ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

নীরবের পরিবারকে ৩০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ কেন দেয়া হবে না?

প্রকাশিত: ০৯:৩৪, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৫

নীরবের পরিবারকে ৩০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ কেন দেয়া হবে না?

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর কদমতলীতে পয়ঃনিষ্কাশন নালায় পড়ে শিশু ইসমাইল হোসেন নীরবের ‘অবেহলাজনিত’ মৃত্যুর ঘটনায় নীরবের পরিবারকে ৩০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ কেন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি কাজী মোঃ ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে কয়েক দফা নির্দেশনাসহ এই রুল জারি করে। হাইকোর্টের আদেশে, স্বরাষ্ট্র সচিব, ওয়াসার চেয়ারম্যান, দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও কর্পোরেশনের সচিবসহ বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে নীরবের মৃত্যুর পর কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা জানিয়ে তিন মাসের মধ্যে কদমতলী থানার ওসিকে প্রতিবেদন দিতে বলেছে হাইকোর্ট। আদালতে আবেদনকারী ব্যারিস্টার আবদুল হালিম নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী এ্যাটর্নি জেনারেল নূসরাত জাহান। রুলে রাজধানীতে যত ম্যানহোল, পাইপ, কূপ, নলকূপ, সুড়ঙ্গ ও গর্ত রয়েছে সেগুলোর নিরাপত্তায় কেন একটি সাধারণ নির্দেশ দেয়া হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। নির্দেশ লোকেশন ও ম্যাপ অনুযায়ী ঢাকা শহরের পাইপ, গর্ত, সুড়ঙ্গ, ম্যানহোল, স্যুয়ারেজ পাইপের তথ্য-তালিকা এবং এর মধ্যে কতগুলো অরক্ষিত ও ঢাকনাবিহীন আছে সেই সংখ্যা ও তথ্য তিন মাসের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে। ওয়াসার চেয়ারম্যান, দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, সচিব, শ্যামপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানসহ ছয় বিবাদীকে তিন মাসের মধ্যে এই প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে বলে জানান ব্যারিস্টার আবদুল হালিম। পৌরসভা নির্বাচন স্থগিতে রিটের আদেশ ৩ জানুয়ারি ॥ বিধিমালার তফসিলে বিষয়গত ত্রুটি রয়েছে দাবি করে পৌরসভা নির্বাচনের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে যে রিট আবেদনটি হাইকোর্টে হয়েছে, তার আদেশ হবে ৩ জানুয়ারি। মঙ্গলবার ওই রিট আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি কাজী মোঃ ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দিন ঠিক করেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম। এর আগে রবিবার বিকেলে হাইকোর্টে সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রীমকোর্টের আইনজীবী এ্যাডভোকেট এসএম জুলফিকার আলী জুনু এ রিট আবেদন দায়ের করেন। আবেদনকারীর আইনজীবী ব্যারিস্টার এহসানুর রহমান বলেন, বিধিমালার ২, ৩, ৪ ও ৫-এর মধ্যে ত্রুটি রয়েছে। এগুলো প্রতীক বরাদ্দ সংক্রান্ত বিধি। এ কারণে এগুলো নিয়ে রিট করেছি।
×