ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আজ নির্বাচন কমিশনের বৈঠক

প্রকাশিত: ০৫:২১, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৫

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আজ নির্বাচন কমিশনের বৈঠক

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পৌর নির্বাচনে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে আজ বৈঠকে বসছে কমিশন। সকাল ১১টায় রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন বলে ইসি জানিয়েছে। ইতোমধ্যে এ বৈঠকে আলোচনার জন্য কর্যপত্র তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া বৈঠকে উপস্থিত থাকার জন্য কমিশনের পক্ষ থেকেই ইতোমধ্যেই নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব, সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, পুলিশ, বিজিবি, আনসার, এনএসআই, ডিজিএফআই, ডিবি ও কোস্টগার্ডসহ সব বাহিনীর প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। আগামী ৩০ ডিসেম্বর সারাদেশে ২৩৪টি পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা প্রচারে ব্যস্ত রয়েছেন। তবে নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও অবাধ করতে ইসির পক্ষ থেকে নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এদিকে ইসির নিষেধাজ্ঞাকে উপেক্ষা করে বিভিন্ন এলাকায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ আসছে। এসব অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ইসির পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে অভিযোগের বেশিরভাগই সংশ্লিষ্ট এলাকার ক্ষমতাসীন এমপিদের বিরুদ্ধে। জানা গেছে আজকে বৈঠকে নির্বাচনে আচরণ বিধি লঙ্ঘনের বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে। এছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি ইসির নির্দেশনা দেয়া হবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব উদ্দিন আহমেদ এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করছেন। এছাড়া অন্য চার কমিশনারস নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারাও উপস্থিত থাকবেন। ইসি জানিয়েছে, ২৩৪ পৌরসভায় ভোটকেন্দ্র রয়েছে সাড়ে তিন হাজার। ভোটকেন্দ্রে ৭০ হাজার সদস্য মোতায়েনের পরিকল্পনা ইসির। এর মধ্যে ৫০ হাজারই থাকবে আনসার-ভিডিপির সদস্য। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ভোটের আগে দুই দিন ও পরে একদিন-এই চারদিন অর্থাৎ ২৮ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মাঠে থাকবে। তবে মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে বিজিবি, র‌্যাব, এপিবিএন, কোস্টগার্ড ও পুলিশ সদস্যরা থাকবে। জানা গেছে, নির্বাচনের বিধি লঙ্ঘনের বিচারের জন্য নির্বাহী ও বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবেন পৌরসভাভিত্তিক। প্রতি সাধারণ ওয়ার্ডে একটি করে মোবাইল ফোর্স হিসেবে ২ হাজার ১৯৩টি, প্রতি তিন ওয়ার্ডের জন্য একটি স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ৭৩১টি, প্রতি পৌরসভায় র‌্যাবের একটি টিম, প্রতিটি পৌরসভায় এক প্লাটুন বিজিবি এবং উপকূলীয় পৌরসভায় এক প্লাটুন করে কোস্টগার্ড মোতায়েনের প্রস্তাব করছে ইসি। সাড়ে তিন হাজার ভোটকেন্দ্রেই ভোটের দিন থাকবে ৬০ হাজারের বেশি ফোর্স। অবশিষ্ট ১০ হাজারের বেশি ফোর্স ২৩৪ নির্বাচনী এলাকায় নির্বাচনের দু’দিন থেকে অবস্থান নেবে। উল্লেখ্য, আগামী ৩০ ডিসেম্বর সারাদেশের ২৩৪ পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে ইসির নিবন্ধিত ২০টি দলের এবং স্বতন্ত্র মিলিয়ে মেয়র পদে ৯২৩ জন প্রতিদ্বন্দ্রী প্রার্থী ভোটের লড়াইয়ে থাকছেন। এছাড়া কাউন্সিলর পদে সাধারণ ৮ হাজার ৫৮৯ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ২৫৩৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছেন।
×