ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মোনালিসার হাসির পিছনে নতুন কোন মহিলা?

প্রকাশিত: ১৯:০৪, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৫

মোনালিসার হাসির পিছনে নতুন কোন মহিলা?

অনলাইন ডেস্ক ॥ মোনালিসা আসলে কে? লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির আঁকা পোট্রেটে ওই হাসির পিছনে কোন মহিলা রয়েছেন জানেন কি? এই অমোঘ প্রশ্নের উত্তর মানুষ খুঁজছেন গত পাঁচশো বছর ধরে। বেশ কিছু গবেষক বলেছেন, ফ্লোরেন্সের তৎকালীন একজন সিল্ক ব্যবসায়ীর স্ত্রী লিসা গেরারদিনির আদলে মোনালিসা সৃষ্টি করেছিলেন লিওনার্দো। এ নিয়ে যদিও বিতর্ক রয়েছে। তবে অধিকাংশ মানুষ এই তথ্যই বিশ্বাস করেন। ইতিহাসও তাকেই মান্যতা দিয়েছে। তবে সম্প্রতি মোনালিসা রহস্য নিয়ে তোলপাড় হচ্ছে শিল্প মহল। ফরাসি বিজ্ঞানী পাস্কাল কোটে প্রায় ১০ বছর গবেষণার পর জানিয়েছেন, লিসা গেরারদিনি নন, মোনালিসার হাসির পিছনে রয়েছেন অন্য কোনও রহস্যময়ী। আর এই তত্ত্ব সামনে আসতেই দু’ভাগ হয়ে গিয়েছে শিল্প মহল। কারণ এত দিন পর ইতিহাসকেই চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন কোটে। ২০০৪ সালে ল্যুভের মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ কোটেকে বিভিন্ন ভাবে মোনালিসার ছবি তোলার সুযোগ করে দেন। এর পরই গবেষণা শুরু করেন তিনি। সেখানে লেয়ার অ্যাম্পপ্লিফায়েড পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন কোটে। তাঁর কথায়, ‘‘উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে আমরা এখন প্রত্যেকটা পেন্টিংয়ের সব স্তর পর্যন্ত দেখতে পারি। ঠিক পেঁয়াজের খোসা ছাড়ানোর মত। ক্যানভাসের মোনালিসার পিছনে তিনটি আলাদা আলাদা ইমেজ রয়েছে। তৃতীয় ইমেজটি যে মহিলার তাঁর মাথা বড়, হাত এবং নাক লম্বা। তুলনায় ঠোঁট সরু।’’ ইতিহাসবিদ অ্যান্ড্রু গ্রায়াম ডিক্সন জানিয়েছেন, পাসকাল কোটের এই তত্ত্ব গত ১০০ বছরে শিল্প জগতের সবচেয়ে সাড়া জাগানো খবর। ‘‘মোনালিসা সম্পর্কে আমরা এতদিন ধরে যা বিশ্বাস করতাম, তাতে বড় ধরনের পরিবর্তন হল। আমি অন্তত এখন আর বলব না যে গেরারদিনির আদলে মোনালিসা তৈরি হয়েছে। ওই মহিলা হয়তো অন্য কেউ’’ জানিয়েছেন তিনি। আবার অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস গবেষক মার্টিন কেম্পের দাবি, ‘‘কোটের যুক্তি সমর্থন করতে পারছি না। তবে উনি গবেষণার পর যে তথ্য হাজির করেছেন তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আগামী বছরগুলোতে এ নিয়ে বহু আলোচনা হবে।’’ লিওনার্দো মোনালিসার পোট্রেট এঁকেছিলেন ১৫০৩ সাল থেকে ১৫১৭ সাল পর্যন্ত। প্রথমে ইতালির ফ্লোরেন্সে, তারপর ফ্রান্সে কাজ করেন শিল্পী। এত দিন পর তাঁর মোনাসিলা নিয়ে এই নয়া আবিষ্কারে এখনও পর্যন্ত কিন্তু মুখ খোলেননি ল্যুভের কর্তৃপক্ষ। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
×