ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

একে মোহাম্মাদ আলী শিকদার

মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ কত দূর!

প্রকাশিত: ০৩:৩৭, ২০ ডিসেম্বর ২০১৫

মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ কত দূর!

বিজয়ের মাস এখনও চলছে। দিনতিনেক আগে মহান বিজয় দিবস ১৬ ডিসেম্বর অন্যান্য বছরের মতো যথাযথ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পালিত হয়েছে। স্বাধীনতার ৪৪ বছর পেরিয়ে এবার পালিত হলো ৪৫তম বিজয় দিবস। ৪৪ বছর একটি রাষ্ট্রের জন্য খুব বেশি সময় বলা যাবে না। স্বাধীনতা প্রাপ্তির প্রায় ৮০ বছর পর আরেকটি রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের মধ্য দিয়ে থিতু হয় আজকের বিশ্বের একমাত্র পরাশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তবে উনবিংশ-বিংশ শতাব্দীর গতির চাইতে একবিংশ শতাব্দীতে মানব সভ্যতার অগ্রায়নের গতি অনেক বেশি। মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুর তার প্রমাণ। এটি এখন গবেষণালব্ধ প্রতিষ্ঠিত সত্য যে, গত ৪৪ বছর এক নাগাড়ে রাষ্ট্র যদি প্রকৃতপক্ষে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ হিসেবে থাকত এবং পরিচালিত হতো তাহলে নিশ্চয়ই আমাদের অগ্রায়ন আরও অনেক বেশি হতো, এমন কি হতে পারত আরেকটি সিঙ্গাপুর অথবা মালয়েশিয়া। কিন্তু তা হয়নি, এটাই বাস্তব ও সত্য। কেন হয়নি, সেখানে কথা অনেক, যা অনেকেই অনেকভাবে বলার চেষ্টা করছেন, বলে যাচ্ছেন। সে কথার বিস্তারিত ব্যাখ্যায় আজ যাব না। আজকের লেখায় বিজয়ের মাসের আনন্দ ও বেদনায় মিশ্রিত হৃদয় নিয়ে দেখার চেষ্টা করব পঁচাত্তরে হারানো মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ থেকে আজ আমরা এখনও কতদূর আছি। মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ বলতে আমি যা বুঝি তা হলো- এক. রাষ্ট্রের মূল শেকড় সংবিধান বাহাত্তরের মূল সংবিধানের বৈশিষ্ট্যে পরিপূর্ণভাবে ফিরতে হবে। রাষ্ট্রের চলার পথের ধ্রুব তারা হিসেবে থাকবে ১৯৪৮-১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্টের নির্বাচন, ছয় দফা প্রণয়ন ও আন্দোলন, আগরতলা ষড়যন্ত্র নামক মামলার বিরুদ্ধে দুর্বার গণআন্দোলন উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, সত্তরের নির্বাচন ও বিজয়, একাত্তরের ১ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত নজিরবিহীন অসহযোগ আন্দোলন, ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ এবং সর্বোপরি ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধ ও বিজয়। এসব ঘটনার চাইতে উজ্জ্বল তারকা কি বাঙালী জাতির ইতিহাসে আছে, নাকি কোনকালে ছিল? তাই এসব ধ্রুবতারার নির্দেশক পথ ধরেই আমাদের সর্বদা হাঁটতে হবে। জাতীয় সঙ্কট ও সমস্যায় সমাধান খুঁজতে হবে এসব উজ্জ্বল নক্ষত্রের আলোকছটায়। এসব ঘটনার ভেতর থেকেই সৃষ্টি হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ। চলার পথে মানুষের মনের অনুভূতিতে যে চেতনার সৃষ্টি হয় সেগুলোর উৎসস্থল হিসেবে কাজ করবে এসব স্বর্ণোজ্জ্বল মাইলফলক। অন্য কোন ঘটনার কেন্দ্র থেকে উৎপত্তি হওয়া অনুভূতিকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বলা যাবে না। আবার শূন্য আকাশ থেকেও চেতনার সৃষ্টি হয় না। সুতরাং উপরোক্ত ঘটনাবলীকে যারা মূল্যায়ন করে না, তাদের মুখে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের কথা মানায় না। নতুন প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণা সৃষ্টিকারী অফুরন্ত উপাদান রয়েছে এসব উজ্জ্বল ঐতিহাসিক বিজয়ের মাইলফলকের গোড়ায় গোড়ায়। এসব ঘটনাবলী যদি আমাদের চলার পথের বাহন থেকে উপড়ে ফেলা হয়, তাহলে নতুন প্রজন্ম ধর্মান্ধ উগ্রবাদী জঙ্গী হবে এটাই স্বাভাবিক। তখন অন্ধকারের পথে যাওয়া ঠেকিয়ে রাখা যাবে না। একজন খ্যাতিমান পশ্চিমা বিশ্বের প-িত বলেছেন, ঞযব ভঁঃঁৎব রং ষরশব ধ পড়ৎৎরফড়ৎ রহঃড় যিরপয বি পধহ ংবব ড়হষু নু ঃযব খরমযঃ ভধষষরহম ভৎড়স নবযরহফ. পেছন থেকে আলো ফেলার উজ্জ্বল বাতিগুলো সচল থাকলে ভবিষ্যতের পথ চলায় আমাদের জন্য কোন সঙ্কট সৃষ্টি করবে না। দ্বিতীয়ত. মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ এমন হবে যেখানে ধর্মবর্ণ, নারী পুরুষ থাকলে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সমান অধিকার ভোগ করবে। হেফাজতের ১৩ দফার মতো অন্ধগলির মধ্যে বাংলাদেশকে টেনে নেয়ার সুযোগ ও সাহস কেউ পাবে না। বাংলাদেশের সকল নাগরিক আধুনিক, প্রগতিশীল এবং বিভাজন মনস্ক শিক্ষার সুযোগ পাবে। তৃতীয়ত. মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ হবে যুদ্ধাপরাধী মুক্ত, রাজাকারমুক্ত বাংলাদেশ। সেই বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধী দল জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ হবে। সকল যুদ্ধাপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে কলঙ্কমুক্ত হবে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ। ধর্মাশ্রয়ী রাজনীতি বাংলাদেশে থাকবে না। ধর্মনিরপেক্ষতা এবং বাঙালী সংস্কৃতি হবে সকল রাজনীতি ও রাষ্ট্রনীতির মূল অবলম্বন। উগ্রবাদী জঙ্গীদের চাপাতির কোপে কারও জীবন প্রদীপ নিভে যাবে না। এমন বাংলাদেশ গড়ার যাত্রা আমরা শুরু করেছিলাম স্বাধীনতার পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে। কিন্তু মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাকা-ের মাধ্যমে সব শেষ হয়ে গেল। মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ বলতে আর কিছু থাকল না। পঁচাত্তরের পরে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়া দুই সামরিক শাসক, জেনারেল জিয়া এবং এরশাদ এক নাগাড়ে দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে রাষ্ট্রের সকল অঙ্গন থেকে মুক্তিযুদ্ধের সব চিহ্ন মুছে ফেলার চেষ্টা করেছেন। জিয়ার প্রতিষ্ঠিত বিএনপি যুদ্ধাপরাধী দল জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে সেই একই ধারা অব্যাহত রেখেছেন। ২০০১-২০০৬ মেয়াদে যুদ্ধাপরাধী নিজামী ও মুজাহিদকে মন্ত্রী বানিয়ে বিএনপি রাষ্ট্রের কপালে যে কলঙ্ক সেটে দিয়েছে তা কোন দিন ঘুচবার নয়। ১৯৭৮ সালে জিয়াউর রহমান সামরিক আদেশবলে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কিত সকল শব্দ, বাক্য ও অনুচ্ছেদ বাহাত্তরের সংবিধান থেকে বাদ দেয়ার ফলে রাষ্ট্রের যে চরিত্র দাঁড়াল তাকে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ বলার কোন চিহ্ন আর অবশিষ্ট ছিল না। তাতে রাষ্ট্রের চরিত্র হলো বাংলাদেশ নামের আরেকটি পাকিস্তান। জিয়াউর রহমান সামরিক আদেশবলে সংবিধানের প্রারম্ভে প্রস্তাবনার দ্বিতীয় লাইনে- জাতীয় মুক্তির জন্য ঐতিহাসিক সংগ্রামের স্থলে প্রতিস্থাপন করলেন জাতীয় স্বাধীনতার জন্য ঐতিহাসিক যুদ্ধ অর্থাৎ মুক্তি শব্দের পরিবর্তে স্বাধীনতা এবং সংগ্রাম শব্দটির পরিবর্তে যুদ্ধ শব্দটিকে প্রতিস্থাপন করলেন। মুক্তি শব্দটির পরিবর্তে স্বাধীনতা শব্দ প্রতিস্থাপন করায় আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধকে ৯ মাসের গ-ির মধ্যে বেঁধে ফেলা হলো এবং এর পটভূমি, প্রেক্ষাপট, চূড়ান্ত মুক্তি অর্জনের লক্ষ্য ও ভিশনকে ছেটে ফেলা হলো। সংগ্রাম শব্দটি বাদ দেয়ার ফলে দুটি অপকর্ম সাধিত হলো। প্রথমত, ১৯৪৮ থেকে ১৯৭১, এই ২৪ বছর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বাঙালী জাতি যে সংগ্রাম করেছে, একেকটি মাইলফলক বিজয় অর্জন করেছে, যেগুলোর কথা এই লেখার প্রথম ভাগে উল্লেখ করেছি তার সব কিছুকে অস্বীকার করা হলো। এসব গৌরবোজ্জ্বল অশেষ প্রেরণার জায়গা বিনষ্ট করা হলো, এতবড় সংগ্রামের চিহ্ন ও নিদর্শন বলতে কিছু থাকল না। একই সঙ্গে ২৪ বছর ধরে পাকিস্তানের সব অপকীর্তিকে নতুন প্রজন্মের কাছ থেকে আড়াল করা হলো। ফলে ১৯৭৬ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত, এই সময়ে যে প্রজন্মটি বেড়ে উঠেছে তাদের এক বিরাট অংশের মধ্যে মুক্তি সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধের কোন আকর্ষণ, আবেগ ও চেতনার সৃষ্টি হয়নি। বঙ্কিম চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বিখ্যাত উপন্যাস কমলাকান্তের দফতর। ওই সময়ে দেশের দুর্দশার কথা বলতে গিয়ে বঙ্কিম কমলাকান্তের ভাষায় বলেছেন- ‘আমার এই বঙ্গদেশে সুখের স্মৃতি আছে, নিদর্শন কই? আর্যের ইতিহাস কই? জীবনচরিত কই? কীর্তি কই, কীর্তি স্তম্ভ কই? সমর ক্ষেত্র কই? সুখ গিয়েছে-সুখ চিহ্নও গিয়েছে, বধূ গিয়েছে, বৃন্দাবনও গিয়েছে- চাহিব কোন্ দিকে? অন্য এক জায়গায় বলেছেন, ‘তুমি যাঁহার রূপের ছায়া ধরিয়া রূপসী সাজিতে, সেই অনন্ত সৌন্দর্য শালিনী কোথায়? তুমি যাঁহার প্রসাদী ফুল লইয়া ওই স্বচ্ছ হৃদয়ে মালা পরিতে, সে পুষ্প ভরনা কোথায়? সে রূপ, সে ঐশ্বর্য কোথায় ধুইয়া লইয়া গিয়াছ? বিশ্বাসঘাতিনী, তুমি কেন আবার শ্রবণ মধুর কলকল তরতর রবে মন ভুলাইতেছ? বঙ্কিম কমলাকান্তের মুখের ভাষায় বুঝাতে চেয়েছেন একটা জাতিকে সুখী সমৃদ্ধশালী হতে হলে তার ইতিহাস ঐতিহ্যের সকল নিদর্শন ও চিহ্ন অটুট ও অক্ষুণœ রাখা অপরিহার্য। পঁচাত্তরের পর ২১ বছর বাংলাদেশের অবস্থা ছিল বঙ্কিমের ভাষায় গৌরবোজ্জ্বল আলোকবর্তিকার নিদর্শন ও চিহ্ন বঞ্চিত দেশ। কিন্তু এত বড় ত্যাগ জীবনোৎসর্গ কখনও বৃথা যেতে পারে না। মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ ফিরে পাবার সংগ্রাম শুরু হয়েছে, বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা সেই সংগ্রামের হাল ধরে আছেন শক্ত হাতে। বাংলাদেশ আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ২০০৯ সাল থেকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। ক্ষমতায় থাকায় মুক্তি সংগ্রামের উজ্জ্বল ধ্রুব তারাগুলো আবার একে একে উন্মুক্ত হচ্ছে। নতুন প্রজন্ম বলিষ্ঠ ভূমিকায় এগিয়ে আসছে। বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রধান অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসু সম্প্রতি বলেছেন, গত ৬-৭ বছরে অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রায়ন অভূতপূর্ব এবং বিশ্বের জন্য রোল মডেল। গত তিন-চার বছর ধরে একই কথা বলে আসছেন বিশ্বের বড় বড় গবেষণা ও জরিপকারী প্রতিষ্ঠান যেমন, গোল্ডম্যান এ্যান্ড স্যাকস পিউ রিসার্স সেন্টার এবং গ্যালাপ। কিন্তু এই উন্নয়নের ধারা টেকসই ও অব্যাহত রাখতে হলে রাষ্ট্রকে পরিপূর্ণভাবে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। এ পথের চ্যালেঞ্জ এখনও পাহাড়সম। এক নম্বর চ্যালেঞ্জ চলমান যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দ্রুত সম্পন্ন করা। দ্বিতীয়ত. যুদ্ধাপরাধী দল জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা। শুধু তাই নয়, ধর্মাশ্রয়ী রাজনীতি চিরতরে বাংলাদেশ থেকে বিদায় করতে হবে। তৃতীয়ত. বাংলাদেশের মানুষকে এই মর্মে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে যে, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও দর্শনের বাইরে কোন রাজনীতি বাংলাদেশে থাকতে পারবে না। মুক্তিযুদ্ধের অবমাননা করা এবং পাকিস্তানের গণহত্যাকে অস্বীকার করা কঠিন শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। চতুর্থত. ধর্মান্ধ জঙ্গীবাদ, উগ্রবাদ থেকে বাংলাদেশ মুক্ত করতে হবে। বঙ্গবন্ধু ও বাঙালী সংস্কৃতিই হবে রাষ্ট্রের মূল অবলম্বন। বাংলাদেশের চরম বিভাজনের রাজনীতিতে একটি বড় পক্ষ এবং সর্বক্ষেত্রে তাদের সুবিধাভোগীগণ এখনও মুক্তিযুদ্ধের সকল আদর্শ ও দর্শনের বিরুদ্ধে প্রবল প্রতিপত্তি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের সর্বত্র তাদের প্রবল উপস্থিতি রয়েছে। জামায়াত যুদ্ধাপরাধীদের বিশাল ধনসম্পদ এবং বৈশ্বিক রাজনীতির বিরূপ প্রভাব এখনও মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পথে বড় অন্তরায়। তবে আশার কথা নতুন প্রজন্ম প্রবল গতিতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধ হচ্ছে। বাংলাদেশকে আর কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার যাত্রাপথে গত ছয়-সাত বছরের অগ্রগতি কম নয়। তবে এখনও যেতে হবে বহু দূর। লেখক : ভূ-রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক
×