ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বিএনপির বিজয় র‌্যালিতে ফখরুল

গণতন্ত্র ও অধিকার ফিরিয়ে আনতে আন্দোলন করতে হবে

প্রকাশিত: ০৫:৩৯, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৫

গণতন্ত্র ও অধিকার ফিরিয়ে আনতে আন্দোলন  করতে হবে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাজধানীতে বিজয় র‌্যালি করেছে বিএনপি। বিকেল ৩টায় নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে র‌্যালি শুরু হয়ে কাকরাইল ও শান্তিনগর হয়ে মালিবাগে গিয়ে র‌্যালি শেষ হয়। র‌্যালিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার শাজাহান ওমর, যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, মোহাম্মদ শাহজাহান ও সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন ছাড়া অন্য সিনিয়র নেতাদের দেখা যায়নি। র‌্যালি শুরুর আগে মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য আন্দোলন করতে হবে। খালেদা জিয়া যে আন্দোলন শুরু করেছেন, সেই আন্দোলনকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হবে। ফখরুল বলেন, গণতান্ত্রিক দাবি আদায়ে বিজয় র‌্যালি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে। আজকের এ দিনটি আমাদের কাছে মর্যাদা, গর্বের ও আনন্দের। এ দিনে আমরা সত্যিকার অর্থে স্বাধীন হয়ে পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশের অবস্থানকে নিশ্চিত করি। সেদিন যারা স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করেছিলেন তারা সত্যিকার অর্থে দেশকে স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক সমৃদ্ধি, বৈষম্যহীন রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রবর্তনের জন্য লড়াই করেছিলেন। এ বিজয় আমাদের গর্বের বিজয়, মুক্তিযোদ্ধাদের বিজয়, যারা গণতান্ত্রিক চেতনা নিয়ে রাজনীতি করেন তাদের সকলের বিজয়। এ বিজয়কে আমাদের অর্থবহ করতে হবে। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব চিরকাল অক্ষুণœ রাখতে হবে। মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে শ্বাসরুদ্ধকর অগণতান্ত্রিক পরিস্থিতিতে এবার বিজয় দিবস পালন করতে হচ্ছে। এবারের বিজয় দিবস একদিকে গর্বের অন্যদিকে বেদনার। কারণ, ৪৪ বছরেও মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত হয়নি। তিনি বলেন, হাজার হাজার মানুষ কারাবন্দী। শত শত নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন। তাই আজকের এ বিজয় র‌্যালি আমাদের ভারাক্রান্ত হৃদয়ে পালন করতে হচ্ছে। বিজয় র‌্যালিতে অন্যদের মধ্যে ছিলেন বিএনপির যুব বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক কাজী আসাদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-দফতর সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন প্রমুখ। র‌্যালিতে অংশগ্রহণকারীদের হাতে ছিল জাতীয় পতাকাসহ বিভিন্ন রঙের ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার। র‌্যালির অগ্রভাগে রঙিন পোশাকে নারী নেত্রীরা ছিলেন। আর অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে র‌্যালির সামনে-পেছনে ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সতর্ক প্রহরা। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে জিয়ার মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন ॥ মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের নিয়ে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। দুপুর ১২টায় তিনি জিয়ার মাজারে যান। এর আগে সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে খালেদা জিয়া দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের নিয়ে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। জিয়ার মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, দেশে গণতন্ত্র নেই। নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা হবে। জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে বর্তমান পরিস্থিতির অবসান ঘটবে। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের আজকের এ দিনে আমরা বিজয়ের মাধ্যমে গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছিলাম। কিন্তু সেই গণতন্ত্র আজ নেই। যে চেতনায় মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল সেই চেতনাও আজ নেই। তিনি বলেন, জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে বিজয় অর্জিত হবে। এক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতাদের ওপর নির্যাতন চলছে। তিনি বলেন, যারা স্বাধীনতার জন্য প্রাণ দিয়েছিলেন। তাদের শ্রদ্ধা জানাই। জিয়ার মাজারে খালেদা জিয়ার সঙ্গে ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) হান্নান শাহ, ড. আব্দুল মঈন খান, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ড. ওসমান ফারুক, আবদুল কাইয়ুম, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, ডাঃ এ জেড এম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন প্রমুখ।
×