ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ভারতে এগোতে চেয়েছিল জেএমবি

প্রকাশিত: ০৬:০৭, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৫

ভারতে এগোতে চেয়েছিল জেএমবি

শংকর কুমার দে ॥ বাংলাদেশের নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে শরিয়া আইন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানের খাগড়াগড়ে ঘাঁটি গেড়েছিল জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি)। পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলা থেকে শুরু করে নদিয়া, মুর্শিদাবাদ ও বীরভূমে খেলাফত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে জঙ্গী সংগঠনটি বিস্তৃত করা ছিল তাদের পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত। সোমবার কলকাতার মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে পেশ করা খাগড়াগড় বিস্ফোরণ মামলার প্রায় ৩৫০ পাতার অতিরিক্ত চার্জশীটে এ ধরনের তথ্যের কথা উল্লেখ করেছে ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা এনআইএ। জাতীয় তদন্ত সংস্থা এনআইএ’র অতিরিক্ত চার্জশীটে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশ জেএমবি’র মূল নিশানা হলেও ভারতে শাখা-প্রশাখা বিস্তার করে নিজেদের পরিকল্পনায় আরও এগোতে চেয়েছিল জেএমবি। এজন্য পশ্চিমবঙ্গে বহু জঙ্গী ডেরা ও বর্ধমানের খাগড়াগড়সহ একাধিক জায়গায় বোমা-বিস্ফোরকের কারখানা তৈরি করেছিল জেএমবি। বাংলাদেশে সাফল্য মিললে জেএমবি ধীরে ধীরে ভারতেও সে লক্ষ্যে এগোতো বলে খাগড়াগড় বিস্ফোরণ মামলার দ্বিতীয় সাপ্লিমেন্টারি (অতিরিক্ত) চার্জশীটে ইঙ্গিত দিয়েছে এনআইএ। বর্ধমানের খাগড়াগড় বোমা বিস্ফোরণের মামালায় দ্বিতীয় অতিরিক্ত চার্জশীটই ফাইনাল চার্জশীট। এর পর বিচার প্রক্রিয়া যত শীঘ্র সম্ভব শুরু করে দেয়ার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। এই মামলায় এখনও পর্যন্ত ৬৬ হাজার ৭৫৩ পাতার নথি আদালতে জমা দিয়েছে এনআইএ। গোয়েন্দাদের দাবি, যেমন- নুরুল হক ম-ল ওরফে নইম, যাকে চলতি বছরের ১৮ জুন হাওড়া স্টেশনের কাছ থেকে গ্রেফতার করা হয়। ধরা পড়ার আগে নইম জেএমবি’র চাঁই হাতকাটা নাসিরুল্লাহ, কওসর, কদর কাজীদের সঙ্গে ফোনে কথা চালিয়ে গিয়েছে বলে দাবি গোয়েন্দাদের। তাঁরা নইমের দুটি ঠিকানা পেয়েছেন- একটি মুর্শিদাবাদের ডোমকল, অন্যটি বীরভূমের বোলপুরের মুলুক গ্রামে। কিন্তু গোয়েন্দাদের একাংশের সন্দেহ, নইম আসলে বাংলাদেশেরই নাগরিক। এনআইএ’র জমা দেয়া দ্বিতীয় অতিরিক্ত চার্জশীটে একজনের নাম রয়েছে আর সেই একজনই হলো নুরুল হক ম-ল ওরফে নইম। এই নিয়ে খাগড়াগড় বিস্ফোরণ মামলায় ২৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশীট পেশ করল এনআইএ।
×