ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

চূড়ান্ত দল ঘোষণা করলেন কোচ মারুফুল হক

প্রকাশিত: ০৫:৩৪, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৫

চূড়ান্ত দল ঘোষণা করলেন কোচ মারুফুল হক

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আগামী ২৩ ডিসেম্বর থেকে ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত ভারতের কেরলে অনুষ্ঠিত হবে ‘সাফ অঞ্চলের ফুটবল বিশ্বকাপ’ খ্যাত ‘সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ (সাফ সুজুকি কাপ)।’ এতে অংশ নেবে সাফ অঞ্চলের সাত দেশÑ স্বাগতিক ভারত, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ ও ভুটান। আফগানিস্তান এবারই শেষবারের মতো সাফ ফুটবল খেলবে। এরপর তারা আসিয়ান অঞ্চলের তালিকাভুক্ত হয়ে যাবে। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ খেলতে আগামী রবিবার দেশ ছাড়ার কথা বাংলাদেশ দলের। শুক্রবার দলের প্রধান কোচ মারুফুল হক ২০ জনের চূড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণা করেছেন। এতে ইনজুরি, অসুস্থতা, ফিটনেস এবং পারফর্মেন্সের কারণে বাদ পড়েছেন আট ফুটবলার। তারা হলেনÑ ফয়সাল মাহমুদ, জাহিদ হাসান এমিলি, মাসুক মিয়া জনি, আমিনুর রহমান সজীব, শাহেদুল আলম, মাজহারুল ইসলাম হিমেল, কেষ্ট কুমার বোস এবং আব্দুল বাতেন মজুমদার কোমল। উল্লেখ্য, গত ২৮ নবেম্বর ২৮ জনের প্রাথমিক দল ঘোষণা করেন বাংলাদেশ দলের কোচ মারুফুল হক। চূড়ান্ত দলের ২০ ফুটবলার হলেনÑ শহীদুল আলম, রাসেল মাহমুদ লিটন, আশরাফুল ইসলাম রানা, নাসিরুল ইসলাম, রেজাউল করিম, জামাল ভূঁইয়া, ইয়াসিন খান, রায়হান হাসান, ইয়ামিন মুন্না, জাহিদ হোসেন, মামুনুল ইসলাম (অধিনায়ক), হেমন্ত ভিনসেন্ট বিশ্বাস, জুয়েল রানা, মোনায়েম খান রাজু, তপু বর্মণ, নাসির উদ্দিন চৌধুরী, সোহেল রানা, নাবিব নেওয়াজ জীবন, সাখাওয়াত হোসেন রনি, ওয়ালী ফয়সাল ও আতিকুর রহমান মিশু। গত ১৫ সেপ্টেম্বর এই টুর্নামেন্টের গ্রুপিং ড্র হয় ভারতের দিল্লীতে। কঠিন গ্রুপেই পড়েছে বাংলাদেশ। ‘বি’ গ্রুপে অবস্থান ‘বেঙ্গল টাইগার্স’দের। যেখানে তাদের সঙ্গী গতবারের সাফ চ্যাম্পিয়ন আফগানিস্তান। রয়েছে শক্তিশালী মালদ্বীপ এবং ভুটান। তুলনামূলক ভুটানই বাংলাদেশের কাছে স্বস্তিকর প্রতিপক্ষ। অন্যদিকে ‘এ’ গ্রুপে পড়েছে সর্বোচ্চ ছয়বারের চ্যাম্পিয়ন ভারত। সঙ্গে আছে নেপাল ও শ্রীলঙ্কা। অপরদল পাকিস্তান টুর্নামেন্ট থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছে। উল্লেখ্য, এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো সাফ ফুটবলের আয়োজন করতে যাচ্ছে ভারত। বাংলাদেশ দল তাদের আনুষ্ঠানিক অনুশীলন শুরু করে গত ২৮ নবেম্বর থেকে, সাভারের জিরানির বিকেএসপিতে, নতুন কোচ মারুফুল হকের অধীনে। কেরলের ত্রিভানদ্রাম আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টে দুই গ্রুপে মোট আট দল লড়বে। দুই গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দল উঠবে সেমিফাইনালে। ৩১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে দুটি সেমিফাইনাল। ৩ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে ফাইনাল। বাংলাদেশের খেলাগুলো হবে ২৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টায় আফগানিস্তান, ২৬ ডিসেম্বর বিকেল ৪টায় মালদ্বীপ এবং ২৮ ডিসেম্বর বিকেল ৪টায় ভুটানের বিপক্ষে। দক্ষিণ এশিয়ার এই ফুটবল টুর্নামেন্টে আধিপত্য ভারতেরই। ১৯৯৩ সাল থেকে শুরু হওয়া সাফ ফুটবলে তারা সর্বোচ্চ ছয়বারের চ্যাম্পিয়ন। বাকি চার আসরের শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পড়েছে চারটি দল। ২০০৩ সালে প্রথম ও শেষবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ। ১৯৯৯ সালে ফাইনালে খেললেও সেবার শিরোপা জিততে পারেনি বাংলাদেশ। টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের একমাত্র শিরোপাটি আসে ২০০৩ সালে মালদ্বীপকে হারিয়ে। ২০০৫ সালেও ফাইনালে উঠেছিল বাংলাদেশ। ভারতের কাছে ২-০ গোলে হেরে সেবার শিরোপা জয়ের স্বপ্ন পূরণ হয়নি। বাংলাদেশের গ্রুপে থাকা বাকি তিন দলের মধ্যে আফগানিস্তান ও মালদ্বীপের এই শিরোপা জয়ের অভিজ্ঞতা হয়েছে। গত আসরে নেপালকে হারিয়ে ট্রফি নিয়ে ঘরে ফেরে আফগানিস্তান। আর মালদ্বীপ তাদের একমাত্র শিরোপা জিতেছিল ২০০৮ সালে। বাংলাদেশের গ্রুপে তুলনামূলক দুর্বল দল ভুটান। এই প্রতিযোগিতায় দলটির সেরা সাফল্য ২০০৮ সালের সেমিফাইনালে খেলা। দেখার বিষয়, এবার বাংলাদেশ এক যুগের শিরোপা খরা ঘোচাতে পারে কি না।
×