ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

২শ’ একর জমি অনাবাদী, নিষ্কাশন খালে স্থাপনা

প্রকাশিত: ০৫:২৯, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৫

২শ’ একর জমি অনাবাদী, নিষ্কাশন খালে স্থাপনা

নিজস্ব সংবাদদাতা, গোপালগঞ্জ, ১৮ ডিসেম্বর ॥ গোপালগঞ্জ শহরসংলগ্ন ঘোনাপাড়া এলাকায় জলাবদ্ধতার কারণে প্রায় ২শ’ একর আবাদী জমি দীর্ঘ চার বছর ধরে অনাবাদি হয়ে পড়েছে। জমি থেকে পানি বের হওয়ার কোন পথ না থাকায় সারা বছর ধরে ওই সব জমিতে পানি জমে থাকছে। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় সেখানে স্থায়ী জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এসব জমিতে আবাদ করতে না পেরে জমির মালিক ও কৃষকরা দিশাহারা হয়ে পড়েছে। সদর উপজেলার গোবরা ইউনিয়নের ভেটেদৌড় মৌজার এসব জমি সরেজমিন দেখা যায়, ১শ’ শয্যাবিশিষ্ট শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও ডেন্টাল কলেজের স্থাপনা গড়ে ওঠায় ওই সব জমি থেকে পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ ঘোনাপাড়া কাটা খালটি নির্মাণসামগ্রী ও বর্জ্য পড়ে অনেকাংশ ভরাট হয়ে গেছে। সেখানকার কৃষকরা জানিয়েছেন, অনেক আগেই বিষয়টি তারা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ জেলা প্রশাসনকেও অবহিত করেছেন; কিন্তু এসব জমি থেকে পানি নিষ্কাশনের এখনও কোন ব্যবস্থা হয়নি। তারা জানান, এক সময় এসব জমিতে ইরি-বোরোসহ বিভিন্ন জাতের রবিশস্যের আবাদ হতো। কিন্তু গত চার বছর ধরে সেখানে কিছুই হচ্ছে না। হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকতে হচ্ছে কৃষকদের। তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন অর্থনৈতিকভাবে। পরিবার-পরিজন নিয়ে অসহায় হয়ে পড়ছেন দিন দিন। ভুক্তভোগী কৃষকরা আরও জানিয়েছেন, কেউ কেউ আছেন যাদের সেখানকার একখ- জমির ফসলই ছিল আয়ের একমাত্র উৎস। এ সমস্যা দূরীভূত না হলে তারা সর্বশ্বান্ত হয়ে পড়বে। এজন্য তাদের দাবি, যত শীঘ্র সম্ভব ড্রেন নির্মাণ করে অথবা যে কোন উপায়ে এসব জমি থেকে পানি নিষ্কাশনে জরুরী ব্যবস্থা নিতে হবে। তা না হলে ঘোনাপাড়া, চরবয়রা ও ভাটিয়াপাড়া গ্রামের শতাধিক কৃষক পরিবার মহাবিপদে পড়বে। গোবরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফয়সাল কবিরের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, সেখানে তারও ১০ বিঘা জমি রয়েছে। কিন্তু এসব জমিসংলগ্ন ঘোনাপাড়া কাটা খালটি অনেকাংশে ভরাট হয়ে যাওয়ায় গত চার বছর ধরে স্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে এবং সেখানকার সকল জমির মালিক ও কৃষক চাষাবাদ থেকে বঞ্চিত রয়েছে। ইতোমধ্যে সেখানে ওই কাটা খালের সঙ্গে সংযুক্ত করে একটি ড্রেন নির্মাণের চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু অনেকে জমি দিতে রাজি না হওয়ায় সেটাও সম্ভব হয়নি। তবে এলাকার কৃষককুল বাঁচাতে বিষয়টির আশু সমাধান হওয়া প্রয়োজন বলে তিনি মন্তব্য করেন।
×