ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

শিরোপার লক্ষ্যে আজ নেপাল যাচ্ছে মেয়েরা

প্রকাশিত: ০৬:২৪, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৫

শিরোপার লক্ষ্যে আজ নেপাল যাচ্ছে মেয়েরা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ‘লক্ষ্য ছিল ফাইনাল খেলার। সেটা পূরণ হয়েছে। এখন নতুন লক্ষ্য হচ্ছে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার। আশা করি আমরা সেটা হতে পারব। তবে স্বাগতিক নেপাল অনেক শক্তিশালী দল। মনে হচ্ছে ফাইনাল ম্যাচটি অনেক প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। দেশবাসীর কাছে দোয়া চাচ্ছি যেন আমরা সফল হয়ে দেশে ফিরতে পারি এবং তাদের জন্য শিরোপা নিয়ে আসতে পারি।’ কথাগুলো কৃষ্ণা রানী সরকারের। আগামী ২০ ডিসেম্বর নেপালের কাঠমান্ডুতে এএফসি অনুর্ধ ১৪ মহিলা আঞ্চলিক ফুটবলের ফাইনালে স্বাগতিক নেপালের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। উল্লেখ্য, যে কোন পর্যায়ের মহিলা ফুটবলের আসরে এই প্রথম বাংলাদেশ ফাইনাল খেলতে যাচ্ছে। বাংলাদেশ দল ফাইনাল খেলতে নেপাল যাত্রা করবে শুক্রবার দুপুরে। এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ভবনের কনফারেন্স রুমে। সেখানেই বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক কৃষ্ণা উপরোক্ত মন্তব্য করেন। আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ দলের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। উল্লেখ্য, গত ২৫ এপ্রিলে আয়োজক নেপালের বিপক্ষে এই ফাইনালের আগের দিন ভয়াবহ ভূমিকম্প সংঘটিত হয়। ব্যাপক প্রাণহানি ঘটে এবং ক্ষয়-ক্ষতি হয়। ফাইনালের ভেন্যু দশরথ স্টেডিয়ামের একটি অংশের ফাটল ধরে। ফলে সে সময় ফাইনাল খেলাটি আর অনুষ্ঠিত হয়নি। এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন আবারও এই ফাইনালটির দিনক্ষণ নির্ধারণ করে গত ২ ডিসেম্বর। গত এপ্রিলে নেপাল সফরে বাংলাদেশ দলে যেসব খেলোয়াড়রা ছিল, তাদের সবাই আছে বর্তমান স্কোয়াডে। তারা কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনের অধীনে অনুশীলন করেছে। নেপালে গত এপ্রিলে দুর্দান্ত খেলেছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। এর আগে ২০১৩ সালে বাংলাদেশ অনুর্ধ ১৪ মহিলা দল শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত এই আসরে অংশ নিয়ে তৃতীয় হয়েছিল এবং ফেয়ার প্লে ট্রফি লাভ করেছিল। তার মানে এবার তারা নিশ্চিতভাবেই টপকে গেছে আগের বারের সাফল্যকে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছোটন বলেন, ‘আমরা পারফর্ম এবং যোগ্যতা প্রদর্শন করেই ফাইনালে নাম লেখাই। ওই টুর্নামেন্টে ফাইনালের আগ পর্যন্ত আমরা দুর্দান্ত খেলেছি। যদিও মাঝে আট মাসের লম্বা বিরতি পড়ে গেছে, তারপরও বলব দলের ফুটবলাররা তাদের সেই আগের ফর্ম-ফিটনেস ধরে রেখেছে। কেননা এই সময়ের মধ্যে তারা একাধিক ঘরোয়া টুর্নামেন্ট খেলেছে। ফলে তারা খেলার মধ্যেই ছিল।’ টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ দলে গ্রুপে ভারতের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে এবং ভুটানকে ১৬-০ গোলে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়। এই ধরনের টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ দল আগে কখনও গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি। এবার পেরেছে। তাছাড়া সেমিতে ইরানকে সেমিতে ২-০ গোলে হারায়। নিজেদের ফেবারিট মনে করলেও প্রতিপক্ষ নেপাল দল আবার খাটো করতে চান না ছোটন, ‘অবশ্যই নেপাল ভাল ও শক্তিশালী দল। কেননা, সেমিতে তারা ভারতের মতো দলকে হারিয়েছে। নিজের শিষ্যদের প্রতি কেমন আস্থা আছে? ‘সানজিদা, কৃষ্ণা রানী, মারজিয়ারা, স্বপ্নার মতো কোয়ালিটি ফুটবলার আমার দলে থাকায় আমি অনায়াসেই তাদের ওপর ভরসা করছি।’ ছোটনের ভাষ্য। উল্লেখ্য, এই আসরে এর আগে বাংলাদেশ কখনও নেপালের মুখোমুখি হয়নি। স্বাগতিক দল হিসেবে ফাইনালে চাপে থাকবে কি না কিংবা দর্শক সমর্থন একেবারেই পাবে না ফাইনালে বাংলাদেশ, ফলে এতে বাংলাদেশ দল নার্ভাস থাকবে কি না? ছোটনের জবাব, ‘দেখুন, এসব নিয়ে আমি বা আমাদের মেয়েরা মোটেও চিন্তা করছি না। আমরা শুধু নিজেদের স্বাভাবিক খেলা খেলতে চাই। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে বলেছিলাম আমরা ফাইনালে খেলতে চাই। সেই লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। এবারের লক্ষ্য চ্যাম্পিয়ন হওয়া।’
×