স্টাফ রিপোর্টার ॥ আগামী জানুয়ারি থেকেই সরকারী কর্মকর্ত-কর্মচারীরদের সাথে শর্তহীনভাবে একযোগে বেসরকারী শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন স্কেল কার্যকর করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি। আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে এ দাবি বাস্তবায়নের ঘোষণা না আসলে লাগাতার ধর্মঘট ও আন্দোলনের হুমকিও দিয়েছেন সমিতির নেতারা।
শনিবার সকালে রাজধানীতে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ)সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে সমান বেতন স্কেলের দাবিতে কর্মসূচিও ঘোষণা করা হয়। ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ২৭ ডিসেম্বর সারাদেশে শিক্ষক-কর্মচারীরা মানববন্ধন এবং বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক, সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল কাশেম, সহ-সভাপতি রঞ্জিত কুমার সাহা ও মো. বজলুর রহমান মিয়া, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. কাওছার আলী প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি মুহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক বলেন, বেসরকারি শিক্ষকদের মূল দাবি হলো শিক্ষানীতি ২০১০ এর বাস্তবায়ন। যার মাধ্যমে শিক্ষা ব্যবস্থার জাতীয়করণ হবে। আর শিক্ষা ব্যবস্থার জাতীয়করণ করা হলে প্রতিষ্ঠানের আয়ের অংশ সরকারি কোষাগারে ফেরত দেওয়ার বিষয়টি সুরাহা করা যেতে পারে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বেসরকারী শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন স্কেল নিয়ে অর্থ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের টানা হেঁচড়া চলমান সংকটের জন্য দায়ী। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাস হওয়া বেতন স্কেলে বেসরকারী শিক্ষক-কর্মচারীরা অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। এখন বলা হচ্ছে, যাচাই-বাছাই করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। এটা ষড়যন্ত্রমূলক। জটিলত নিরসনে তিনি এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দেশে বর্তমানে এমপিওভূক্ত বেসরকারি স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার সংখ্যা ২৬ হাজার ৭শ’। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীর সংখ্যা ৪ লাখ ৭৭ হাজার ২২১ জন। আর নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে প্রায় ৭ হাজার, যেখানে শিক্ষক-কর্মচারীর সংখ্যা ২ লাখ