ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

তার লাগেজ শাহজালালের চার নম্বর বহির্গমন গেট দিয়ে প্রবেশের সময় স্ক্যানিং করা হয়

সিঙ্গাপুর এয়ারপোর্ট থেকে গুলিসহ বাংলাদেশী ব্যবসায়ীকে ফেরত

প্রকাশিত: ০৫:০৮, ২২ ডিসেম্বর ২০১৫

সিঙ্গাপুর এয়ারপোর্ট থেকে গুলিসহ বাংলাদেশী ব্যবসায়ীকে ফেরত

স্টাফ রিপোর্টার ॥ অবৈধভাবে গুলি নিয়ে অস্ট্রেলিয়া যাবার পথে এক বাংলাদেশী ব্যবসায়ীকে ফেরত পাঠিয়েছে সিঙ্গাপুর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। তার নাম কামরুল হাসান মাসুদ। নিজের হ্যান্ডলাগেজে থাকা পিস্তলের ১৬টি গুলিসহ সিঙ্গাপুর পুলিশ হেফাজতে থাকার পর রবিবার রাতে তাকে ঢাকায় ফেরত পাঠানো হয়। এ ঘটনায় বিমানবন্দরে তোলপাড় চলে। বিমানবন্দর থানা পুলিশ জানায়, কামরুল হাসান মাসুদ রাজধানীর একজন ধনাঢ্য ব্যবসায়ী। তিনি ঢাকা সেনানিবাসের ৭ নং রোডের ৬৪ নং বাসার বাসিন্দা। তিনি গত ১৮ ডিসেম্বর রাত বারোটায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে রওনা হন। সঙ্গে স্ত্রী আলিফ লায়লা, দুই ছেলে রাাফিউ মাসুদ ও হাকিম মাসুদ। তার হাতে ছিল একটি ছোট্ট লাগেজ। সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি এয়ারপোর্টে তিনি যখন ট্রানজিট যাত্রী হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার ফ্লাইট ধরতে যান তখনই তার হ্যান্ডলাগেজে ধরা পড়ে পিস্তলের এই গুলি। তরতাজা ১৬টি ৭ দশমিক ৬২ এমএম বোরের গুলি। এতে সেখানকার নিরাপত্তাকর্মীদের মাঝে আতঙ্ক নেমে আসে। এ সময় তাকে ও পরিবারের অন্য সদস্যদের আটক রাখার পর ব্যাপক জিজ্ঞাসা করা হয়। তখন তিনি নিরাপত্তাকর্মীদের ব্যাখ্যা দেন- এসব গুলি তার বৈধ পিস্তলের। ভুলবশত ওই লাগেজে ছিল। সেটা চেক না করেই বিমানবন্দরে রওনা হন। এ জন্য তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করে ভবিষ্যতে এ ধরনের ভুল আর হবে না বলে অঙ্গীকার করেন। তার এ কথায় কিছুটা বিশ্বাস এনে তাকে অস্ট্রেলিয়ার ফ্লাইট থেকে অফলোড করে বিমানবন্দরেই আটক রাখা হয়। এ সময় তার পরিবারের অপর তিন সদস্যকে ছেড়ে দিয়ে পরবর্তী ফ্লাইটে ঢাকায় ফেরত পাঠানো হয়। এদিকে চব্বিশ ঘণ্টা আটক রাখার পর সিঙ্গাপুর পুলিশ ইন্টারপোলের মাধ্যমে আটক ব্যবসায়ী সম্পর্কে ব্যাপক অনুসন্ধান চালায়। কামরুল হাসান মাসুদ কোন জঙ্গী বা সন্ত্রাসী চক্রের সঙ্গে জড়িত কিনা জানতে চেয়ে ঢাকায় যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তাৎক্ষণিক ঢাকা থেকে এ ধরনের কোন নেতিবাচক তথ্য না পেয়ে চাঙ্গি বিমানবন্দর তার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকায় ফেরত পাঠায়। এরপর শাহজালালের ইমিগ্রেশনেও তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে তাকে বিমানবন্দর থানায় হস্তান্তর করা হয়। থানা থেকেও মুচলেকা দিয়ে তিনি বাসায় যান। পুলিশ জানায়, হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের চার নম্বর বহিগর্মন গেট দিয়ে কামরুল হাসান মাসুদ চেকইন কাউন্টারে প্রবেশ করেন। এ সময় তার সব লাগেজ স্ক্যানিং করা হয়। এমনকি হ্যান্ডলাগেজও স্ক্যানিং করা হয়। কিন্তু তখন কেন এ গুলি ধরা পড়ল না সেটাই উদ্বেগের বিষয় বলে মনে করছে সিভিল এ্যাভিয়েশান।
×