ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

লালমনিরহাটে জিংক সমৃদ্ধ জাতের ধান চাষে সাফল্য

প্রকাশিত: ২১:৫৭, ২২ ডিসেম্বর ২০১৫

লালমনিরহাটে জিংক সমৃদ্ধ জাতের ধান চাষে সাফল্য

নিজস্ব সংবাদদাতা, লালমনিরহাট ॥ লালমনিরহাটে প্রথম বারেরমত একশত বিঘা জমিতে জিংক সমৃদ্ধ উচ্চ ফলনশীল ধানের চাষ হয়েছে। অন্যান্য উচ্চ ফলনশীল ধানের তুলনায় জিংক সমৃদ্ধ আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। জিংক সমৃদ্ধ চালের ভাত মানব দেহে জিংকের ঘাতটি পুরনে সহায়তা করবে। সু স্বাস্থ্য ও নানা রোগ প্রতিরোগে জিংক কার্যকর ভূমিকা রাখে। শিশুদের বুদ্ধি বিকাশেও গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখে। বাংলাদেশ ধান গবেষনা কেন্দ্রে বিজ্ঞানীরা এই জিংক সমৃদ্ধ ধানের জাত আবিস্কার করেছে। লালমনিরহাট সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এনামূল হক জানান, জিংক সমৃদ্ধ ধান বিআরআরআই ৬২ স্বল্প সময়ে হয়। তৃর্ণমূল পর্যায়ে কৃষক জিংক সমৃদ্ধ ধান উত্তোলন করে। একই জমিতে নানা জাতের রবিমৌসুমের সবজি চাষ করতে পারে। এভাবে বছরে দুই ফসলা জমিতে তিন চারবার ফসল ফলানো যায়। অন্যান্য জাতে ধান চাষে সময় লাগে ১৪০ দিন হতে ১৪৫ দিন। সেখানে জিংক সমৃদ্ধ জাতের ধান চাষ করতে সময় লাগে ১০০ দিন হতে ১২০ দিন। লালমনিরহাট জেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ( সিভিল সার্জন) ডাঃ আব্দুস সামাদ জানান, এই জিংক সমৃদ্ধ ধানের চালের ভাত খেলে মানব দেহের জিংক এর স্বল্পতা পূরণ হয়। মানুষের খাদ্যে পুষ্ঠির চাহিদার ঘাটতিতে সহায়তা করে। শিশু ও মানুষের বুদ্ধি বিকাশে জিংক কার্যকর ভূমিকা রাখে। এই জিংক সমৃদ্ধ জাতের ধানের চালের ভাত খেলে তৃর্ণমূল পর্যায়ের মানুষের জিংক ঘাটতি কমে যাবে। এতে করে সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ জিংক জাতীয় খাদ্য উপাদন মানুষকে বিনামূল্য কিনে দিতে হবে না। বিশেষ করে শিশুদের জিংক ঘাটতি পূরনে সরকারের অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করতে হবে না।
×