটোস, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, বে´িমকো ফার্মা, তিতাস গ্যাস, ইউনাইটেড এয়ার, ফার কেমিক্যাল, কেডিএস এক্সেসরিজ ও সিমটেক্স ইন্ড্রাস্টিজ।
×