ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

আমরা আশাবাদী ॥ মাশরাফি

প্রকাশিত: ০৭:৫১, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৫

আমরা আশাবাদী ॥ মাশরাফি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দল গঠন হওয়ার পর কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে খুব বেশি শক্ত দল হিসেবে বিবেচনা করেনি কেউ। কিন্তু ঠিকই সবার আগে ফাইনালে উঠেছে দলটি। এর পেছনে মাশরাফি বিন মর্তুজার যোগ্য নেতৃত্ব অনেক বড় একটি ভূমিকা রেখেছে। কিন্তু মাশরাফি নিজেই তা অস্বীকার করে দলের সব ক্রিকেটারকে শৃঙ্খলার মধ্যে থেকে নিজেদের নৈপুণ্যটা সঠিকভাবে দেখানোটাকেই কৃতিত্ব দিলেন। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের (বিপিএল) টানা তিন আসরেই ফাইনাল খেলবেন এবার মাশরাফি। এ কারণে দারুণ খুশি তিনি। আগের দু’বার ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সকে চ্যাম্পিয়ন করেছেন তিনি। এবার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে শিরোপা উপহার দেয়ার পালা এ অধিনায়কের। মাশরাফি সোমবার সংবাদ সম্মেলনে প্রত্যয় জানালেন পুরো টুর্নামেন্টে দল যে নৈপুণ্য দেখিয়েছে সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখার। ফাইনালে জেতার জন্য আশাবাদী ও ইতিবাচক থাকবে দল এমন প্রত্যয় জানালেন তিনি। মাশরাফি মনে করেন বাংলাদেশের জন্য বিপিএল অনেক বড় বিষয়, কারণ আসন্ন এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপ টি২০ আসরের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এ টুর্নামেন্টে। বিভিন্ন দেশেই এখন ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি২০ আসর আয়োজিত হয় এবং উদীয়মান কিছু ক্রিকেটার উঠে আসে। বিপিএলও সেই উদ্দেশ্যে আয়োজন করা হয় বাংলাদেশে। এ বিষয়ে মাশরাফি বলেন, ‘আমরা সবাই জানি জাতীয় দল সব সময় আলাদা। একটা গৌরব নিয়ে থাকা যায়। আর ঘরোয়া ক্রিকেটে এই টুর্নামেন্টটা অনেক বড় আমাদের। প্রায় সবারই চোখ থাকে এদিকে। এখানেও অনেক খেলোয়াড় উঠে আসে। যেমন বিপিএল খেলে অনেক দেশের ক্রিকেটারই তাদের জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছেন। আমাদেরও কিছুু খেলোয়াড় উঠে এসেছে। তো আমার মনে হয় এই টুর্নামেন্টের গুরুত্বটা অনেক। বিশেষ করে যেহেতু এশিয়া কাপ টি২০, বিশ্বকাপ টি২০ সামনে আছে। ওই জায়গা থেকে আমি মনে করি এই টুর্নামেন্টের গুরুত্ব অনেক।’ আগের দুইবারই ফাইনালে দলকে নেতৃত্ব দিয়ে শিরোপা জিতিয়েছেন মাশরাফি। এবার হ্যাটট্রিক বিপিএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জনের সুযোগ। এ বিষয়ে মাশরাফি বলেন, ‘এটা তো অবশ্যই অনেক আনন্দের। কারণ বাংলাদেশের ঘরোয়া টি২০ টুর্নামেন্টের সবচেয়ে বড় আসর এটা। তাই নিজের কাছে খুব ভাল লাগছে। ইনশাআল্লাহ যদি শেষটা ভাল করতে পারি তাহলে হয়তো আরও বেশি ভাল লাগবে।’ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স দল গঠনের দিক থেকে তেমন শক্তিশালী বিবেচনা করা হয়নি। অনেকেই তাই কৃতিত্বটা দিচ্ছেন মাশরাফির বুদ্ধিদীপ্ত নেতৃত্ব দানকে। এ বিষয়ে মাশরাফি বলেন, ‘দল হিসেবে আমরা খুব ভাল খেলেছি। এটা গুরুত্বপূর্ণ। এটা আসলে ক্রিকেটারদের বিষয় না, এটা পুরো দলের বিষয়। আমি বলব যে সবাই খুব পেশাদারিত্বের সঙ্গে পারফর্ম করেছে, শৃঙ্খল ছিল। একা কখনও একটা দলকে পরিবর্তন বা ঠিক করা যায় না। এটা টিম ম্যানেজম্যান্ট, কোচ, ম্যানেজার, দলের সতীর্থ এবং সবার কাছ থেকে আসতে হয়। তো এই কৃতিত্ব সবার। দলে যারা ছিল সবার কৃতিত্ব এটা ফাইনাল পর্যন্ত আসার পেছনে।’ এবার ফাইনাল, জিতলেই আরেকবার চ্যাম্পিয়ন মাশরাফি। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এখন তো দুই দলের জন্যই ডু অর ডাই ম্যাচ। তো আমরা ইনশাল্লাহ আশাবাদী এবং ইতিবাচক। আশা করি যে আমরা শেষ যত ম্যাচ আমরা জিতেছি, যেভাবে ইতিবাচকভাবে খেলে এসেছি এভাবে যদি খেলতে পারি ইনশাআল্লাহ ভাল কিছু হবে।’ ফাইনালের প্রতিপক্ষ বরিশাল বুলস সম্পর্কে মাশরাফি বলেন, ‘তারা পুরো টুর্নামেন্ট ভাল খেলেছে। আর অবশ্যই তারা অনেক শক্তিশালী দল। গেইল থাকার পরও তারা কয়েকটি ম্যাচে হেরেছে। হয়তো বা তারা গেইলের ওপর নির্ভর করেছিল অনেকটা। তবে বিপক্ষ দলে যখন গেইল থাকবে তখন তাকে নিয়ে কোন না কোন পরিকল্পনা রাখতেই হবে। আমার কাছে মনে হয় ফাইনালে এসে এমন কিছু নিয়ে ভাবার কোন সুযোগ নেই। তারা গেইলকেও ছাড়াও কাল (রবিবার) ১৬১ চেজ করেছে। তারা এখনও অনেক বড় দল গেইলকে ছাড়াও।’
×