ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

শীতের সবজির সরবরাহ বেড়েছে

প্রকাশিত: ০৫:২৭, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৫

শীতের সবজির সরবরাহ বেড়েছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সরবরাহ বাড়ছে সবজির। তাই মৌসুমী সবজিতে স্বস্তি ভোক্তাদের। দাম কমে আসায় সবজি কেনাকাটাও বছরের অন্য যে কোন সময়ের চেয়ে বেড়েছে। ক্রেতারা বাজারে ঢুঁ মেরেই কিনছেন সবজি। বিক্রেতাদের দোকানে থরে থরে সাজিয়ে রাখা হয়েছে ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো, শিম, বেগুন, লাউ, লাল ও পালংশাকসহ আরও কত কী! এক মাস আগে যেখানে হাতেগোনা কয়েকটি সবজির ওপর নির্ভর ছিল কাঁচাবাজার, সেখানে এখন আইটেমের শেষ নেই। সবজির বাজারে যখন স্বস্তি তখন আবার বেড়ে যাচ্ছে মাছের দাম। দাম বাড়ার তালিকায় যুক্ত হয়েছে সয়াবিন তেল, চিনি, ব্রয়লার মুরগি, দেশী ডাল এবং রসুন। এছাড়া চাল ও আটার দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বাজারে দাম কমতে শুরু করেছে আলু-পেঁয়াজের। শুক্রবার রাজধানীর কাপ্তানবাজার, ফকিরাপুল বাজার, নিউমার্কেট কাঁচাবাজার ও কাওরানবাজার ঘুরে নিত্যপণ্যের দরদামের এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এ সপ্তাহে নতুন আলু কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা, যা গত সপ্তাহে ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তবে পুরনো আলুর দাম গত কয়েক মাস ধরে অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৫ টাকা। পেঁয়াজ প্রতি কেজি দেশী ৫৫ টাকা ও আমদানিকৃত ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ডিমের দামও কমতে শুরু করেছে। গত সপ্তাহের তুলনায় ডিমের দাম ডজনপ্রতি ১০ টাকা কমেছে। এ সপ্তাহে ফার্মের মুরগির ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ৩২ টাকায়। এছাড়া দাম বেড়ে ভোজ্যতেল প্রতি লিটার ৭৮-৮০, চিনি প্রতি কেজি ৪৪-৪৬, ব্রয়লার মুরগি ১২০-১৩০, দেশী ডাল ১২৫-১৩০ এবং রসুন ৪০-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রাজধানীর বাজারে ফুলকপি প্রতি পিস আকারভেদে ২০ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিটি বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। লাউ ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়, শালগম ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহের চেয়ে ২০ টাকা দাম কমে কাঁচামরিচ কেজি ৬০ টাকায়, ধনিয়া পাতা ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে গত সপ্তাহের থেকে ১০ টাকা বেশি দামে শিম-করলা-বরবটি বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি শিম ৩৫-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মাছের বাজারে ছোট রুই-কাতল প্রতি কেজি ২৫০ টাকা, বড় ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ৫০ থেকে ৭০ টাকা কমে বিক্রি হয়। এছাড়া তেলাপিয়া মাছ ২০০ টাকা, কৈ মাছ আকারভেদে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায় আর ছোট মাছ গত সপ্তাহের চেয়ে প্রায় ১০০ টাকা বেশি দরে ৩০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে বেশি দামে। মাঝারি সাইজের প্রতি পিস ইলিশ কিনতে ক্রেতাতে এক হাজার ১২শ’ টাকা গুনতে হচ্ছে। ছোট চিংড়ি ৩৫০ টাকা, বাগদা ৪৫০ টাকা ও গলদা ৫শ’ থেকে ৭শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
×