ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ঠাকুরগাঁওয়ে জীবন যুদ্ধে পরজিত সৈনিক আহম্মদ আলী

প্রকাশিত: ২১:৫৩, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৫

ঠাকুরগাঁওয়ে জীবন যুদ্ধে পরজিত সৈনিক আহম্মদ আলী

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঠাকুরগাঁও ॥ দেশের জন্য যুদ্ধ করেছিলেন তিনি। তাঁর বাম পায়ে ও ডান কাঁধে এখনো শত্র“র বোমার ¯িপ্রনটার। বীরত্বের সাথে লড়েছেন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে। মাতৃভূমিকে শত্র“র হাত থেকে রক্ষা করার জন্য প্রাণপণ লড়াই করেছেন। ছিনিয়ে এনেছেন বিজয়। ভূষিত হয়েছেন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার সম্মানে। এই যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার নাম আহম্মদ আলী। বাঁচবেন কি মরবেন, যুদ্ধ বিজয়ের পর কি হবে, যুদ্ধের পর কি প্রাপ্তি হবে, তা নিয়ে কখনও ভাবেননি। এখন মনে হয়, সম্মুখযুদ্ধের চেয়ে জীবনযুদ্ধই অনেক কষ্টের। যুদ্ধের পর তাকে কেউ মনে রাখেনি। ১৯৭১ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে দেশকে পাক হানাদার বাহিনী মুক্ত করতে যুদ্ধে যায় ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ছিটচিলারং গ্রামের নবাব আলীর পুত্র আহম্মদ আলী। বাবা নবাব আলী ও মা আনোয়ারা বেগমের কথা অমান্য করে দেশকে ভালোবেসে অস্ত্র হাতে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনি। পরে আটোয়ারির মরিচ পাড়া এলাকায় শত্র“পক্ষের বোমার ¯িপ্রনটার বাম পায়ে ও ডান কাধে বিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছিলেন তিনি। তবুও যুদ্ধ চালিয়ে গেছেন। তবে জীবনের শেষপ্রান্তে এসে দারিদ্রতার কাছে হার মানতে হয়েছে তাকে। স্ত্রী, ২ ছেলে ও ১ মেয়ে নিয়ে চলছে তাঁর সংসার। এখন ঠাকুরগাঁও জজ কোর্ট চত্বরে চা ও পান বিক্রি করে সংসার চালানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন তিনি। পরিবার নিয়ে থাকার কোন নিজস্ব জায়গা নেই তাঁর। যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর থেকেই তিনি শহরের টিকাপাড়া এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থেকে আসছেন। ছেলেদের লেখাপড়ার খবর যোগানোর সার্মথ্য দিন দিন হারিয়ে ফেলছেন মুক্তিযোদ্ধা আহম্মদ ্আলী। দুই ছেলের জন্য সরকার যদি কোন চাকুরীর ব্যবস্থা গ্রহন করে সেজন্য তিনি সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন তিনি।
×