অনলাইন রিপোর্টার ॥ ‘মাদক উদ্ধারের’ পর ঢাকা থেকে আসামিকে সংশ্লিষ্ট আদালতে উপস্থিতি করার পরিবর্তে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ায় এক মামলার বাদী পুলিশ কর্মকর্তাকে তলব করেছে হাইকোর্ট।
গোয়েন্দা বিভাগের পরিদর্শক রইস উদ্দিনকে আগামী ১২ জানুয়ারি আদালতে হাজির হয়ে এ বিষয়ে লিখিতভাবে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
সোমবার মাদকের মামলায় এক আসামির জামিন আবেদনের শুনানিকালে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আসামিপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী কামাল হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যার্টনি জেনারেল শেখ এ কে এম মনিরুজ্জামান কবির ও সহকারী অ্যার্টনি জেনারেল মোঃ শহীদুল ইসলাম খান।
নথি থেকে জানা যায়, ১৪ সেপ্টেম্বর ঢাকা থেকে মোস্তাফিজুর রহমান ও আলমগীরকে পাঁচশ পিস করে ইয়াবাসহ আটক করে পুলিশের গোয়েন্দা পরিদর্শক রইস উদ্দিন। আটক দুই জনের সূত্র ধরে তাদের সঙ্গে নিয়ে ১৫ ও ১৬ সেপ্টেম্বর চট্রগামে পৃথক অভিযান চালিয়ে শুকুর হাজী, নিজাম উদ্দিন, বশিরউল্লাহ, সালাম, আফসার, শওকত ও সাদ্দামের কাছ থেকে আরও ২১ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করে।
আটকদের তথ্যের সূত্র ধরে ১৬ সেপ্টেম্বর তাদের সঙ্গে নিয়ে আরও ইয়াবা উদ্ধারের জন্য কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আমজাদ বাজারে পুলিশ অবস্থান নেয়। সে সময় সড়ক দূর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে পুলিশ সদস্য আব্দুল আজিজ নিহত হন। জব্দ করা ইয়াবাও পুড়ে যায়।
এর মধ্যে আহত অবস্থায় পুলিশের এস আই মালেক ও আটক আসামি শওকত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এরপর এক হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার উল্লেখ করে ১৭ সেপ্টেম্বর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ওই নয় জনের বিরুদ্ধে খিলগাঁও থানায় মামলা করে পরিদর্শক রইস উদ্দিন।
এই মামলায় আসামি বশির উল্লাহ হাই কোর্টে জামিনের আবেদন জানায়।
আবেদনকারীর পক্ষের বক্তব্য, আসামি চট্টগ্রাম থেকে ধরা পড়েছে, মামলা হয়েছে ঢাকায়, তার কাছ থেকে কোনো মাদক উদ্ধার হয়নি।
এই আবেদন শুনানিকালে ৮ ডিসেম্বর হাই কোর্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসলাম শেখকে ১৪ ডিসেম্বর আদালতে হাজির হতে বলেন। এর ধারাবাহিকতায় সোমবার তিনি আদালতে হাজির হয়ে বক্তব্য দেন। পরে আদালত মামলার বাদী রইস উদ্দিনকে ব্যাখ্যা জানাতে তলবের আদেশ দেয়।
সেইসঙ্গে বশিরউল্লাকে কেন জামিন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছে আদালত। সরকারপক্ষকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: