ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

নেত্রকোনার ১১টি বধ্যভূমি অরক্ষিত

প্রকাশিত: ২১:৫৩, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৫

নেত্রকোনার ১১টি বধ্যভূমি অরক্ষিত

নিজস্ব সংবাদদাতা, নেত্রকোনা ॥ স্বাধীনতার চুয়াল্লিশ বছরেও নেত্রকোনার ১১টি বধ্যভূমি চিহ্নিত করা হয়নি। নেয়া হয়নি রক্ষণাবেক্ষণের উদ্যোগ। অরক্ষিত বধ্যভূমিগুলোতে নির্মাণ করা হয়নি কোন স্মৃতিস্তম্ভ। অযতœ-অবহেলায় ঝোপ-ঝাড়ের আঁড়ালে অথবা নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে স্বাধীনতা সংগ্রামের স্মৃতি বিজড়িত সেই ঐতিহাসিক স্থানগুলো। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, ইতিহাসবিদ ও শহীদ পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ১৪টি বধ্যভূমির কথা জানা গেছে। এগুলো হচ্ছেÑ জেলা শহরের মোক্তারপাড়া সেতু সংলগ্ন মগড়া নদীর তীর, সাতপাই সড়ক সংলগ্ন মগড়া নদীর তীর, নেত্রকোনা-পূর্বধলা সড়কের ত্রিমোহনী, জেলা শহরের চন্দ্রনাথ উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন মগড়া নদীর তীর, সদর উপজেলার চল্লিশা রেল সেতু, পূর্বধলা উপজেলার পুকুরিয়াকান্দা, জারিয়া রেলস্টেশন সংলগ্ন কংস নদীর তীর, রাজপাড়া গ্রামের ডাঃ হেম বাগচীর বাড়ি, দুর্গাপুর উপজেলার বিরিশিরি গ্রাম সংলগ্ন সোমেশ্বরী নদীর তীর, গাওকান্দিয়া, কেন্দুয়া উপজেলার ঘোড়াইল, ধূপাগাতি, সেনের বাজার ও কেন্দুয়া বাজার। এর মধ্যে পূর্বধলা উপজেলার ত্রিমোহনী এবং জেলা শহরের মোক্তারপাড়া সেতু সংলগ্ন মগড়া নদীর তীর ও সাতপাই এলাকায় একই নদী তীরে তিনটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ হয়েছে। বাকি ১১টি বধ্যভূমি সম্পূর্ণ অরক্ষিত। বধ্যভূমির নির্দিষ্ট স্থানগুলোও পর্যন্ত চিহ্নিত করা হয়নি গত চুয়াল্লিশ বছরে। ফলে নতুন প্রজন্মের অনেকেই এসব বধ্যভূমি সম্পর্কে কিছু জানে না। এ ব্যাপারে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার নূরুল আমিন বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের বিজয় বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ অহংকার। আর মুক্তি সংগ্রামের স্মৃতি বিজড়িত প্রতিটি স্থানই অহংকারের নিদর্শন। তাই এসব বধ্যভূমি রক্ষায় জরুরী উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি জানান তিনি।
×