ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস পালন

প্রকাশিত: ০০:৫০, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৫

নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস পালন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নিরাপদ অভিবাসন ও প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্ব দেয়া হবে। নিরাপদ অভিবাসন নিয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে একটি আইনের খসড়া তৈরিও করেছে। নতুন আইনের ওপর সুশীল সমাজের মতামতও নেয়া হয়েছে। এখন এটি আইন মন্ত্রণালয়ে ‘ভেটিং’র জন্য পাঠানো হবে। ভেটিং শেষে আইনটি সংসদে পাস করার কথা রয়েছে। নতুন আইনে কর্মীদের সঙ্গে প্রতারণা করলে ৫ বছরের সর্বোচ্চ শস্তি ও জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া মানব পাচারের ক্ষেত্রে মৃত্যুদন্ডের বিধানের প্রস্তাব করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস-২০১৫ উপলক্ষে শুক্রবার রাজধানীতে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কথা উঠে এসেছে। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় অভিবাসী দিবস উপলক্ষে শুক্রবার দিনব্যাপী কর্মসূচি পালন করেছে। সকাল ৮টায় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা থেকে র‌্যালি বের করা হয়। আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন বিদেশে থাকার পর ফিরে আসা প্রবাসী কর্মীরা নিজেদের সামাজিক অবস্থার সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারেন না। সরকার তাদের পুনঃএকত্রীকরণের কথা ভাবছে। দেশে ফিরে আসা প্রবাসী কর্মীদের সামাজিক ও আর্থিকভাবে সংশ্লিষ্ট করার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে সরকার। অনেক প্রবাসী বিদেশে তাদের কষ্টার্জিত অর্থ সঠিকভাবে বিনিয়োগ করতে ব্যর্থ হওয়ায় আর্থিক ঝুঁকির মধ্যে পড়েন। বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর চার-পাঁচ লাখ কর্মী বিভিন্ন দেশে কাজে যাচ্ছেন। এর ফলে একদিকে যেমন দেশের বেকারত্ব কমছে, অন্যদিকে তাদের পাঠানো রেমিটেন্স দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করে চলেছে। সরকারের আইন ও নীতিমালার কারণে পুরুষ কর্মীদের পাশাপাশি নারীরাও বিদেশে যাচ্ছেন। প্রশিক্ষণের ওপর জোর দেওয়ায় এখন অধিকহারে প্রশিক্ষিত জনবল বিদেশে যাচ্ছে। অভিবাসী কর্মীদের স্বাস্থ্য, রেমেটিন্সে প্রেরণ, তথ্যপ্রবাহ, সচেতনতা বৃদ্ধি, দক্ষতা উন্নয়ন ইত্যাদি ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে সম্মিলিত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। একই সঙ্গে প্রবাসী কর্মীদের কল্যাণে ও সেবা প্রদানে বাংলাদেশ মিশনের শ্রম উইংগুলোকে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। প্রয়োজনে উইংগুলোকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। অনুষ্ঠানে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি’র সভাপতিত্বে ওই অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন এবং জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষ্যণ ব্যুরোর মহাপরিচালক বেগম শামসুন নাহার প্রমূখ।
×