মঙ্গলবার ২ মার্চ
কাঞ্চন মিয়া আম্মার কাছে ভিড় হয় বলাতে আজ সকালে আমি হাসপাতালে গেলাম না। শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে আজ ঢাকা নগরীতে পূর্ণ হরতাল পালিত হল- জাতীয় পরিষদ স্থগিত করার প্রতিবাদে। বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এক ঐতিহাসিক জনসমুদ্র। তার সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররা ‘বাঙলার স্বাধীনতা’ ঘোষণা করল এবং ‘স্বাধীন বাঙলার’ পতাকা উত্তোলন করল। রাত ৮টা থেকে কারফিউ জারি করল।
রবিবার ৭ মার্চ
আজ ৭ই মার্চ। শেখ মুজিব কর্তৃক আজ বাঙলার স্বাধীনতা ঘোষণা করবার কথা। ২-১৫টায় শেখ মুজিব আহূত রমনা রেসকোর্সের সভায় গেলাম। শেখ সাহেব ঠিক স্বাধীনতা নয়, তবে তাঁর কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে বিদ্রোহই ঘোষণা করলেন।
মঙ্গলবার ২৩ মার্চ
সবাই ঘরে ঘরে ‘বাঙলা দেশে’র পতাকা উত্তোলন করল । ছাত্ররা স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিক প্যারেডের মধ্য দিয়ে এই পতাকা উত্তোলন করল (‘সোনার বাঙলা’ গানের সঙ্গে) শহরে বিপুল উদ্দীপনা। কিন্তু মওলানা ভাসানী পল্টন ময়দানে প্রস্তাবিত সভাটা করলেন না।
বৃহস্পতিবার ২৫ মার্চ
আজও সেকেন্দ্রা আখতার এসে আমার বই-এর পা-ুলিপি সাজাবার কাজ করে গেল। গাড়িটা সার্ভিসিং করালাম পরীবাগ থেকে। রাত ১২টা থেকে ‘মিলিটারি এ্যাকশন।’
শুক্রবার ২৬ মার্চ
আজ সারাদিন কারফিউ ৯টার সময়ে বেতার ঘোষণায় জানতে পারলাম।
রবিবার ২৫ এপ্রিল
আবার গুজব যে আজকে একটা কিছু হবে। সারাদিন আবার খুব আতঙ্কের মধ্যে কাটালাম। কেউ আমরা বেরুলাম না।
মঙ্গলবার ৪ মে
আজ সকালে ঊ.ঈ.ও.হয়ে অ.ঈ.ঊ.অফিসে গিয়ে চীফ ইঞ্জিনিয়ার মুরাদ সাহেবের সঙ্গে বাড়ির বিষয়ে কথা বললাম। পরে ব্যাঙ্কে গিয়ে কিছুু টাকা তুলে (৩০০) আনলাম। আজ রাতেও দক্ষিণ দিক থেকে কিছু গুলির আওয়াজ শোনা গেল।
বুধবার ৫ মে
আজ আবার একটা ফাঁড়া। কাজেই আজও আমরা বেরুলাম না। কিন্তু আজ তেমন কিছু ঘটল না।
রবিবার ১৬ মে
আজ বড় মামার খুব শরীর খারাপ- উবঢ়ৎবংংরড়হ- ডাঃ মাঈনুল হক এসে দেখে গেলেন।
আজ কয়েকজন বুদ্ধিজীবী ও শিল্পী একটা বিবৃতি প্রকাশ করলেন- এখানকার ব্যাপারে বাইরের হস্তক্ষেপের প্রতিবাদে।
বৃহস্পতিার ৩ জুন
আজ সকালে নাস্তার টেবিলে মাইনু (শ্যালক) অন্যের কথা টেনে নিয়ে আমাকে ইসলামবিরোধী ইত্যাদি বলে গাল দিল। আমি ওর সঙ্গে কথা বন্ধ করলাম।
পরে দেখলাম বুড়িও আর আমার সঙ্গে যেতে চাচ্ছে না বিশ্ববিদ্যালয়ে। আগে একবার নূরুকে নিয়ে গুলশান গেলাম।
রবিবার ১৩ জুন
আজ সকালে বউকে নিয়ে প্রথমে বাসা হয়ে গুলশান গেলাম- সঙ্গে জলিলও ছিল।
আজ থেকে ঢাকা শহরে সান্ধ্য আইন প্রত্যাহার করে নেওয়া হল।
রবিবার ১৮ জুলাই
সন্ধ্যা-৮.১০ মি. আমাদের সামনে রাস্তায় গুলির শব্দ শোনা গেল। (সোমবার-সন্ধ্যায় তাছাড়া কয়েকবার) বৈদ্যুতিক গোলাযোগ।
মঙ্গলবার ২০ জুলাই
আজ সুমন স্কুলে গেল না। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলাম।
আজ আমার নামে একটা হুঁশিয়ারী পত্র এল- ‘জয় বাংলা’ স্বাক্ষরিত ঢাকা বোর্ডের সঙ্গে সম্পর্কোচ্ছেদ করবার জন্য।
প্রকৃতপক্ষে বোর্ডের কিছু এমন কাজ আমি কিরিনি-এরপর আর কিছুই করছি না।
বিকেলে শোভনকে নিয়ে ডাঃ এম.আর. খানকে দেখালাম।
শনিবার ২৪ জুলাই
আজ সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে শুনলাম যাত্রাবাড়ীর কাছে খ-যুদ্ধ হচ্ছে। এই খবর শুনে ১২টার সময়ে বাসায় ফিরে বউকে নিয়ে নিউ মার্কেেেট গেলাম-কিছু কেনাকাটা সেরে ১-৪৫মি. ফিরলাম। সুমন-শোভনের জন্য স্যান্ডেল সু কিনলাম।
বিকেলে কোথাও গেলাম না।
বৃহস্পতিবার ২৯ জুলাই
সকালে সুমনকে স্কুলে নিয়ে গিয়ে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে হল ওদের শিক্ষক নেই বলে। পরে ঈড়ড়ঢ় ঝঃড়ৎব এ গিয়ে গাড়ি করে রেশন নিয়ে এলাম। তারপর বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলাম। আজ রাত ৮-১০ মি. দক্ষিণ দিক থেকে জোর শব্দ (বোমার)। আজ বিকেলে কোথাও গেলাম না।
শনিবার ৩১ জুলাই
সকালে জবমরংঃৎবৎ অফিস হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলাম। মাইনের চেক তখনও তৈরি হয়নি। পরে আনিয়ে নিলাম।
বিকেলে সুমন ও ওর মাকে নিয়ে মগবাজার নিনুদের বাসায় গেলাম। ওরা কাল বাসা বদল করে শান্তিবাগ যাচ্ছে।
রাত ৯টায় প্রচ- বোমা বিস্ফোরণের শব্দ
সোমবার ২ আগস্ট
আজ সরকারীভাবে বিশ্ববিদ্যালয় খুলল, তবে আমাদের বিভাগে কোন ছাত্রই এল না।
আজ গিন্নিকে নিয়ে নিউমার্কেট থেকে কিছু বাজার করে এলাম।
ফিরবার পথে ইসকাটন গিয়ে কিছু জিনিসপত্র রেখে এলাম।
শুক্রবার ১৩ আগস্ট
আজ সকালে ৮.৩০টায় বেরিয়ে আগে টহরা. ঈড়হঃৎড়ষষবৎ অফিসে গিয়ে গ.অ (ওও) এর বাকি খাতাগুলি (১৬২টি) ও সেগুলোর মার্ক জমা দিলাম।
তারপর বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলাম : ওও ঐড়হং. ক্লাসে ২ জন এল।
১০.৩০টায় ঞবধপযবৎ-ংঃঁফবহঃ পবহঃৎব-এ বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত ‘পাকিস্তান-দিবস’ সেমিনার গেলাম।
দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদে জুমার নামাজ পড়তে গেলাম।
শনিবার ১৪ আগস্ট
গত রাত ১২টায় আমাদের প্রাঙ্গণে পুলিশ ঢুকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ জন অধ্যাপককে গ্রেফতার করে নিয়ে গেল। পরে শুনলাম অন্য প্রাঙ্গণ থেকে বাংলার অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম এবং ইতিহাসের ড. আবুল খায়েরকেও নিয়ে গেছে। সকলের মনে ত্রাস। আজ বাদলা দিন।
বিকেলে কাঞ্চনদের বাসায় গেলাম-আমি শুধু।
শুক্রবার ৩ সেপ্টেম্বর
সকালে সুমনকে স্কুলে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলাম।
আজ ওও ুৎ.ঐড়হং এর আমার ক্লাসে ৯ জন ছাত্র এল।
সুমনকে স্কুল থেকে বাসায় নিয়ে এসে পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদে জুমআ’র নামাজ পড়তে গেলাম।
আজ বিকেল ৪টায় ড. এ. এম. মালিক গভর্নর হিসেবে শপথ গ্রহণ করলেন।
বৃহস্পতিবার ২১ অক্টোবর
সকালে সুমনকে স্কুলে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলাম। ক্লাস নিয়ে সুমনকে স্কুল থেকে নিয়ে ১টার সময়ে ফিরলাম।
বিকেলে মেঘলা আবহাওয়া। কোথাও গেলাম না। রাত ৮টা ৫মি. প্রচ- এক বিস্ফোরণের শব্দ। ৮.১০ মিনিটে আবার অপেক্ষাকৃত কম জোরে। রাত ১১টার পর অনেক গোলাগুলির শব্দ।
বৃহস্পতিবার ১১ নভেম্বর
মঙ্গলবার রাত্রে রোকেয়া হলে (ছাত্রী নিবাস) একদল দুর্বত্ত ঢুকে ডাকাতি ও ছাত্রীদের অপমান লাঞ্ছনা করে গেছে। সবাই সন্ত্রস্ত। আজ সকালে প্রথমে ঔধসবং ঋরহষধু এর গ্যারাজে গাড়ি নিয়ে গেলাম ঝবৎারপরহম করাতে। কিন্তু আজ ওরা পারবে না। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলাম। ওখান থেকে ওয়াকিল আহমদ সাহেবকে নিয়ে গুলশান গেলাম। ফুল নিয়ে এলাম-ওঁকেও দিলাম।
বুধবার ১৭ নভেম্বর
আজ ভোর সাড়ে পাঁচটা থেকে ঢাকা শহর এলাকায় ঈঁৎভবি জারি করা হয়। কাঞ্চন মিয়া খুব ভোরে ফোন করে জানাল।
বেলা ৮টার দিকে আমাদের বাসায় মিলিটারি এল অনুসন্ধান করতে। একজন অফিসার ছিল। ওরা আমাদের সেঙ্গ বেশ ভাল ব্যবহার করল। বার বার কাঞ্চন ও নিনুর বাসায় ফোন করে খবর নিলাম। অবশ্য সারাদিন উদ্বেগের মধ্যে কাটল।
শুক্রবার ১৯ নভেম্বর
আজ সকালে কিছুক্ষণ বসে প্রশ্নপত্র তৈরি করলাম কিছুটা।
১২.৩০টায় বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদে জুমআ’র নামাজ পড়তে গেলাম। আজ জুমআতুল বিদা দোয়া করা হল আজ আমি রোজা রাখলাম। বিকেলে বোমার শব্দ। আজ আমরা আর কোথাও গেলাম না। কাল নাকি ঈদ হবে।
শনিবার ২০ নভেম্বর
ভোরে বোমার শব্দ।
আজ একটা কালো দুর্যোগের ছায়ায় আজ ঈদ উৎসব উদ্যাপিত হল। আমরা পাড়ার লেখকরা সবাই মিলে আমাদের বাড়ির প্রাঙ্গণে ঈদের নামাজ পড়লাম। লোক মন্দ হল না।
আজ আর আমরা পোলাও খেলাম না।
ইস্টার্ন মার্কেন্টাইল ব্যাংকের হেড অফিস ঢাকায় স্থানান্তরের (চট্টগ্রাম থেকে) কথা ঘোষণা করা হল- আজকের কাগজে।
রবিবার ২১ নভেম্বর
আজ ঢাকায় কোনো সংবাদপত্র প্রকাশিত হল না। সকালে খঃ.ঈড়ষ মতিয়ুর রহমান সাহেব এলেন তারপর নিনু এল। আমরা (সুমন, শোভন, বউ) বেলা ১২টায় বেরিয়ে প্রথমে পুরানা পল্টন কাঞ্চনদের বাসায় আম্মার সঙ্গে দেখা করতে গেলাম। সেখান থেকে গেলাম ইসকাটন, বড় মামাদের বাড়ি। ওদের ওখানে রেখে আমি চলে এলাম। ওরা সন্ধ্যায় এল। আমি আর কোথাও গেলাম না। সন্ধ্যার পর কাছেই গুলির শব্দ।
বুধবার ২৪ নভেম্বর
আজ সকালে বাসায় বসে প্রশ্নপত্র রচনার কিছু কাজ করলাম।
বেলা ১২টার দিকে রুবি (রহমান) আর তানি (জিনাত আরা) এল। অনেকক্ষণ পুরনো দিনের গল্প করে ওরা গেল।
আজ বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে হঠাৎ ঈঁৎভবি জারি করা হল। আবার ৭.৩০টা পর্যন্ত ইষধপশ ড়ঁঃ সন্ধ্যায় পাড়ায় খুব আতঙ্ক। আবার গোলাগুলির শব্দও শোনা গেল। ভয়ে পরেও কেউ বাতি জ্বালাল না। ৯.৩০টায় ঈঁৎভবি শেষ।
বৃহস্পতিবার ২৫ নভেম্বর
ঈদের ছুটির পর আজ বিশ্ববিদ্যালয় খুলল। কিন্তু আমাদের ছাত্র কেউ এল না।
আমি ৯টায় বেরিয়ে প্রথমে গাড়িটা ঝবৎারপরহম এ দিয়ে এলাম ঔধসবং ঋরহষধু-তে তারপর বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলাম।
বিকেল ৪.১৫টায় গিয়ে গাড়িটা নিয়ে এলাম ঔধসবং ঋরহধষু শাহবাগ থেকে।
আজ ইষধপশ ড়ঁঃ, ঈঁৎভবি তুলে নেওয়াতে সবাই একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল।
শুক্রবার ২৬ নভেম্বর
সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলাম। কোনো ছাত্র এল না। ১০-১৫টায় বেরিয়ে ঔধসবং ঋরহষধু-এর এধৎধমব এ গিয়ে ৪ গ্যালন পেট্রোল আনলাম।
সন্ধ্যায় রোকেয়া হলের ওই ঘটনার কিছু ভয়াবহ কাহিনী শুনে আমরা খুব আতঙ্কিত হয়ে পড়লাম।
সোমবার ২৯ নভেম্বর
আজ ভারতের আক্রমণের প্রতিবাদে হরতাল পালিত হল। আমরা কেউ বিশ্ববিদ্যালয়েও গেলাম না।
শুক্রবার ৩ ডিসেম্বর
আজ সকাল ৯.১৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলাম। ২য় বর্ষ অনার্সের ক্লাস ছিল। কিন্তু কোনো ছাত্র এল না।
সন্ধ্যা ৭টায় বোমার শব্দ।
রাত ৯টায় হঠাৎ ইষধপশ ড়ঁঃ করে দিল।
শনিবার ৪ ডিসেম্বর
গত রাত তিনটা থেকে ঢাকার ওপর প্রচন্ড বিমান আক্রমণ। অনবরত দুমধাম শব্দে শহরবাসীর ঘুম ভাঙ্গে-তারপর জেগেই কাটাতে হয়। আজ সকালেও ভারতীয় বিমানের অবিশ্রান্ত হামলা ও আকাশ যুদ্ধ চলল। বোম ফাটা ও কামানের শব্দে কান পাতা দায় হল। বেলা ১টা পর্যন্ত এভাবে চলল।
আজ আমি সারাদিন বাইরে কোথাও গেলাম না।
রবিবার ৫ ডিসেম্বর
আজ দিনের বেলা বিমান হামলায় মোটামুটি বিরতি, কিন্তু গভীর রাতে আবার বোমা ফেলা গোলাগুলির শব্দ।
সোমবার ৬ ডিসেম্বর
আজ সকাল থেকে বারে বারে বিমান আক্রমণ হচ্ছে। আমি ১০টার দিকে একবার নূরুকে নিয়ে বেরিয়ে রেশন আনতে গিয়ে ভিড়ের জন্য না নিয়েই ফিরে এলাম।
১১টায় একবার বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলাম। কেউ নেই। দুপুর ১২.১৫টায় আবার বেরিয়ে কিছু রুটি বিস্কুট নিয়ে এলাম। ইসকাটন গিয়ে বিমান হামলার জন্য আটকা পড়লাম। ২টায় ফিরলাম। আর কোথাও গেলাম না।
বৃহস্পতিবার ৯ ডিসেম্বর
আজ সকাল ১০টায় বউসহ বেরিয়ে বাসায় গেলাম। এর মধ্যে বোমা পড়া আরম্ভ হয়ে গেল। খেয়েই ইসকাটন চলে এলাম।
রাতে খুব বোমা পড়ার শব্দ।
শনিবার ১১ ডিসেম্বর
কাল বিকেলে বড় মামার হঠাৎ টিকাটুলি হক সাহেবের বাড়ি স্থানান্তর করায় আমরাও ওদের সঙ্গে গেলাম। কিন্তু রাত্রে ওখানে বেশ কষ্ট হল। তাও আজ সকালে আমরা নিনুদের বাসায় শান্তিবাগ চলে এলাম।
বিকেল ৩টা থেকে হঠাৎ কারফিউ। ১০টায় নিনুকে নিয়ে ব্যাংকে গিয়ে কিছু টাকা তুলে নিলাম। বাসা থেকে ঞঠ সেটটাও নিয়ে এলাম।
রবিবার ১২ ডিসেম্বর
আজ সারাদিন কারফিউ জারি রইল।
টেলিফোনও (আমাদের বাসার) দেখি খারাপ। কোনো খোঁজ-খবর পাওয়া গেল না। কোন দিক থেকে।
আতঙ্ক আর দুশ্চিন্তার মধ্যে সারাদিন কাটল। আজ কিন্তু বোমা টোমার শব্দ বিশেষ শোনা গেল না।
সোমবার ১৩ ডিসেম্বর
আজ সকাল ৮টায় ঈঁৎভবি ছাড়ল। আমরা (বউ ও নিনুসহ) ৯টায় বেরিয়ে প্রথমে পুরানা পল্টন কাঞ্চনদের বাসায় গেলাম। আম্মা ওখানে তারপর হাটখোলা শ্বশুরের বাসায় গেলাম। ওখান থেকে ফুলার রোড নিজেদের বাসায় গেলাম। ওখান থেকে কয়েকটা জিনিসপত্র নিয়ে শান্তিবাগ এলাম।
অবার বেরিয়ে গাড়ির চাকার দুটো ঞুৎব বদলে নিলাম ৮০ টাকা মূল্যে।
মঙ্গলবার ১৪ ডিসেম্বর
৯-১৫টা ই.অ.ঊীধস. ঐধষষ: ঈযরবভ ঝঁঢ়বৎারংড়ৎ.
শীর্ষ সংবাদ: