মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তার মুসলিম বন্ধুরা যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিমদের প্রবেশ নিষিদ্ধের দাবি সমর্থন করেন না। তিনি বলেন, তবে তারা মুসলিম চরমপন্থীদের উত্থানে শঙ্কিত। তারা মনে করে, এখন সময় এসেছে ধর্মীয় চরমপন্থীদের মোকাবেলায় কঠিন সিদ্ধান্ত গ্রহণের। খবর সিএনএন অনলাইনের।
সিএনএনের জেক ট্রেপারকে দেয়া সাক্ষাতকারে ট্রাম্প বলেন, ‘আমার অনেক বন্ধু আছেন, যারা মুসলিম। মুসলিম মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ায় তারা খুশি। রবিবার স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন অনুষ্ঠানে সাক্ষাতকারটি প্রচারিত হয়। তবে মুসলিমদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষিদ্ধের দাবি তারা সমর্থন করে কি না, ট্রেপারের এই প্রশ্নের উত্তর ট্রাম্প সরাসরি দেননি। তিনি বলেছেন, ‘না, তবে তারা বলেছে এখন ধর্মীয় চরমপন্থীদের উত্থান ঘটেছে। তাই এখন কঠিন সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় এসেছে।’ ট্রাম্প বলেছেন, তার মুসলিম বন্ধুরা সন্ত্রাসবাদ নিয়ে উদ্বিগ্ন, তাই এ ব্যাপারে কোন কঠিন সিদ্ধান্ত নিলে তারা বিরোধিতা করবে না। এরপর ট্রেপার আবার জিজ্ঞেস করেন, ‘তারা মুসলিমদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষিদ্ধকরণ সমর্থন করেনি তাহলে?’ ট্রাম্প, না, কেন সমর্থন করবে? কিন্তু নিষিদ্ধ না করলে তো আপনি এ বিষয়ে কিছু করতে পারছেন না। ট্রাম্প বলেন, ‘মুসলিম কমিউনিটির সঙ্গে আমার চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে। আমরা যে একটি সমস্যার মধ্যে রয়েছি সেটি তারা বুঝতে পারছেন। এ ব্যাপারে যে কিছু করা প্রয়োজন সেটাকে তারা সমর্থন করেন।
তবে ট্রাম্পের মুসলিম বন্ধুরাই শুধু নিষিদ্ধকরণের বিরোধিতা করছেন না, এনবিসি নিউজ ও ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল পরিচালিত জনমত জরিপে দেখা গেছে, অধিকাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মার্কিন নাগরিক ট্রাম্পের এই পরিকল্পনার বিরোধী। গত সপ্তাহে ট্রাম্প ওই বক্তব্য দেয়ার পরপরই বিশ্ব নেতৃবৃন্দের অনেকে তার সমালোচনা করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু পর্যন্ত ট্রাম্পের সমালোচনা করেছেন। যার পরিণতিতে এ মাসের শেষের দিকে ট্রাম্পের পূর্ব নির্ধারিত ইসরাইল সফর বাতিল করতে হয়েছে। এই বিষয়টির প্রতি ট্রেপার ট্রাম্পের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। ট্রাম্প বলেন, ‘তিনি বিরোধিতা করেছেন সাধারণ রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে।