ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বৈষম্যের শিকার

প্রকাশিত: ০৫:৪২, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৫

বৈষম্যের শিকার

বর্তমান মানব সভ্যতা নারী ও পুরুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টা। সৃষ্টির শুরু থেকে নারী এবং পুরুষ একে অপরের পরিপূরক। প্রত্যেক নারী পুরুষের কাছে থেকে সর্বদা সব কাজে সহযোগিতা করছে। তার পরেও নারীরা প্রায় সর্বক্ষেত্রে অবহেলিত। নারীরা পরিবারসহ সব জায়গাতেই সমাজকে আরও সুন্দর করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে পুরুষের পাশাপাশি। সংসারের হাল ধরা সত্ত্বেও নারীর মর্যাদা কতটা ক্ষুণœœ তা বর্ণনাতীত। আমি একজন চাকরিজীবী মহিলা। আমার অভিজ্ঞতা থেকে অনেক কিছুই বেরিয়ে আসবে যা এই সীমিত শব্দে লিখে শেষ করা সম্ভব নয় । ২০০৩ সাল থেকে আমি চাকরি করছি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে। আর এই চাকরি থেকে আমার জীবনে অনেক বাস্তব অভিজ্ঞতা হয়েছে। মনের ভিতরে কত কথা লুকানো তা কারও কাছে প্রকাশ করা সম্ভব নয়। থাক সে সব কথা, বর্তমানে আমি একটি সাহায্য সংস্থার এইচআইভি এইডস প্রকল্পে কর্মরত আছি। প্রতিদিন যাতায়াতের জন্য বাসে করে যেতে যে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় তা শুধু আমার মতো যাত্রীরাই ভাল বোঝেন। যাত্রীবাহী বাসে নারীর জন্য যে কয়েকটি আসন বরাদ্দ আছে তা মোটেই যথেষ্ট নয়। আমার মতে আসন বরাদ্দ দেয়া বাস্তবসম্মত নয়। গাড়ির কোনটায় ৪টি ৫টি আবার কোনটিতে ৯টি আসন রয়েছে। সর্বোচ্চ এই নয়টি আসন কি নারীর জন্য যথেষ্ট? এর পর আরও কথা থেকে যায়। সকাল ৮টায় সিংহভাগ চাকরিজীবীকে কর্মস্থলে পৌঁছাতে হয়। কোন অফিস কর্তৃপক্ষ কি এটা মেনে নিবেন আসন না থাকায় আজ মিসেস রহিমার ৩০ মিনিট দেরি হয়েছে? মেনে নিবেন না, বরং অনেক কথা শোনাবেন তাকে। গাড়ি চালক দু’জন মহিলাকে রাস্তায় দাঁড়ানো দেখা মাত্র গাড়ি অন্যদিকে ঘুরিয়ে নেয় যাতে মেয়েরা গাড়িতে না উঠতে পারে। একজন মহিলা বাসে উঠতে চাইলে আসন খালি নেই বলে শেষ করে তারা। নারীর জন্য সংরক্ষিত আসন সম্পর্কে বলতে গিয়ে পুরুষরা প্রায়ই পরিহাস করে বলেন, এখানে সমঅধিকার কোথায় গেল! সমান অধিকারের কথায় যদি আসতে হয় তবে সর্বক্ষেত্রে বিবেচনা করেই তা বলা সংগত। সমাজে আজকের নারীর অবস্থান কোথায়, নারীরা সর্বক্ষেত্রেই বিভিন্ন বৈষম্যের শিকার। খিলগাঁও, ঢাকা থেকে
×