ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

সান্তাহার পৌরসভা

‘যাক ভাল লাগবে তাকই হামরা ভোট দিমো’

প্রকাশিত: ০৫:৩১, ২০ ডিসেম্বর ২০১৫

‘যাক ভাল লাগবে তাকই হামরা ভোট দিমো’

নিজস্ব সংবাদদাতা, ১৯ ডিসেম্বর, সান্তাহার ॥ সান্তাহার পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে তিনজন মনোনয়ন জমা দিলেও শেষ পর্যন্ত জাতীয় পার্টির প্রার্থী তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এখন দুই প্রার্থী হলেন- আওয়ামী লীগের রাশেদুল ইসলাম রাজা আর বিএনপির বর্তমান মেয়র তোফাজ্জল হোসেন ভুট্টু। দুই প্রার্থীই কোটিপতি ব্যবসায়ী। বিএনপির প্রার্থী বর্তমান মেয়র তোফাজ্জল হোসেন ভুট্টু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বেশি দেখালেও (পেট্রোল পাম্প, গ্যাস সিলিন্ডার, ধান-চাল ও প্লাস্ট্রিক ব্যাগ কারখানা) আয় দেখিয়েছেন কম। হলফনামায় তিনি বাৎসরিক আয় দেখিয়েছেন সাড়ে চার লাখ টাকা। পক্ষান্তরে আওয়ামী লীগ প্রার্থী রাশেদুল ইসলাম রাজা একমাত্র ঠিকাদারি ব্যবসয়ায় বাৎসরিক আয় দেখিয়েছেন প্রায় ৩৫ লাখ টাকা। আওয়ামী লীগ প্রার্থী রাজার কোন ঋণ না থাকলেও বিএনপি প্রার্থী ভুট্টু একক ও যৌথভাবে প্রায় সাড়ে ১২ কোটি টাকা ঋণ দেখিয়েছেন হলফনামায়। দু’জনই একটি করে মামলার আসামি। ১৪ ডিসেম্বর ভোটের আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু হওয়ার পর ৪-৫ দিন ধরে অগোছালো অবস্থা লক্ষ্য করা যায় আওয়ামী লীগ প্রার্থীর প্রচার। কিন্তু দিন গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে পাল্টে যাচ্ছে দৃশ্যপট। বর্তমান অবস্থা প্রায় সমানে সমান। দলীয় প্রতীক হওয়ার কারণে প্রথমে অনেকে ধরে নিয়েছিল যে, বগুড়া অঞ্চল হিসেবে এবং ধানের শীষের আঞ্চলিক প্রাধান্যের কারণে নৌকা খুব একটা এগোতে পারবে না। কিন্তু সে ধারণা ভুল প্রমাণ হতে শুরু করেছে। ভোটাররা, বিশেষ করে ধানের শীষ বলতে পাগলপারা মহিলারাই এখন বলছেন এটা তো আর হাসিনা-খালেদার ভোট নয় যে, মার্কা মারা মার্কায় ভোট দেয়া লাগবে। এটা চিয়ারম্যানের (মেয়র) ভোট। সে জন্যি হামরা যাক ভাল লাগবে তাকই ভোট দিমো। ধানের শীষ আর নৌকা অগ্লা কয়্যা ( ওই সব বলে) লাভ নাই। অবস্থা এমন লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, জাতীয় নির্বাচনে মহিলা ভোটারের যে একটা বিশাল অংশ নৌকা মার্কার কথা শুনলে নাক সিটকাতো সেই মহিলা ভোটারদের অনেকে এবার খ- খ- দলে দলবদ্ধ হয়ে নৌকা মার্কার জন্য ভোট চাচ্ছেন পাড়া-মহল্লায়। পাশাপাশি বিএনপি প্রার্থীর পক্ষেও মহিলা কর্মীদের দলবেঁধে ধানের শীষে ভোট চাইতে দেখা যাচ্ছে।
×