ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে দুই বাংলাদেশীকে ফিরিয়ে দেয়নি মিয়ানমার

প্রকাশিত: ০৮:২৭, ২০ ডিসেম্বর ২০১৫

নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে দুই বাংলাদেশীকে ফিরিয়ে দেয়নি মিয়ানমার

কূটনৈতিক রিপোর্টার ॥ বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে দুই বাংলাদেশী নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা অস্বীকার করেছে মিয়ানমার। দেশটিকে দ্রুত দুই হতাহত বাংলাদেশীকে ফিরিয়ে দিতে বলা হয়েছে। তবে শনিবার রাতে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দুই বাংলাদেশীকে ফেরত দেয়নি মিয়ানমার। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষীদের (বিজিপি) গুলিতে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে দুই বাংলাদেশী হতাহত হয়। গত ১৪ ও ১৫ ডিসেম্বর সেখানে অতর্কিতে গুলি চালায় বিজিপি। তাদের গুলিতে ১৪ ডিসেম্বর জয়নাল আবেদিন ও ১৫ ডিসেম্বর সৈয়দ আলম নামের দুই বাংলাদেশী গুরুতর আহত হন। এদের তুলে নিয়ে যান বিজিপি সদস্যরা। তবে এদের মধ্যে জয়নাল আবেদিন নিহত হয়েছেন বলে ধারণা করছে বাংলাদেশ। বান্দরবান সীমান্তে দুই নাগরিক নিখোঁজের পর শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ঢাকার মিয়ানমার হাইকমিশনার মিউ মিন্ট থানকে মন্ত্রণালয়ে ডেকে আনা হয়। তাকে পুরো বিষয়টি অবহিত করা হয়। হতাহতদের দ্রুত ফিরিয়ে দিতে বলা হয়। সে সময় মিয়ানমার ওই দুই ব্যক্তিকে তুলে নেয়ার ঘটনা অস্বীকার করে। তবে ঢাকার পক্ষ থেকে বলা হয়, দুই বাংলাদেশীকে তুলে নেয়ার ঘটনার প্রমাণ রয়েছে। সীমান্তের ঘটনায় মিয়ানমারের কাছে ইতোমধ্যেই একটি প্রতিবাদ চিঠিও দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ অন্যায়ভাবে সীমান্তে গুলি চালিয়েছে। নিখোঁজ নাগরিকদের দ্রুত ফিরিয়ে দেয়ার জন্য দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ। মিয়ানমারকে জানানো হলেও নিখোঁজ দুই নাগরিকের হতাহতের বিষয়ে শনিবার এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কোন তথ্য দেয়নি মিয়ানমার। এছাড়া কাউকে ফেরতও দেয়নি দেশটি। তবে আজকালের মধ্যে দুই বাংলাদেশীর বিষয়ে কোন তথ্য না পেলে পতাকা বৈঠকে বসার জন্য আহ্বান জানাবে বাংলাদেশ। পতাকা বৈঠকের মাধ্যমেই পরিস্থিতির অবসান হতে পারে। উল্লেখ্য, গত বছর ১৭ জুন বিজিবি নায়েক আবদুর রাজ্জাককে বিজিপি তুলে নিয়ে যায়। দেশের জলসীমা থেকে তুলে নেয়ার ৮ দিন পরে ফেরত দেয় মিয়ানমার। এছাড়া ১৯৯১ সালে নাইক্ষ্যংছড়ির রেজু আমতলী ক্যাম্পে হামলা চালিয়ে বাংলাদেশী সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর এক সদস্যকে হত্যা করেছিল মিয়ানমার। সেই ঘটনার প্রতিবাদ জানানোর পরে মিয়ানমার দুঃখ প্রকাশ করেছিল।
×