ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ব্যস্ত শুঁটকি পল্লী

প্রকাশিত: ০৫:২৬, ২০ ডিসেম্বর ২০১৫

ব্যস্ত শুঁটকি পল্লী

এইচএম এরশাদ শীত মৌসুম শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কক্সবাজারে শুঁটকি তৈরির ধুম পড়েছে। জেলার কুতুবদিয়া, মহেশখালী, টেকনাফ, উখিয়া, পেকুয়া ও জেলা সদরের বিভিন্ন স্থানে শুঁটকি তৈরি কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ছে অন্তত ৪০ হাজার নারী-পুরুষ। প্রাকৃতিক উপায়ে বিভিন্ন চরাঞ্চলে শুঁটকি উৎপাদন করে চলছে তারা। জেলার বিভিন্ন জায়গায় গড়ে উঠেছে শত শত শুঁটকি তৈরির অস্থায়ী মহাল। সরেজমিনে দেখা গেছে, সামুদ্রিক বিভিন্ন প্রজাতির মাছ শোভা পেয়েছে ওসব মহালে। কোন ধরনের কীটনাশক প্রয়োগ ছাড়া সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন মাছের শুঁটকি। রোদ ও বাতাসের সংমিশ্রণে দ্রুত কাঁচা মাছ রূপান্তরিত হচ্ছে শুঁটকি হিসেবে। এ বছর প্রচুর শুঁটকি উৎপাদন হওয়ায় প্রাণচাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে স্থানীয় অর্থনীতিতে। শত শত মহালকে ঘিরে হাজারো নারী পুরুষ প্রতিদিন শুঁটকি পল্লীতে মৎস্য প্রক্রিয়াজাতকরণ কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। শুঁটকিগুলোর মধ্যে লইট্যা, ছুরি, ফাইস্যা, রূপচান্দা, মাটিয়া, পোহা, চিংড়ি, মাইট্যা, উলুয়া, হিচ্ছিড়ি ও লাউক্ষা মাছ উল্লেখযোগ্য। এখানে উৎপাদিত শুঁটকি সরাসরি চট্টগ্রাম শহরের আসাদগঞ্জ, খাতুনগঞ্জ, আতুরার ডিপু, নতুনব্রিজ এলাকাসহ ঢাকার বিভিন্ন গুদামে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। শুঁটকির অন্যতম এলাকা হিসেবে পরিচিত টেকনাফে আধুনিক প্রযুক্তি ও সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা না থাকায় মাছ শুকানোর ভরা মৌসুমেও জেলেদের মধ্যে সাড়া পড়েনি। মাছ শুকানোর এলাকা টেকনাফ সমুদ্র সৈকত, শাহপরীরদ্বীপ, সেন্টমার্টিন এলাকা পরির্দশন করে দেখা যায়, অনেকে মাছ শুকানো বন্ধ করে দিয়েছেন। কারণ সনাতন পদ্ধতিতে মাছ শুকালে গ্রাহকরা এর প্রতি আকৃষ্ট হয় না। বিভিন্ন অঞ্চলে ইদানীং আধুনিক পদ্ধতিতে মাছ শুকানো হচ্ছে। এগুলো চকচকে সাদা, তৈলাক্ত, পোকামাকড়বিহীন। ক্রেতারা তাই এগুলোর প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছেন বেশি। জেলেদের অভিমত, আধুনিক পদ্ধতিতে মাছ শুকানোর প্রশিক্ষণ, উপকরণ সরবরাহ ও সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা পেলে কক্সবাজার দেশের চাহিদার ২৫ শতাংশ মেটাতে পারবে।
×